Affiliate Service

Affiliate Service
Sponsor
Showing posts with label Bangladesh. Show all posts
Showing posts with label Bangladesh. Show all posts

Friday, October 20, 2017

জাতীয় দলের আবহে অভ্যস্ত করতে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল নিউজিল্যান্ড সফরে। সেখানে গিয়ে বাংলাদেশ দল এমন চোটজর্জর হয়ে গিয়েছিল যে ঘটনাচক্রে টেস্ট অভিষেকই হয়ে যায় নাজমুল হোসেন শান্তর।
http://skamason.com/7nfO

এইচপি স্কোয়াডের পর এখন বাংলাদেশ ‘এ’ দলেরও অধিনায়ক বাঁহাতি এ ব্যাটসম্যান কালের কণ্ঠ স্পোর্টসের মুখোমুখি হয়ে কথা বললেন তাঁর বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে
নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা কেমন?

নাজমুল হোসেন শান্ত : সব মিলিয়ে ভালোই। ইংল্যান্ড সফরে হাই পারফরম্যান্স স্কোয়াডকে (এইচপি) নেতৃত্ব দিতে হবে শুনে প্রথম একটু রোমাঞ্চিতই ছিলাম। সেখান থেকে আসার পর এখন ‘এ’ দলকেও নেতৃত্ব দিচ্ছি। এত দিনে অনেকটাই অভ্যস্ত হয়ে গেছি। উপভোগও করছি।

প্রশ্ন : দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আজ (গতকাল) আয়ারল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে মাত্র ১৯৫ তাড়া করেও অনেক কষ্ট করে জিততে হলো। এর কারণ কী?

নাজমুল : আমার মনে হয় ব্যাটসম্যানরা আরেকটু দায়িত্ব নিয়ে খেললে এ রকম হতো না। তবে আইরিশ দলটিকেও ছোট করে দেখার কারণ আছে বলে মনে করি না। ওদের দলেও বেশ কয়েকজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার আছে।

তানভীর (হায়দার) ভাই অবশ্য দারুণ ফিনিশ করে জয়টি এনে দিয়েছেন।
প্রশ্ন : টেস্ট খেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের উত্তাপটা ইতিমধ্যেই নেওয়া হয়ে গেছে। তা আপাতত ভবিষ্যৎ ভাবনাটা কী?

নাজমুল : সত্যি কথা বললে জাতীয় দল ভাবনা আমার মাথাতেই নেই। এটা নিয়ে চিন্তা করতে পছন্দও করি না। আমার কাজ হলো যখন যেখানে সুযোগ পাই, পারফরম করে যাওয়া। কারণ আমি জানি তা করে যেতে থাকলে সুযোগ একদিন ঠিকই আসবে। তাই আগাম ভাবনার কিছু দেখি না।

প্রশ্ন : সবাই তো জাতীয় দলে নিয়মিত হওয়ার স্বপ্নই দেখে। তা আপনার সেটি নিয়ে না ভাবতে চাওয়ার পেছনের যুক্তি কী?

নাজমুল : কারণ এটা নিয়ে ভাবতে গেলে তা আমার খেলায় প্রভাব ফেললেও ফেলতে পারে। তাই ভবিষ্যৎ না ভেবে বর্তমান নিয়েই থাকতে চাই। তা ছাড়া আমি যে জায়গায় ব্যাটিং করি, সেখানে অনেক পারফরমার। আমার কথা হলো কেউ যদি ১০০ রান করে, তাহলে তাকে টপকাতে হলে আমাকে করতে হবে ১৫০। আপাতত আমার চিন্তার ধরনটি এমনই।

প্রশ্ন : সেই দৃষ্টিকোণ থেকে এইচপির হয়ে ইংল্যান্ড সফরটি তো স্বপ্নের মতোই কেটেছে।

নাজমুল : তা বলতে পারেন। আমি ওখানে দুটি করে সেঞ্চুরি আর ফিফটি করেছি। ওখানে যাওয়ার আগে স্কিল নিয়েও অনেক কাজ করে গিয়েছিলাম। সেসব কাজেও দিয়েছে। আর ওখানে গিয়ে কন্ডিশনের সঙ্গে বেশ মানিয়েও নিয়েছিলাম। সবচেয়ে বড় কথা ইংল্যান্ডে ছিল বিরুদ্ধ কন্ডিশন। সেখানে রান করার চ্যালেঞ্জ নিয়ে জেতার মজাই আলাদা।
Source : Collected
t20

কেউ ১০০ করলে আমাকে করতে হবে ১৫০

জাতীয় দলের আবহে অভ্যস্ত করতে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল নিউজিল্যান্ড সফরে। সেখানে গিয়ে বাংলাদেশ দল এমন চোটজর্জর হয়ে গিয়েছিল যে ঘটনাচক্রে টেস্ট অভিষেকই হয়ে যায় নাজমুল হোসেন শান্তর।
http://skamason.com/7nfO

এইচপি স্কোয়াডের পর এখন বাংলাদেশ ‘এ’ দলেরও অধিনায়ক বাঁহাতি এ ব্যাটসম্যান কালের কণ্ঠ স্পোর্টসের মুখোমুখি হয়ে কথা বললেন তাঁর বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে
নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা কেমন?

নাজমুল হোসেন শান্ত : সব মিলিয়ে ভালোই। ইংল্যান্ড সফরে হাই পারফরম্যান্স স্কোয়াডকে (এইচপি) নেতৃত্ব দিতে হবে শুনে প্রথম একটু রোমাঞ্চিতই ছিলাম। সেখান থেকে আসার পর এখন ‘এ’ দলকেও নেতৃত্ব দিচ্ছি। এত দিনে অনেকটাই অভ্যস্ত হয়ে গেছি। উপভোগও করছি।

প্রশ্ন : দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আজ (গতকাল) আয়ারল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে মাত্র ১৯৫ তাড়া করেও অনেক কষ্ট করে জিততে হলো। এর কারণ কী?

নাজমুল : আমার মনে হয় ব্যাটসম্যানরা আরেকটু দায়িত্ব নিয়ে খেললে এ রকম হতো না। তবে আইরিশ দলটিকেও ছোট করে দেখার কারণ আছে বলে মনে করি না। ওদের দলেও বেশ কয়েকজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার আছে।

তানভীর (হায়দার) ভাই অবশ্য দারুণ ফিনিশ করে জয়টি এনে দিয়েছেন।
প্রশ্ন : টেস্ট খেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের উত্তাপটা ইতিমধ্যেই নেওয়া হয়ে গেছে। তা আপাতত ভবিষ্যৎ ভাবনাটা কী?

নাজমুল : সত্যি কথা বললে জাতীয় দল ভাবনা আমার মাথাতেই নেই। এটা নিয়ে চিন্তা করতে পছন্দও করি না। আমার কাজ হলো যখন যেখানে সুযোগ পাই, পারফরম করে যাওয়া। কারণ আমি জানি তা করে যেতে থাকলে সুযোগ একদিন ঠিকই আসবে। তাই আগাম ভাবনার কিছু দেখি না।

প্রশ্ন : সবাই তো জাতীয় দলে নিয়মিত হওয়ার স্বপ্নই দেখে। তা আপনার সেটি নিয়ে না ভাবতে চাওয়ার পেছনের যুক্তি কী?

নাজমুল : কারণ এটা নিয়ে ভাবতে গেলে তা আমার খেলায় প্রভাব ফেললেও ফেলতে পারে। তাই ভবিষ্যৎ না ভেবে বর্তমান নিয়েই থাকতে চাই। তা ছাড়া আমি যে জায়গায় ব্যাটিং করি, সেখানে অনেক পারফরমার। আমার কথা হলো কেউ যদি ১০০ রান করে, তাহলে তাকে টপকাতে হলে আমাকে করতে হবে ১৫০। আপাতত আমার চিন্তার ধরনটি এমনই।

প্রশ্ন : সেই দৃষ্টিকোণ থেকে এইচপির হয়ে ইংল্যান্ড সফরটি তো স্বপ্নের মতোই কেটেছে।

নাজমুল : তা বলতে পারেন। আমি ওখানে দুটি করে সেঞ্চুরি আর ফিফটি করেছি। ওখানে যাওয়ার আগে স্কিল নিয়েও অনেক কাজ করে গিয়েছিলাম। সেসব কাজেও দিয়েছে। আর ওখানে গিয়ে কন্ডিশনের সঙ্গে বেশ মানিয়েও নিয়েছিলাম। সবচেয়ে বড় কথা ইংল্যান্ডে ছিল বিরুদ্ধ কন্ডিশন। সেখানে রান করার চ্যালেঞ্জ নিয়ে জেতার মজাই আলাদা।
Source : Collected

11:12 PM Share:

Friday, October 7, 2016



বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড ম্যাচে বৃষ্টির আশঙ্কা
অনেক জল্পনা-কল্পনার পর শুক্রবার দুপুরে মাঠে গড়াচ্ছে বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড ওয়ানডে সিরিজ।  মিরপুর জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বেলা আড়াইটার দিকে ম্যাচ শুরু হওয়ার কথা।
ম্যাচ নিয়ে টাইগার ভক্তদের মধ্যে চরম উত্তেজনা কাজ করছে। অনেকেই সরাসরি মাঠে গিয়ে খেলা দেখতে আগ্রহী।
আর সে ইচ্ছাকে পূর্ণতা দিতেই রাত থেকে রাজধানীর মিরপুর শেরেবাংলা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের কাছে দেখা গেছে টিকিটের দীর্ঘ লাইন।
তবে ভক্তদের ভাবাচ্ছে বৃষ্টির শংকা। বৃহস্পতিবার রাতভর বৃষ্টি হয়েছে। এরপর শুক্রবার সকাল থেকেই সূর্যের দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। বেশ কয়েকবার গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিও হয়েছে।
এদিকে আবহাওয়ার পূর্বাভাসেও বজ্রপাতসহ বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে। এ কারণে দুদলই তাদের সেরা একাদশ নির্বাচনে সময় নেবেন। বৃষ্টির ওপর নির্ভর করে দলে শেষ মুহূর্তে আসতে পারে পরিবর্তন।
সবকিছু ঠিক থাকলে আজ এক প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ দেখার অপেক্ষায় রয়েছে ক্রিকেটপ্রেমীরা। কারণ সফরে আসা ইংল্যান্ড ক্রিকেট টিমের তুলনায় বেশ অভিজ্ঞ টাইগার সদস্যরা।
আর ঘরের মাঠে ২০১৪ সালের শেষে দিক থেকে শেষ আফগানদের সফর পর্যন্ত অপরাজিত বাংলাদেশ।
সেদিক থেকে সিরিজে বেশ ভালো কিছু করে দেখাবেন মাশরাফিরা তেমনটাই সবার চাওয়া।
Source :kalerkantho
one day

বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড ম্যাচে বৃষ্টির আশঙ্কা



বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড ম্যাচে বৃষ্টির আশঙ্কা
অনেক জল্পনা-কল্পনার পর শুক্রবার দুপুরে মাঠে গড়াচ্ছে বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড ওয়ানডে সিরিজ।  মিরপুর জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বেলা আড়াইটার দিকে ম্যাচ শুরু হওয়ার কথা।
ম্যাচ নিয়ে টাইগার ভক্তদের মধ্যে চরম উত্তেজনা কাজ করছে। অনেকেই সরাসরি মাঠে গিয়ে খেলা দেখতে আগ্রহী।
আর সে ইচ্ছাকে পূর্ণতা দিতেই রাত থেকে রাজধানীর মিরপুর শেরেবাংলা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের কাছে দেখা গেছে টিকিটের দীর্ঘ লাইন।
তবে ভক্তদের ভাবাচ্ছে বৃষ্টির শংকা। বৃহস্পতিবার রাতভর বৃষ্টি হয়েছে। এরপর শুক্রবার সকাল থেকেই সূর্যের দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। বেশ কয়েকবার গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিও হয়েছে।
এদিকে আবহাওয়ার পূর্বাভাসেও বজ্রপাতসহ বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে। এ কারণে দুদলই তাদের সেরা একাদশ নির্বাচনে সময় নেবেন। বৃষ্টির ওপর নির্ভর করে দলে শেষ মুহূর্তে আসতে পারে পরিবর্তন।
সবকিছু ঠিক থাকলে আজ এক প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ দেখার অপেক্ষায় রয়েছে ক্রিকেটপ্রেমীরা। কারণ সফরে আসা ইংল্যান্ড ক্রিকেট টিমের তুলনায় বেশ অভিজ্ঞ টাইগার সদস্যরা।
আর ঘরের মাঠে ২০১৪ সালের শেষে দিক থেকে শেষ আফগানদের সফর পর্যন্ত অপরাজিত বাংলাদেশ।
সেদিক থেকে সিরিজে বেশ ভালো কিছু করে দেখাবেন মাশরাফিরা তেমনটাই সবার চাওয়া।
Source :kalerkantho

11:00 AM Share:

Thursday, February 25, 2016

http://worldcup-24.blogspot.com

‘এই পাঁচ বছর যদি সে খেলত, এখন বিশ্বের সেরা তিনজন বোলারের মধ্যে থাকত’—দুই দিন আগে বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলি এভাবেই প্রশংসায় ভাসিয়েছিলেন মোহাম্মদ আমিরকে। বাংলাদেশেই বিপিএলে দারুণ খেলা বড় ভূমিকা রেখেছে তাঁর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ​সাড়ে পাঁচ বছর পর ফিরে আসার পেছনে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার পর এই প্রথম আমির এলেন বাংলাদেশে। আজ দুপুরে টিম হোটেলে দেখা মিলল পাকিস্তানের বাঁহাতি পেসারের।
স্পট ফিক্সিংয়ে পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে আমির আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছেন গত জানুয়ারিতে। যদিও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে পারফরম্যান্স বলার মতো হয়নি। তিন ম্যাচে পেয়েছেন মাত্র ১ উইকেট। তবে ওয়ানডেতে বেশ উজ্জ্বলই ছিলেন, ২ ম্যাচে নিয়েছেন ৫ উইকেট।
আমিরের সামনে এবার আরও বড় সুযোগ। ৬ বছর পর খেলতে যাচ্ছেন এশিয়া কাপে। সময়ের সঙ্গে পাল্টেছে এই টুর্নামেন্টের ধরন। দীর্ঘ বিরতির কারণে এশিয়া কাপ আমিরের কাছে খানিকটা অপরিচিত হলেও মাঠ কিন্তু তাঁর যথেষ্ট চেনা। গত নভেম্বরে-ডিসেম্বরে এখানেই খেলে গিয়েছেন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল)।
এর আগে পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরলেও বিপিএলের ‘আন্তর্জাতিক’ আবহ অনেকটাই সাহায্য করেছে তাঁর আত্মবিশ্বাসের পাশাপাশি ছন্দ ফিরে পেতে। আমিরও স্বীকার করলেন, ‘বিপিএল খুব উপভোগ করেছিলাম। এটা আমাকে অনেক সহায়তা করেছে।’
চিটাগং ভাইকিংসের হয়ে বিপিএলে আমির ৯ ম্যাচে নিয়েছিলেন ১৪ উইকেট, যেটি দলের হয়ে সর্বোচ্চ। চিটাগংয়ের কথা উঠতেই আমিরের মনে পড়ল দলের অধিনায়ক তামিম ইকবালকে। পিএসএলে দুজন ভিন্ন দুটি দলের হয়ে খেললেও সেখানেও দেখা হয়েছে। আমিরর আগ্রহ নিয়েই জানতে চাইলেন, ‘তামিম কোথায়?’ সন্তানসম্ভবা স্ত্রীর পাশে থাকতে বাঁহাতি ওপেনার এখন ব্যাংককে। সেটা শুনে বললেন, ‘তামিম এবং ওর পরিবারের জন্য শুভকামনা। পিএসলেও তো দারুণ খেলেছে তামিম।’
পাকিস্তান সুপার লিগে সত্যি দুর্দান্ত খেলেছেন বাংলাদেশের ওপেনার। ৬ ম্যাচে ৬৬.৭৫ গড়ে রান করেছেন ২৬৭। এশিয়া কাপে সেই ফর্মটা ধরে রাখতে পারলে বাংলাদেশেরই ভালো হতো। তামিমকে আমিরের ‘মিস’ করাটা নেহাতই বন্ধুত্ব থেকে। প্রতিপক্ষ হিসেবে তামিমের না-থাকাটা আমিরের জন্য অবশ্যই সুখবর।
বাংলাদেশ দলের আলোচিত পেসার মুস্তাফিজুর রহমান যে তাঁর বোলিং ভীষণ পছন্দ করেন জানতেই মৃদু হাসলেন, ‘হ্যাঁ, জানি। ওর সঙ্গে এর দেখা-কথা হয়েছে।’
কাল ঢাকায় পা রেখেছে পাকিস্তান দল। আজ ছিল না কোনো অনুশীলন কিংবা সংবাদ সম্মেলন। খেলোয়াড়েরা অধিকাংশ সময় ব্যস্ত ছিলেন স্টার স্পোর্টসের ফটোশুটে। তবে আমির হাভভাবে বুঝে দিলেন, পাকিস্তান আসল ছবিটার ফ্রেমেই নিজেদের তুলে ধরতে চায়। ফাইনাল জিতে ট্রফি হাতেই!
t20

তামিমের খোঁজে আমির

http://worldcup-24.blogspot.com

‘এই পাঁচ বছর যদি সে খেলত, এখন বিশ্বের সেরা তিনজন বোলারের মধ্যে থাকত’—দুই দিন আগে বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলি এভাবেই প্রশংসায় ভাসিয়েছিলেন মোহাম্মদ আমিরকে। বাংলাদেশেই বিপিএলে দারুণ খেলা বড় ভূমিকা রেখেছে তাঁর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ​সাড়ে পাঁচ বছর পর ফিরে আসার পেছনে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার পর এই প্রথম আমির এলেন বাংলাদেশে। আজ দুপুরে টিম হোটেলে দেখা মিলল পাকিস্তানের বাঁহাতি পেসারের।
স্পট ফিক্সিংয়ে পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে আমির আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছেন গত জানুয়ারিতে। যদিও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে পারফরম্যান্স বলার মতো হয়নি। তিন ম্যাচে পেয়েছেন মাত্র ১ উইকেট। তবে ওয়ানডেতে বেশ উজ্জ্বলই ছিলেন, ২ ম্যাচে নিয়েছেন ৫ উইকেট।
আমিরের সামনে এবার আরও বড় সুযোগ। ৬ বছর পর খেলতে যাচ্ছেন এশিয়া কাপে। সময়ের সঙ্গে পাল্টেছে এই টুর্নামেন্টের ধরন। দীর্ঘ বিরতির কারণে এশিয়া কাপ আমিরের কাছে খানিকটা অপরিচিত হলেও মাঠ কিন্তু তাঁর যথেষ্ট চেনা। গত নভেম্বরে-ডিসেম্বরে এখানেই খেলে গিয়েছেন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল)।
এর আগে পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরলেও বিপিএলের ‘আন্তর্জাতিক’ আবহ অনেকটাই সাহায্য করেছে তাঁর আত্মবিশ্বাসের পাশাপাশি ছন্দ ফিরে পেতে। আমিরও স্বীকার করলেন, ‘বিপিএল খুব উপভোগ করেছিলাম। এটা আমাকে অনেক সহায়তা করেছে।’
চিটাগং ভাইকিংসের হয়ে বিপিএলে আমির ৯ ম্যাচে নিয়েছিলেন ১৪ উইকেট, যেটি দলের হয়ে সর্বোচ্চ। চিটাগংয়ের কথা উঠতেই আমিরের মনে পড়ল দলের অধিনায়ক তামিম ইকবালকে। পিএসএলে দুজন ভিন্ন দুটি দলের হয়ে খেললেও সেখানেও দেখা হয়েছে। আমিরর আগ্রহ নিয়েই জানতে চাইলেন, ‘তামিম কোথায়?’ সন্তানসম্ভবা স্ত্রীর পাশে থাকতে বাঁহাতি ওপেনার এখন ব্যাংককে। সেটা শুনে বললেন, ‘তামিম এবং ওর পরিবারের জন্য শুভকামনা। পিএসলেও তো দারুণ খেলেছে তামিম।’
পাকিস্তান সুপার লিগে সত্যি দুর্দান্ত খেলেছেন বাংলাদেশের ওপেনার। ৬ ম্যাচে ৬৬.৭৫ গড়ে রান করেছেন ২৬৭। এশিয়া কাপে সেই ফর্মটা ধরে রাখতে পারলে বাংলাদেশেরই ভালো হতো। তামিমকে আমিরের ‘মিস’ করাটা নেহাতই বন্ধুত্ব থেকে। প্রতিপক্ষ হিসেবে তামিমের না-থাকাটা আমিরের জন্য অবশ্যই সুখবর।
বাংলাদেশ দলের আলোচিত পেসার মুস্তাফিজুর রহমান যে তাঁর বোলিং ভীষণ পছন্দ করেন জানতেই মৃদু হাসলেন, ‘হ্যাঁ, জানি। ওর সঙ্গে এর দেখা-কথা হয়েছে।’
কাল ঢাকায় পা রেখেছে পাকিস্তান দল। আজ ছিল না কোনো অনুশীলন কিংবা সংবাদ সম্মেলন। খেলোয়াড়েরা অধিকাংশ সময় ব্যস্ত ছিলেন স্টার স্পোর্টসের ফটোশুটে। তবে আমির হাভভাবে বুঝে দিলেন, পাকিস্তান আসল ছবিটার ফ্রেমেই নিজেদের তুলে ধরতে চায়। ফাইনাল জিতে ট্রফি হাতেই!

11:30 PM Share:


তাঁর স্পট ফিক্সিং-কলঙ্ক এখন অতীত, পাকিস্তান দলে ফিরেছেন মোহাম্মদ আমির। শুধু ফেরেননি, ভালোও করছেন। এবং এটা অন্তত প্রমাণ করতে পেরেছেন যে ক্রিকেট থেকে দীর্ঘ নির্বাসন তাঁর সামর্থ্যে আঁচড় কাটতে পারেনি। এই মুহূর্তে আমির যখন নিজেকে আরও ধারালো করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, পাকিস্তানের সাবেক ফাস্ট বোলার আকিব জাভেদের মন্তব্য তাঁর মন খারাপ করে দিতে পারে। আকিব এখনো মনে-প্রাণে বিশ্বাস করেন আমিরকে পাকিস্তান দলে ফেরানোটা ঠিক হয়নি। 

সংযুক্ত আরব আমিরাতের কোচ এখন আকিব। ১৯৯২ বিশ্বকাপজয়ী পাকিস্তান দলের অন্যতম এই সদস্য আমিরের অপরাধ ক্ষমা করতে রাজি নন অন্য একটা কারণে। ২০১০ সালে ইংল্যান্ড সফরে সালমান বাট ও মোহাম্মদ আসিফের সঙ্গে আমিরের স্পট-ফিক্সিং কেলেঙ্কারি ফাঁস হয়েছিল, ওই সফরে পাকিস্তান দলের বোলিং কোচ ছিলেন আকিবই। এখনো তিনি আমির-আসিফ ও বাটের ঘটনায় নিজেকে ‘প্রতারিত’ মনে করেন, ‘আমি এখনো নিজেকে প্রতারিত মনে করি। খুবই বাজে ঘটনা ছিল সেটা। আমি সব সময়ই আমিরের পাকিস্তান দলে ফেরার বিরোধিতা করি। প্রত্যেকেরই কিছু নির্দিষ্ট মত থাকে। আমিরের ব্যাপারে আমার মত এমনই।’ 
আকিবের মতোই আমিরের ফেরার বিরোধিতা করেছিলেন পাকিস্তানের অনেক সাবেক ক্রিকেটার। রমিজ রাজা, ইনজামাম-উল হক থেকে শুরু করে অনেকেই। আমিরের ফেরার ঘটনায় তো জাতীয় দলের ক্যাম্পই বর্জন করেছিলেন মোহাম্মদ হাফিজ ও ওয়ানডে অধিনায়ক আজহার আলী। আকিব জাভেদ অবশ্য আমিরের ফেরাটাকে ‘আইসিসির ইচ্ছা’ হিসেবেই দেখতে চান, ‘আইসিসি চেয়েছে পাঁচ বছরের নির্বাসন শেষে আমির ফিরুক, সে জন্যই সে ফিরেছে। আমার বিষয়টা নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। সবচেয়ে বড় কথা আমি এটা নিয়ে মাথাই ঘামাই না। আমি আমার ভাবনা-বিশ্বাস নিয়েই থাকি। যেহেতু সে দলে ফিরেছে, এখন নতুন করে শুরু করুক। নিজের অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিক। তবে আজ থেকে ছয় বছর আগে আমির যা করেছিল, তা আজও আমাকে ব্যথাতুর করে তোলে।’ সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
t20

আমিরকে ফেরানো ঠিক হয়নি, বলছেন আকিব



তাঁর স্পট ফিক্সিং-কলঙ্ক এখন অতীত, পাকিস্তান দলে ফিরেছেন মোহাম্মদ আমির। শুধু ফেরেননি, ভালোও করছেন। এবং এটা অন্তত প্রমাণ করতে পেরেছেন যে ক্রিকেট থেকে দীর্ঘ নির্বাসন তাঁর সামর্থ্যে আঁচড় কাটতে পারেনি। এই মুহূর্তে আমির যখন নিজেকে আরও ধারালো করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, পাকিস্তানের সাবেক ফাস্ট বোলার আকিব জাভেদের মন্তব্য তাঁর মন খারাপ করে দিতে পারে। আকিব এখনো মনে-প্রাণে বিশ্বাস করেন আমিরকে পাকিস্তান দলে ফেরানোটা ঠিক হয়নি। 

সংযুক্ত আরব আমিরাতের কোচ এখন আকিব। ১৯৯২ বিশ্বকাপজয়ী পাকিস্তান দলের অন্যতম এই সদস্য আমিরের অপরাধ ক্ষমা করতে রাজি নন অন্য একটা কারণে। ২০১০ সালে ইংল্যান্ড সফরে সালমান বাট ও মোহাম্মদ আসিফের সঙ্গে আমিরের স্পট-ফিক্সিং কেলেঙ্কারি ফাঁস হয়েছিল, ওই সফরে পাকিস্তান দলের বোলিং কোচ ছিলেন আকিবই। এখনো তিনি আমির-আসিফ ও বাটের ঘটনায় নিজেকে ‘প্রতারিত’ মনে করেন, ‘আমি এখনো নিজেকে প্রতারিত মনে করি। খুবই বাজে ঘটনা ছিল সেটা। আমি সব সময়ই আমিরের পাকিস্তান দলে ফেরার বিরোধিতা করি। প্রত্যেকেরই কিছু নির্দিষ্ট মত থাকে। আমিরের ব্যাপারে আমার মত এমনই।’ 
আকিবের মতোই আমিরের ফেরার বিরোধিতা করেছিলেন পাকিস্তানের অনেক সাবেক ক্রিকেটার। রমিজ রাজা, ইনজামাম-উল হক থেকে শুরু করে অনেকেই। আমিরের ফেরার ঘটনায় তো জাতীয় দলের ক্যাম্পই বর্জন করেছিলেন মোহাম্মদ হাফিজ ও ওয়ানডে অধিনায়ক আজহার আলী। আকিব জাভেদ অবশ্য আমিরের ফেরাটাকে ‘আইসিসির ইচ্ছা’ হিসেবেই দেখতে চান, ‘আইসিসি চেয়েছে পাঁচ বছরের নির্বাসন শেষে আমির ফিরুক, সে জন্যই সে ফিরেছে। আমার বিষয়টা নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। সবচেয়ে বড় কথা আমি এটা নিয়ে মাথাই ঘামাই না। আমি আমার ভাবনা-বিশ্বাস নিয়েই থাকি। যেহেতু সে দলে ফিরেছে, এখন নতুন করে শুরু করুক। নিজের অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিক। তবে আজ থেকে ছয় বছর আগে আমির যা করেছিল, তা আজও আমাকে ব্যথাতুর করে তোলে।’ সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

7:08 PM Share:

Wednesday, February 24, 2016

http://worldcup-24.blogspot.com/

একপাশে যাওয়া আসার ছোটখাটো মিছিল। একে একে দেউটি নেভার মতো নিভে গেলেন ধাওয়ান, কোহলি, রায়না। একপ্রান্ত আগলে রেখেছিলেন যিনি সেই রোহিত শর্মার ব্যাটিং-দীপেও দমকা বাতাস লাগাল তাসকিন-ঝড়। কিন্তু নিভতে নিভতে নিভল না। পয়েন্টে দাঁড়িয়ে থাকা সাকিব হাতে এসে পড়া বলটা রাখতে পারলেন না! রোহিত স্টিভ ওয়াহ নন। হলে হয়তো বলাই যেত, ‘ম্যাচটাই তো ফেলে দিলে বাছা!’
বিশের আশপাশে ফেরার কথা ছিল যাঁর, সেই রোহিত ব্যাটিংয়ে বিষ ছড়িয়ে ফিফটি পার করে সেঞ্চুরিই করে ফেলছিলেন প্রায়। ২৮ বলে ২১ করে ফেরার কথা যাঁর, সেই তিনি শেষ পর্যন্ত ৫৫ বলে ৮৩ করে ফিরলেন। চাপে হাঁসফাঁস করতে থাকা ভারতের ৫২ রানে চার উইকেট হারিয়ে আরও কোণঠাসা হওয়ার কথা ছিল। সেই তারাই চাপটা পুরো চালান করে দিল বাংলাদেশের ওপর। এই ক্যাচটাই শেষে হয়ে গেল ম্যাচের ফল নির্ধারক। ভারতের ৬ উইকেটে করা ১৬৬ রানের জবাবে বাংলাদেশ ৭ উইকেটে করল ১২১। ম্যাচ হারল ৪৫ রানে।
৩২ বলে ৪৪ করা সাব্বিরই যা একটু লড়াই করলেন। বাংলাদেশের ইনিংসে বলার মতো আর কিছু নেই। এক বাক্যেই শেষ! এশিয়া কাপের শুরুটা ভালো হলো না বাংলাদেশের। অথচ বৃষ্টি-শঙ্কা মাথায় নিয়ে শুরু হওয়া ম্যাচটায় অন্য এক আনন্দের বর্ষণে ভেজার প্রতিশ্রুতিই ছিল। 
সাকিব পরে বোলিংয়ে এসে যুবরাজ সিংয়ের উইকেটটি তুলে নিয়ে কিছুটা প্রায়শ্চিত্ত করেছেন বলেই মনে হয়েছিল। কিন্তু উল্টো বাংলাদেশের জন্য সেটিই পরে হয়ে গেছে ‘বর’-এ ‘শাপ’! যুবরাজের পর ব্যাটিংয়ে নেমে ১৮ বলে ৩১ করেছেন হার্দিক পান্ডিয়া, যুবরাজ যেখানে ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালের সেই ব্যাটিংটা মনে করিয়ে দিচ্ছিলেন খুটখুট করে খেলে। ব্যাটিংয়েও সাকিব দলের বিপদ বাড়িয়েছেন ৮ বলে ৩ রান করে রান আউট হয়ে। বাংলাদেশের বহু স্মরণীয় দিনের নায়ক সাকিবের জন্য আজকের রাতটা যেন ভুলে যাওয়ার রাত!
অথচ সবকিছুই ছিল বাংলাদেশের মুঠোয়। আগের দুই ওভারে মাত্র ৮ রান দিয়ে একাদশ ওভারে ফেরা তাসকিন তৃতীয় বলেই পেতে পারতেন উইকেটটি। প্রথম দুই বলে সজোরে ব্যাট চালিয়েও লাগাতে পারেনি রোহিত। টানা দুটি ডট বলে ভারতীয় ওপেনারকে চাপে ফেলার পুরস্কার প্রায় পেয়েই গিয়েছিলেন। সাকিব ক্যাচ ফেলার পর হতাশায় মাথা নাড়লেন, তাসকিন তখনো জানতেন না, বড় হতাশা অপেক্ষা করছে আরও পরে। ওই ওভারের চতুর্থ বলেই চার, পঞ্চম বলে ছক্কা, ষষ্ঠ বলে আবার চার! তাসকিন কেন, বাংলাদেশ তখনো জানত না, আরও বড় ঝড় আসছে সামনে।
এই ক্যাচ ফেলাটা কত বড় ভূমিকা রেখেছে ভারতের ইনিংসে? প্রথম ৬৩ বলে ৫২। পরের ৫৭ বলে ভারত তুলল ১১৪। ওই ক্যাচের আগে রান রেট যেখানে ছয়ের নিচে, পরের ৫৭ বলে সেটি গেল ১২তে! জীবন ফিরে পাওয়ার পর রোহিত ২৫ বলে করলেন ৬২। প্রথম দশ ওভারে মাত্র চারটি চার মারা ভারত, পরের দশ ওভার মারল ১১টি চার আর পাঁচটি ছক্কা!
অথচ তাসকিনের করা ইনিংসের প্রথম বলটা থেকেই বাংলাদেশ কী দুর্দান্ত শুরুটাই না করেছিল। দ্বিতীয় ওভারে আল-আমিন স্টাম্প উপড়ে ফেললেন শিখর ধাওয়ানের। মুস্তাফিজের তৈরি করা চাপ থেকে মুক্তি পেতে কোহলি যেন আত্মসমর্পণই করলেন মাশরাফির করা পঞ্চম ওভারে ক্যাচ তুলে দিয়ে। অষ্টম ওভারে রায়নাকে বোল্ড করে দিলেন পার্টটাইম স্পিনার মাহমুদউল্লাহ। 
সবকিছু কেমন ভোজবাজির মতো বদলে যেতে থাকল একাদশ ওভারের তৃতীয় বলে রোহিত বেঁচে যাওয়ার পর। বদলে যাওয়ার ছবিটায় সবচেয়ে বড় চোখে বিঁধল—মুস্তাফিজ ৪ ওভারে ৪০ রান দিয়ে উইকেটশূন্য! ভারতের বিপক্ষে এই প্রথম বোলিং করে উইকেট পেলেন না সেই আলোচিত তিন ওয়ানডের সিরিজে রেকর্ড ১৩ উইকেট নেওয়া এই পেসার!
ওই একটা ক্যাচ...ওই একটা ক্যাচ...!
virat kohli

সাকিবের ক্যাচ ফেলাটাই তো পোড়াল!

http://worldcup-24.blogspot.com/

একপাশে যাওয়া আসার ছোটখাটো মিছিল। একে একে দেউটি নেভার মতো নিভে গেলেন ধাওয়ান, কোহলি, রায়না। একপ্রান্ত আগলে রেখেছিলেন যিনি সেই রোহিত শর্মার ব্যাটিং-দীপেও দমকা বাতাস লাগাল তাসকিন-ঝড়। কিন্তু নিভতে নিভতে নিভল না। পয়েন্টে দাঁড়িয়ে থাকা সাকিব হাতে এসে পড়া বলটা রাখতে পারলেন না! রোহিত স্টিভ ওয়াহ নন। হলে হয়তো বলাই যেত, ‘ম্যাচটাই তো ফেলে দিলে বাছা!’
বিশের আশপাশে ফেরার কথা ছিল যাঁর, সেই রোহিত ব্যাটিংয়ে বিষ ছড়িয়ে ফিফটি পার করে সেঞ্চুরিই করে ফেলছিলেন প্রায়। ২৮ বলে ২১ করে ফেরার কথা যাঁর, সেই তিনি শেষ পর্যন্ত ৫৫ বলে ৮৩ করে ফিরলেন। চাপে হাঁসফাঁস করতে থাকা ভারতের ৫২ রানে চার উইকেট হারিয়ে আরও কোণঠাসা হওয়ার কথা ছিল। সেই তারাই চাপটা পুরো চালান করে দিল বাংলাদেশের ওপর। এই ক্যাচটাই শেষে হয়ে গেল ম্যাচের ফল নির্ধারক। ভারতের ৬ উইকেটে করা ১৬৬ রানের জবাবে বাংলাদেশ ৭ উইকেটে করল ১২১। ম্যাচ হারল ৪৫ রানে।
৩২ বলে ৪৪ করা সাব্বিরই যা একটু লড়াই করলেন। বাংলাদেশের ইনিংসে বলার মতো আর কিছু নেই। এক বাক্যেই শেষ! এশিয়া কাপের শুরুটা ভালো হলো না বাংলাদেশের। অথচ বৃষ্টি-শঙ্কা মাথায় নিয়ে শুরু হওয়া ম্যাচটায় অন্য এক আনন্দের বর্ষণে ভেজার প্রতিশ্রুতিই ছিল। 
সাকিব পরে বোলিংয়ে এসে যুবরাজ সিংয়ের উইকেটটি তুলে নিয়ে কিছুটা প্রায়শ্চিত্ত করেছেন বলেই মনে হয়েছিল। কিন্তু উল্টো বাংলাদেশের জন্য সেটিই পরে হয়ে গেছে ‘বর’-এ ‘শাপ’! যুবরাজের পর ব্যাটিংয়ে নেমে ১৮ বলে ৩১ করেছেন হার্দিক পান্ডিয়া, যুবরাজ যেখানে ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালের সেই ব্যাটিংটা মনে করিয়ে দিচ্ছিলেন খুটখুট করে খেলে। ব্যাটিংয়েও সাকিব দলের বিপদ বাড়িয়েছেন ৮ বলে ৩ রান করে রান আউট হয়ে। বাংলাদেশের বহু স্মরণীয় দিনের নায়ক সাকিবের জন্য আজকের রাতটা যেন ভুলে যাওয়ার রাত!
অথচ সবকিছুই ছিল বাংলাদেশের মুঠোয়। আগের দুই ওভারে মাত্র ৮ রান দিয়ে একাদশ ওভারে ফেরা তাসকিন তৃতীয় বলেই পেতে পারতেন উইকেটটি। প্রথম দুই বলে সজোরে ব্যাট চালিয়েও লাগাতে পারেনি রোহিত। টানা দুটি ডট বলে ভারতীয় ওপেনারকে চাপে ফেলার পুরস্কার প্রায় পেয়েই গিয়েছিলেন। সাকিব ক্যাচ ফেলার পর হতাশায় মাথা নাড়লেন, তাসকিন তখনো জানতেন না, বড় হতাশা অপেক্ষা করছে আরও পরে। ওই ওভারের চতুর্থ বলেই চার, পঞ্চম বলে ছক্কা, ষষ্ঠ বলে আবার চার! তাসকিন কেন, বাংলাদেশ তখনো জানত না, আরও বড় ঝড় আসছে সামনে।
এই ক্যাচ ফেলাটা কত বড় ভূমিকা রেখেছে ভারতের ইনিংসে? প্রথম ৬৩ বলে ৫২। পরের ৫৭ বলে ভারত তুলল ১১৪। ওই ক্যাচের আগে রান রেট যেখানে ছয়ের নিচে, পরের ৫৭ বলে সেটি গেল ১২তে! জীবন ফিরে পাওয়ার পর রোহিত ২৫ বলে করলেন ৬২। প্রথম দশ ওভারে মাত্র চারটি চার মারা ভারত, পরের দশ ওভার মারল ১১টি চার আর পাঁচটি ছক্কা!
অথচ তাসকিনের করা ইনিংসের প্রথম বলটা থেকেই বাংলাদেশ কী দুর্দান্ত শুরুটাই না করেছিল। দ্বিতীয় ওভারে আল-আমিন স্টাম্প উপড়ে ফেললেন শিখর ধাওয়ানের। মুস্তাফিজের তৈরি করা চাপ থেকে মুক্তি পেতে কোহলি যেন আত্মসমর্পণই করলেন মাশরাফির করা পঞ্চম ওভারে ক্যাচ তুলে দিয়ে। অষ্টম ওভারে রায়নাকে বোল্ড করে দিলেন পার্টটাইম স্পিনার মাহমুদউল্লাহ। 
সবকিছু কেমন ভোজবাজির মতো বদলে যেতে থাকল একাদশ ওভারের তৃতীয় বলে রোহিত বেঁচে যাওয়ার পর। বদলে যাওয়ার ছবিটায় সবচেয়ে বড় চোখে বিঁধল—মুস্তাফিজ ৪ ওভারে ৪০ রান দিয়ে উইকেটশূন্য! ভারতের বিপক্ষে এই প্রথম বোলিং করে উইকেট পেলেন না সেই আলোচিত তিন ওয়ানডের সিরিজে রেকর্ড ১৩ উইকেট নেওয়া এই পেসার!
ওই একটা ক্যাচ...ওই একটা ক্যাচ...!

11:30 PM Share:
http://worldcup-24.blogspot.com/


এই সেদিন শেষ হওয়া মাস্টার্স চ্যাম্পিয়নস লিগেও দুজনের কী দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। তার আগে অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশেও একই। অত দূর খুঁজতে হবে না, সর্বশেষ দশ ম্যাচের পারফরম্যান্সই দেখুন। একজনের পাঁচ ফিফটি, অন্যজনের ফিফটি একটা কম, সেটি আবার ‘পুষিয়ে’ দিয়েছেন সেঞ্চুরি করে!

শ্রীলঙ্কার সমর্থক না হলেও এই দুজনের ব্যাটিংয়ের ভক্ত হতে পারে যে কেউ। আর তাই আপনার অভিমান হতেই পারে। কুমার সাঙ্গাকারা ও মাহেলা জয়াবর্ধনে, এত ভালোই যদি খেলবেন, তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর কেন? ফিফটি-সেঞ্চুরি যদি করবেনই, সবুজ মাঠে শিল্পের ছোঁয়া দিয়ে যাওয়া শটগুলো যদি খেলবেনই, তবে দুবাইয়ের স্টেডিয়ামের অল্প কিছু দর্শকের সামনে ‘পিকনিক ক্রিকেটে’ কেন? আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আর কিছুদিন খেলে গেলে কী এমন ক্ষতি হতো! কী দরকার ছিল শুধু শুধু এভাবে ক্রিকেটপ্রেমীদের দীর্ঘশ্বাস বাড়ানোর?
দুজনের যেমন অভ্যাস, প্রশ্নটা শুনলে হয়তো মুচকি হেসে চুপটি করে দাঁড়িয়ে থাকবেন। সাধারণ দর্শকদের আক্ষেপটা তাতে শুধু বাড়বেই। দুয়ারে আরেকটি এশিয়া কাপ, তাতে সাঙ্গা-জয়া নেই!
১৬ বছর বয়সী এই শতাব্দীতে এর আগে ছয়টি এশিয়া কাপ হয়েছে। শ্রীলঙ্কা ছয়বারই খেলেছে, ছয়টি দলে অনেক খেলোয়াড় পরিবর্তন হয়েছে। তবে সবগুলোতেই দুটি নাম ছিল ধ্রুবক—কুমার সাঙ্গাকারা ও মাহেলা জয়াবর্ধনে। এবারই ব্যতিক্রম।
এশিয়া কাপে তাঁদের দুজনের হাতের ছাপ অবশ্য এখনো রয়ে গেছে। দুবছর আগে সর্বশেষ এশিয়া কাপে মিরপুরের মাঠে যে দলকে চ্যাম্পিয়ন করে গেছেন। জিতিয়েছেন তার কদিন পরে হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও, সেটিও শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামেই। আরেকবার মিরপুরে এশিয়া কাপ। এবারও থাকবে শ্রীলঙ্কা। কিন্তু তবু হয়তো ‘কী যেন একটা নেই’—অনুভূতিটা ফিরে ফিরে আসবে।
আসারই কথা। ক্রিকেট রোমান্টিকেরা অনুভব করবেন জয়াবর্ধনে-সাঙ্গাকারার শূন্যতা, ক্রিকেটও অনুভব করবে শ্রীলঙ্কান দুই নায়ককে। টি-টোয়েন্টি সংস্করণে হওয়া প্রথম এই এশিয়া কাপে হয়তো অনেক রোমাঞ্চ ছড়ানো ম্যাচ হবে, ধুন্ধুমার ব্যাটিংয়ে বড় অনেক ইনিংসও হয়তো দেখবেন, অনেক চার-ছক্কাও। টি-টোয়েন্টির মন্ত্রও তো তা-ই।
কিন্তু দিন শেষে এটি ক্রিকেটই। নিখাদ ক্রিকেটপ্রেমী চোখ হয়তো এর মধ্যেও তৃষ্ণা নিয়ে খুঁজে ফিরবে চোখে পরশ বোলানো কোনো কাভার ড্রাইভ, ক্রিকেট ব্যাকরণে ঋদ্ধ কোনো হুক-পুল। টি-টোয়েন্টির ধর্মে দীক্ষিত ডাকাবুকোদের ভিড়ে জয়াবর্ধনে-সাঙ্গাকারার চেয়ে ভালোভাবে সেটি কে করতে পারতেন!
জয়াবর্ধনে ছিলেন ব্যাটিং সৌন্দর্যের একনিষ্ঠ পূজারি। চোখের জন্য প্রশান্তির ছিল তাঁর ব্যাটিং। প্রতি শটে ব্যাট যেন বলে আদুরে পরশ বুলিয়ে যায়। মাঝেমধ্যে টি–টোয়েন্টির দাবি মেনে স্কুপ-টুপও খেলতেন। যেন দেখিয়ে দেওয়া, ‘দেখো, এখানেও আমি-ই মাস্টার’।
আর সাঙ্গাকারা? ক্রিকেট ব্যাকরণের ক্লাসে একেবারে ফার্স্ট বেঞ্চের ছাত্র। টি-টোয়েন্টিতেও ব্যাকরণ মেনে খেলার ব্যাপারে খুব একটা আপস করেননি। কিন্তু দর্শক বিনোদনের বিষয়ে কখনো আপস করেছেন?
অপরাধ হবে তাঁদের দুজনের স্মৃতিকথনে শুধু ব্যাটিং নিয়ে কথা বলাও। ব্যাটিংয়ের মতো শুদ্ধবাদী তো তাঁরা ছিলেন খেলার চেতনার দিক দিয়েও। ‘জেন্টলম্যানস গেমে’র দুই ‘ট্রু জেন্টলম্যান’! মাঠে বা মাঠের বাইরে। তবে ‘বিনয়’ শব্দটার মধ্যে যে একটা নীরস ভাব থাকে, সাঙ্গা-জয়া তো তেমনও নন। দুজনই শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক ছিলেন, তাই সংবাদ সম্মেলনে অনেক বেশিই আসতে হতো। যেকোনো ক্রীড়াব্যক্তিত্বকে জিজ্ঞেস করে দেখুন, সেসব সংবাদ সম্মেলন নিয়ে মজার অভিজ্ঞতার ঝুলি খুলে বসে যাবেন হয়তো। বিনয় মানে এমন নয়, আক্রমণাত্মক ছিলেন না। কিন্তু সেই আক্রমণাত্মক ভাষা কখনো কানে বেঁধেনি।
দুজন না থাকায় হয়তো প্রতিপক্ষ দলের জন্য একটু সুবিধাই হয়েছে। শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হওয়ার আগে নিজেদের টিম মিটিংয়ে মাশরাফি-ধোনি-আফ্রিদিরা হয়তো এটি ভেবে স্বস্তি বোধ করবেন। অবশ্য একটু খারাপও লাগতে পারে—চ্যাম্পিয়ন খেলোয়াড়দের মুখোমুখি হওয়ার মধ্যেই তো আনন্দটা সবচেয়ে বেশি!
অন্য দলগুলোর অধিনায়কদের মিশ্র অনুভূতি হতে পারে, কিন্তু অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস? কী ভাববেন টিম মিটিংয়ে বসে? হয়তো দুই কাঁধে দুই নায়কের হাতের নির্ভরতার ছোঁয়ার শূন্যতা অনুভব করবেন। হয়তো কেন? করবেন নিশ্চয়ই!
আর তাঁরা দুজন? মাঠে দুজনের মধ্যে বন্ধুত্বটাকে মাঠের বাইরেও নিয়ে গেছেন সাঙ্গাকারা-জয়াবর্ধনে। দুজনে মিলে শ্রীলঙ্কায় একটা রেস্তোরাঁয় বিনিয়োগ করেছেন। এবার এশিয়া কাপটা হয়তো ‘মিনিস্ট্রি অব ক্র্যাব’ নামের সেই রেস্তোরাঁয় টিভি পর্দায় দেখে কাটাবেন। কে জানে, খেলা দেখতে দেখতে হয়তো গোপন দীর্ঘশ্বাস বেরোবে দুজনেরই।
দীর্ঘশ্বাস বেরোবে আরও শত–সহস্র ক্রিকেটপ্রেমীরও।
india vs sri lanka 2016

মনে পড়বে ওই দুজনকে

http://worldcup-24.blogspot.com/


এই সেদিন শেষ হওয়া মাস্টার্স চ্যাম্পিয়নস লিগেও দুজনের কী দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। তার আগে অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশেও একই। অত দূর খুঁজতে হবে না, সর্বশেষ দশ ম্যাচের পারফরম্যান্সই দেখুন। একজনের পাঁচ ফিফটি, অন্যজনের ফিফটি একটা কম, সেটি আবার ‘পুষিয়ে’ দিয়েছেন সেঞ্চুরি করে!

শ্রীলঙ্কার সমর্থক না হলেও এই দুজনের ব্যাটিংয়ের ভক্ত হতে পারে যে কেউ। আর তাই আপনার অভিমান হতেই পারে। কুমার সাঙ্গাকারা ও মাহেলা জয়াবর্ধনে, এত ভালোই যদি খেলবেন, তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর কেন? ফিফটি-সেঞ্চুরি যদি করবেনই, সবুজ মাঠে শিল্পের ছোঁয়া দিয়ে যাওয়া শটগুলো যদি খেলবেনই, তবে দুবাইয়ের স্টেডিয়ামের অল্প কিছু দর্শকের সামনে ‘পিকনিক ক্রিকেটে’ কেন? আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আর কিছুদিন খেলে গেলে কী এমন ক্ষতি হতো! কী দরকার ছিল শুধু শুধু এভাবে ক্রিকেটপ্রেমীদের দীর্ঘশ্বাস বাড়ানোর?
দুজনের যেমন অভ্যাস, প্রশ্নটা শুনলে হয়তো মুচকি হেসে চুপটি করে দাঁড়িয়ে থাকবেন। সাধারণ দর্শকদের আক্ষেপটা তাতে শুধু বাড়বেই। দুয়ারে আরেকটি এশিয়া কাপ, তাতে সাঙ্গা-জয়া নেই!
১৬ বছর বয়সী এই শতাব্দীতে এর আগে ছয়টি এশিয়া কাপ হয়েছে। শ্রীলঙ্কা ছয়বারই খেলেছে, ছয়টি দলে অনেক খেলোয়াড় পরিবর্তন হয়েছে। তবে সবগুলোতেই দুটি নাম ছিল ধ্রুবক—কুমার সাঙ্গাকারা ও মাহেলা জয়াবর্ধনে। এবারই ব্যতিক্রম।
এশিয়া কাপে তাঁদের দুজনের হাতের ছাপ অবশ্য এখনো রয়ে গেছে। দুবছর আগে সর্বশেষ এশিয়া কাপে মিরপুরের মাঠে যে দলকে চ্যাম্পিয়ন করে গেছেন। জিতিয়েছেন তার কদিন পরে হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও, সেটিও শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামেই। আরেকবার মিরপুরে এশিয়া কাপ। এবারও থাকবে শ্রীলঙ্কা। কিন্তু তবু হয়তো ‘কী যেন একটা নেই’—অনুভূতিটা ফিরে ফিরে আসবে।
আসারই কথা। ক্রিকেট রোমান্টিকেরা অনুভব করবেন জয়াবর্ধনে-সাঙ্গাকারার শূন্যতা, ক্রিকেটও অনুভব করবে শ্রীলঙ্কান দুই নায়ককে। টি-টোয়েন্টি সংস্করণে হওয়া প্রথম এই এশিয়া কাপে হয়তো অনেক রোমাঞ্চ ছড়ানো ম্যাচ হবে, ধুন্ধুমার ব্যাটিংয়ে বড় অনেক ইনিংসও হয়তো দেখবেন, অনেক চার-ছক্কাও। টি-টোয়েন্টির মন্ত্রও তো তা-ই।
কিন্তু দিন শেষে এটি ক্রিকেটই। নিখাদ ক্রিকেটপ্রেমী চোখ হয়তো এর মধ্যেও তৃষ্ণা নিয়ে খুঁজে ফিরবে চোখে পরশ বোলানো কোনো কাভার ড্রাইভ, ক্রিকেট ব্যাকরণে ঋদ্ধ কোনো হুক-পুল। টি-টোয়েন্টির ধর্মে দীক্ষিত ডাকাবুকোদের ভিড়ে জয়াবর্ধনে-সাঙ্গাকারার চেয়ে ভালোভাবে সেটি কে করতে পারতেন!
জয়াবর্ধনে ছিলেন ব্যাটিং সৌন্দর্যের একনিষ্ঠ পূজারি। চোখের জন্য প্রশান্তির ছিল তাঁর ব্যাটিং। প্রতি শটে ব্যাট যেন বলে আদুরে পরশ বুলিয়ে যায়। মাঝেমধ্যে টি–টোয়েন্টির দাবি মেনে স্কুপ-টুপও খেলতেন। যেন দেখিয়ে দেওয়া, ‘দেখো, এখানেও আমি-ই মাস্টার’।
আর সাঙ্গাকারা? ক্রিকেট ব্যাকরণের ক্লাসে একেবারে ফার্স্ট বেঞ্চের ছাত্র। টি-টোয়েন্টিতেও ব্যাকরণ মেনে খেলার ব্যাপারে খুব একটা আপস করেননি। কিন্তু দর্শক বিনোদনের বিষয়ে কখনো আপস করেছেন?
অপরাধ হবে তাঁদের দুজনের স্মৃতিকথনে শুধু ব্যাটিং নিয়ে কথা বলাও। ব্যাটিংয়ের মতো শুদ্ধবাদী তো তাঁরা ছিলেন খেলার চেতনার দিক দিয়েও। ‘জেন্টলম্যানস গেমে’র দুই ‘ট্রু জেন্টলম্যান’! মাঠে বা মাঠের বাইরে। তবে ‘বিনয়’ শব্দটার মধ্যে যে একটা নীরস ভাব থাকে, সাঙ্গা-জয়া তো তেমনও নন। দুজনই শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক ছিলেন, তাই সংবাদ সম্মেলনে অনেক বেশিই আসতে হতো। যেকোনো ক্রীড়াব্যক্তিত্বকে জিজ্ঞেস করে দেখুন, সেসব সংবাদ সম্মেলন নিয়ে মজার অভিজ্ঞতার ঝুলি খুলে বসে যাবেন হয়তো। বিনয় মানে এমন নয়, আক্রমণাত্মক ছিলেন না। কিন্তু সেই আক্রমণাত্মক ভাষা কখনো কানে বেঁধেনি।
দুজন না থাকায় হয়তো প্রতিপক্ষ দলের জন্য একটু সুবিধাই হয়েছে। শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হওয়ার আগে নিজেদের টিম মিটিংয়ে মাশরাফি-ধোনি-আফ্রিদিরা হয়তো এটি ভেবে স্বস্তি বোধ করবেন। অবশ্য একটু খারাপও লাগতে পারে—চ্যাম্পিয়ন খেলোয়াড়দের মুখোমুখি হওয়ার মধ্যেই তো আনন্দটা সবচেয়ে বেশি!
অন্য দলগুলোর অধিনায়কদের মিশ্র অনুভূতি হতে পারে, কিন্তু অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস? কী ভাববেন টিম মিটিংয়ে বসে? হয়তো দুই কাঁধে দুই নায়কের হাতের নির্ভরতার ছোঁয়ার শূন্যতা অনুভব করবেন। হয়তো কেন? করবেন নিশ্চয়ই!
আর তাঁরা দুজন? মাঠে দুজনের মধ্যে বন্ধুত্বটাকে মাঠের বাইরেও নিয়ে গেছেন সাঙ্গাকারা-জয়াবর্ধনে। দুজনে মিলে শ্রীলঙ্কায় একটা রেস্তোরাঁয় বিনিয়োগ করেছেন। এবার এশিয়া কাপটা হয়তো ‘মিনিস্ট্রি অব ক্র্যাব’ নামের সেই রেস্তোরাঁয় টিভি পর্দায় দেখে কাটাবেন। কে জানে, খেলা দেখতে দেখতে হয়তো গোপন দীর্ঘশ্বাস বেরোবে দুজনেরই।
দীর্ঘশ্বাস বেরোবে আরও শত–সহস্র ক্রিকেটপ্রেমীরও।

11:18 PM Share:

Sunday, February 21, 2016

এশিয়া কাপে অংশ নিতে রোববার দুপুরে ঢাকায় আসছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল। ভারতীয় দল আসছে রাতে।

 

রোববার দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলকে বহনকারী বিমান। রাত ৮টা ৪০ মিনিটে আসবে মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বাধীন ভারত।

 

টানা তৃতীয়বারের মতো এশিয়া কাপের আয়োজকের দায়িত্বে বাংলাদেশ। তবে টুর্নামেন্টটি এবারই প্রথম টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে হতে যাচ্ছে। ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে মূল পর্বের খেলা শুরু হচ্ছে। প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবে ভারত ও স্বাগতিক বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার প্রথম ম্যাচ বাছাইপর্বের সেরা দলের বিপক্ষে।

 

এশিয়ার আরেক পরাশক্তি পাকিস্তানের প্রথম ম্যাচ ভারতের বিপক্ষে ২৭ ফেব্রুয়ারি। পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা আরব আমিরাতে পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) খেলতে ব্যস্ত আছেন। ২৩ তারিখ পিএসএলের পর্দা নামবে। পরদিন ২৪ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) ঢাকায় পা রাখবে ২০১২ সালের এশিয়ান চ্যাম্পিয়নরা।

 

বাংলাদেশেই চলছে এশিয়া কাপের চার দলের বাছাইপর্ব। আইসিসির চার সহযোগী দেশ আফগানিস্তান, আরব আমিরাত, হংকং ও ওমান একে অপরের বিপক্ষে লড়ছে। শীর্ষ দল জায়গা পাবে মূল মঞ্চে।

t20

দুপুরে আসছে শ্রীলঙ্কা, রাতে ভারত

এশিয়া কাপে অংশ নিতে রোববার দুপুরে ঢাকায় আসছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল। ভারতীয় দল আসছে রাতে।

 

রোববার দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলকে বহনকারী বিমান। রাত ৮টা ৪০ মিনিটে আসবে মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বাধীন ভারত।

 

টানা তৃতীয়বারের মতো এশিয়া কাপের আয়োজকের দায়িত্বে বাংলাদেশ। তবে টুর্নামেন্টটি এবারই প্রথম টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে হতে যাচ্ছে। ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে মূল পর্বের খেলা শুরু হচ্ছে। প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবে ভারত ও স্বাগতিক বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার প্রথম ম্যাচ বাছাইপর্বের সেরা দলের বিপক্ষে।

 

এশিয়ার আরেক পরাশক্তি পাকিস্তানের প্রথম ম্যাচ ভারতের বিপক্ষে ২৭ ফেব্রুয়ারি। পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা আরব আমিরাতে পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) খেলতে ব্যস্ত আছেন। ২৩ তারিখ পিএসএলের পর্দা নামবে। পরদিন ২৪ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) ঢাকায় পা রাখবে ২০১২ সালের এশিয়ান চ্যাম্পিয়নরা।

 

বাংলাদেশেই চলছে এশিয়া কাপের চার দলের বাছাইপর্ব। আইসিসির চার সহযোগী দেশ আফগানিস্তান, আরব আমিরাত, হংকং ও ওমান একে অপরের বিপক্ষে লড়ছে। শীর্ষ দল জায়গা পাবে মূল মঞ্চে।

11:32 AM Share:

Sunday, May 24, 2015

http://worldcup-24.blogspot.com/
ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেকে চমকে দিয়েছিলেন তাসকিন আহমেদ। কিন্তু সেই ম্যাচে ২৮ রানে ৫ উইকেট নিয়েও দলকে জেতাতে পারেননি তিনি। ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে দুই উইকেট নেন তাসকিন, সেই ম্যাচটি বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়ে যায়। তৃতীয় ম্যাচটি খেলেন বিশ্বকাপে কোয়ার্টার-ফাইনালে। ৬৯ রানে তিন উইকেট নিলেও আবার হারের তেতো স্বাদ পেতে হয় ২০ বছর বয়সী পেসারকে। ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ বাংলাদেশের জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। 

অতিথিদের বিপক্ষে একটি জয় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তাদের খেলার সম্ভাবনা আরেকটু উজ্জ্বল করবে। তাই নিজেকে উজাড় করে দিতে উন্মুখ তাসকিন। “দুনিয়ার যত ভালো ব্যাটসম্যানই হোক না কেন, ভালো বল সামলানো তার জন্য কঠিনই হবে। আমি আমার সামর্থ্য অনুযায়ী ভালো বল করার চেষ্টা করবো। অন্তত একটা ম্যাচ জেতানোর ইচ্ছা আছে আমার। ওদের প্রত্যেকটা ব্যাটসম্যানই খুব ভালো; ওদের সব উইকেট নেওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমার লক্ষ্য থাকবে, সুযোগ পেলে একটা ভালো স্পেল করে ম্যাচ জেতানোর।” মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বাধীন ভারতের ওয়ানডে দলের প্রতি সমীহের কমতি নেই তাসকিনের। তবে ক্রমশ উন্নতি করা বাংলাদেশকেও পিছিয়ে রাখছেন না তিনি। তাই সমান তালে লড়ার স্বপ্ন দেখতেও ভয় পাচ্ছেন না এই পেসার।সংগৃহীত। 
taskin

ভারতের বিপক্ষে জয় চাই - তাসকিন

http://worldcup-24.blogspot.com/
ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেকে চমকে দিয়েছিলেন তাসকিন আহমেদ। কিন্তু সেই ম্যাচে ২৮ রানে ৫ উইকেট নিয়েও দলকে জেতাতে পারেননি তিনি। ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে দুই উইকেট নেন তাসকিন, সেই ম্যাচটি বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়ে যায়। তৃতীয় ম্যাচটি খেলেন বিশ্বকাপে কোয়ার্টার-ফাইনালে। ৬৯ রানে তিন উইকেট নিলেও আবার হারের তেতো স্বাদ পেতে হয় ২০ বছর বয়সী পেসারকে। ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ বাংলাদেশের জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। 

অতিথিদের বিপক্ষে একটি জয় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তাদের খেলার সম্ভাবনা আরেকটু উজ্জ্বল করবে। তাই নিজেকে উজাড় করে দিতে উন্মুখ তাসকিন। “দুনিয়ার যত ভালো ব্যাটসম্যানই হোক না কেন, ভালো বল সামলানো তার জন্য কঠিনই হবে। আমি আমার সামর্থ্য অনুযায়ী ভালো বল করার চেষ্টা করবো। অন্তত একটা ম্যাচ জেতানোর ইচ্ছা আছে আমার। ওদের প্রত্যেকটা ব্যাটসম্যানই খুব ভালো; ওদের সব উইকেট নেওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমার লক্ষ্য থাকবে, সুযোগ পেলে একটা ভালো স্পেল করে ম্যাচ জেতানোর।” মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বাধীন ভারতের ওয়ানডে দলের প্রতি সমীহের কমতি নেই তাসকিনের। তবে ক্রমশ উন্নতি করা বাংলাদেশকেও পিছিয়ে রাখছেন না তিনি। তাই সমান তালে লড়ার স্বপ্ন দেখতেও ভয় পাচ্ছেন না এই পেসার।সংগৃহীত। 

11:34 PM Share:

Sunday, May 10, 2015

http://worldcup-24.blogspot.com/
বাংলাদেশকে দ্বিতীয় টেস্টে বড় ব্যবধানে হারিয়ে টেস্ট সিরিজ জিতলেও পাকিস্তান দলকে জরিমানা গুনতে হচ্ছে। স্লো ওভার রেটের কারণে তাদের প্রত্যেক খেলোয়াড়কে ম্যাচ ফি’র ২০ শতাংশ হারে জরিমানা করেছে আইসিসি। পাক অধিনায়ক মিসবাহ উল হককে এর দ্বিগুন মাশুল দিতে হবে। মিরপুর টেস্টের দায়িত্বে থাকা আইসিসির ম্যাচ রেফারি জেফ ক্রো জরিমানা আরোপ করেন। টার্গেটের তুলনায় দুই ওভার কম হওয়াতেই টেস্ট ৠাংকিংয়ের তিনে থাকা পাকিস্তানকে জরিমানার আওতায় আনা হয়। অন্যদিকে, পাকিস্তানের পেস বোলার ইমরান খান আইসিসির কোড অব কন্ডাক্ট’র লেভেল-১ এর আর্টিকেল ২.২.৮ লঙ্ঘন করেন। চতুর্থ দিনে তামিম ইকবালকে আউট করে আগ্রাসী মনোভাব দেখানোই ২৭ বছর বয়সী এই ডানহাতি বোলারকে সতর্ক করে দেওয়া হয়।সংগৃহীত। 
sports

পাকিস্তান দলকে জরিমানা

http://worldcup-24.blogspot.com/
বাংলাদেশকে দ্বিতীয় টেস্টে বড় ব্যবধানে হারিয়ে টেস্ট সিরিজ জিতলেও পাকিস্তান দলকে জরিমানা গুনতে হচ্ছে। স্লো ওভার রেটের কারণে তাদের প্রত্যেক খেলোয়াড়কে ম্যাচ ফি’র ২০ শতাংশ হারে জরিমানা করেছে আইসিসি। পাক অধিনায়ক মিসবাহ উল হককে এর দ্বিগুন মাশুল দিতে হবে। মিরপুর টেস্টের দায়িত্বে থাকা আইসিসির ম্যাচ রেফারি জেফ ক্রো জরিমানা আরোপ করেন। টার্গেটের তুলনায় দুই ওভার কম হওয়াতেই টেস্ট ৠাংকিংয়ের তিনে থাকা পাকিস্তানকে জরিমানার আওতায় আনা হয়। অন্যদিকে, পাকিস্তানের পেস বোলার ইমরান খান আইসিসির কোড অব কন্ডাক্ট’র লেভেল-১ এর আর্টিকেল ২.২.৮ লঙ্ঘন করেন। চতুর্থ দিনে তামিম ইকবালকে আউট করে আগ্রাসী মনোভাব দেখানোই ২৭ বছর বয়সী এই ডানহাতি বোলারকে সতর্ক করে দেওয়া হয়।সংগৃহীত। 

10:49 PM Share:

Monday, April 27, 2015

http://worldcup-24.blogspot.com/
ওয়ানডেতে র‌্যাংকিং কাছাকাছি, তবে টেস্টে পাকিস্তানের সঙ্গে বিস্তর ব্যবধান বাংলাদেশের। আইসিসি র‌্যাংকিংয়ে ৪ নম্বরে অবস্থান এখন পাকিস্তানের, সেখানে বাংলাদেশ আছে ৯-এ দাঁড়িয়ে। অতীতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৮ টেস্টের সব ক’টিতে হার বাংলাদেশের। ২০০৩ সালে মুলতান টেস্টে ১ উইকেটে হারের কথা বাদ দিলে পাকিস্তানের সঙ্গে অবশিষ্ট ৭টি টেস্টের সব ক’টিতে হারের ব্যবধান বড়। যার মধ্যে ইনিংস হারে বাধ্য হয়েছে বাংলাদেশ ৪টিতে,তিন দিনে টেস্ট শেষ হওয়ার অতীত সেখানে ৩টি। তবে ওয়ানডে সিরিজে পাকিস্তানকে হোয়াইট ওয়াশের পর টি-২০তে বড় ব্যবধানে হারিয়ে উজ্জীবিত বাংলাদেশ দল এখন টেস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে দারুণ কিছু’র স্বপ্ন দেখছে। পাকিস্তান টেস্ট দলে মিসবাহ এবং ইউনুস খানের মতো পরীক্ষিত ব্যাটসম্যান থাকার পরও বোলিং এবং ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ দলকে এগিয়ে রাখছেন টেস্টের নাম্বার ওয়ান অল রাউন্ডার সাকিবÑ‘যদিও ওদের (পাকিস্তান) ব্যাটিং বিভাগে কিছু অভিজ্ঞ খেলোয়াড় আছে। কিন্তু আমাদের বোলিং আক্রমণ তাদের চেয়ে ভাল। অভিজ্ঞতার দিক থেকে ওদের ব্যাটিং সাইডটা অনেক ভলে হতে পারে। কিন্তু আমাদের ব্যাটসম্যানরা এখন ভাল ফর্মে আছে। আমরা যদি আমাদের বর্তমান পারফরম্যান্সের বিচারে চিন্তা করি, তাহলে আমাদের ব্যাটিংও ভাল। এ ছাড়াও আমার বিশ্বাস, ফিল্ডিংয়ে আমরা পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে। এই ৩ বিভাগে ভাল খেলতে পারলে আমার প্রত্যাশা, টেস্ট সিরিজে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে।’ টেস্ট জিততে হলে দায়িত্ব নিতে হবে বোলারদের। বোলারদের কাজটা তাই কঠিন। খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সর্বশেষ টেস্টে জিতেছে ১৬২ রানে। তা সম্ভব হয়েছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খুলনা টেস্টে উভয় ইনিংসে সাকিবের ৫টি করে উইকেট এবং সেঞ্চুরিতে ইমরান খান,ইয়ান বোথামের রেকর্ড ছুঁয়ে। খুলনা টেস্টে তেমন ভূমিকায় অবতীর্ণ হবেন বলে সাকিবের উপর যখন সবার চোখ, তখন সাকিব তাকিয়ে আছেন উইকেটের দিকেÑ ‘আমি জানি না পিচ কেমন হবে। সবকিছু নির্ভর করবে পিচের ওপর। অনেক টেস্ট ম্যাচ আছে ১০ উইকেটও কেউ নিতে পারে না, উইকেট কেমন হবে, তার ওপর নির্ভর করে সব কিছু। 
অবশ্য আমাদেরও ভাল বোলিংও করতে হবে। বোলাররা যদি উইকেটে থেকে কোনো সাহায্য নিতে পারে, সেক্ষেত্রে সুযোগ থাকবে ওদের ২০ উইকেট তুলে নেওয়ার।’ খুলনায় ক’দিনের বৃষ্টিতে উইকেট ভেজা। উইকেটের উপরে রোল করতে পারছে না মাঠকর্মীরা। তবে শেষ প্রস্তুতিতে টীম ম্যানেজমেন্টের নির্দেশনার দিকে তাকিয়ে আছেন সাকিবÑ ‘আমি কেমন উইকেট চাই এটা বড় ব্যাপার নয়। টিম ম্যানেজমেন্ট কেমন উইকেট চায় সেটাই বড় ব্যাপার। এটা টিম ম্যানেজমেন্টই ভাল বলতে পারবে।’ অনেক দিন পর টেস্ট খেলতে নামছে বাংলাদেশ, তবে তা দলে বিরূপ প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন না তিনিÑ ‘আমি ছাড়া সবাই লংগার ভার্সন খেলেছে। আমার মনে হয় না, কোনো সমস্যা হবে। চেষ্টা করব এই ২ দিনে যতোটা সম্ভব প্রস্তুতি নেয়ার।’ এক সময় বাংলাদেশ ৫ দিন প্রতিরোধকেই দিত গুরুত্ব। এখন মানসিকতায় এসেছে পরিবর্তন। টেস্টে লড়াই করার জন্য মাঠে নামে ক্রিকেটাররা। হোমে টেস্ট বলে তাই পাকিস্তানের বিপক্ষে দারুণ কিছু’র সম্ভাবনা দেখছেন সাকিবÑ দিন যতো যাবে তত উন্নতি আসবে। উন্নতি আসাটাই স্বাভাবিক। আমাদের মধ্যে বিশ্বাস জন্মেছে যে, আমরা কমপক্ষে ঘরের মাটিতে যেকোনো দলের সঙ্গে ফাইট করতে পারি।’ প্রায় ৫ মাস পর টেস্টে ফিরছে বাংলাদেশ, সে কারণেই খুলনায় পা রেখে নেটে একটু বেশি সময়ই অনুশীলন করেছেন বিশ্বসেরা এই অল রাউন্ডারÑ‘ একটু বেশি বোলিং করার অনুশীলন করছি। এটা গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম ইনিংসে বোলিং করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’তবে ম্যাচে দীর্ঘক্ষণ বোলিং করতে চান না অন্য কারনেÑ‘অনেকক্ষণ বোলিং করতে চাই না। অনেকক্ষণ বোলিং করলে ওরা অনেকক্ষণ ব্যাটিং করার সুযোগ পাবে। চেষ্টা থাকবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ওদের অলআউট করার।’ টেস্ট দলে তিন নুতন সৌম্য সরকার, লিটন দাস এবং শহীদের অন্তর্ভূক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন সাকিবÑ‘আমি তো বিশ্বাস করি, অবশ্যই সম্ভব। দলে কয়েকটা চেঞ্জ আছে। কিছু নতুন খেলোয়াড় দলে এসেছে। সৌম্য ওয়ানডে দারুণ শুরু এনে দিয়েছে। লিটন ঘরোয়া ক্রিকেটে দারুণ খেলে জানিয়ে দিয়েছে এই লেভেলের ক্রিকেটে খেলার সামর্থ আছে তার। শহীদ আমার সঙ্গে আমার দলে (লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ) খেলেছে। যদিও দেশে ফার্স্ট বোলারদের জন্য করণীয় তেমন কিছুই নেই। দলে যারা ওয়ানডে খেলেছে; তাদের মনের মধ্যেও বিশ্বাস আছে। পাকিস্তাানের বোলিং আক্রমণের বেশিরভাগই আমরা খেলেছি। খুব কঠিন মনে হচ্ছে না। যারা দলে নতুন এসেছে তাদেরও বিশ্বাস থাকবে, দলটা যেহেতু ভাল করছে আমাদেরও ভাল কিছু করতে হবে। এবং তারা ভাল খেলার প্রেরণা পাবে সেখান থেকেই।’ ওয়নডে এবং টি-২০ সিরিজে পাকিস্তানকে পর্যুদস্ত করেছে বাংলাদেশ মাশরাফির ক্যাপ্টেনসিতে। তবে টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশকে খেলতে হবে মুশফিকুরের ক্যাপ্টেনসিতে। তবে অধিনায়ক বদল হলেও পারফরমেন্সের ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে বলে বিশ্বাস করেন সাকিবÑ‘ আমরা কখনো দলের ভেতরে এসব নিয়ে চিন্তা করি না। টেস্ট এক ধরনের খেলা; ওয়ানডে ভিন্ন ধরনের খেলা। এগুলো নিয়ে আসলে তুলনা করার কিছু না। ২ জনই ভাল করছে দলের হয়ে; ২ জনই দলের জয়ে ভূমিকা রাখছে। এটাই একটি ভাল দলের লক্ষণ।’ 
test

বোলিং-ফিল্ডিংকে এগিয়ে রাখছেন সাকিব

http://worldcup-24.blogspot.com/
ওয়ানডেতে র‌্যাংকিং কাছাকাছি, তবে টেস্টে পাকিস্তানের সঙ্গে বিস্তর ব্যবধান বাংলাদেশের। আইসিসি র‌্যাংকিংয়ে ৪ নম্বরে অবস্থান এখন পাকিস্তানের, সেখানে বাংলাদেশ আছে ৯-এ দাঁড়িয়ে। অতীতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৮ টেস্টের সব ক’টিতে হার বাংলাদেশের। ২০০৩ সালে মুলতান টেস্টে ১ উইকেটে হারের কথা বাদ দিলে পাকিস্তানের সঙ্গে অবশিষ্ট ৭টি টেস্টের সব ক’টিতে হারের ব্যবধান বড়। যার মধ্যে ইনিংস হারে বাধ্য হয়েছে বাংলাদেশ ৪টিতে,তিন দিনে টেস্ট শেষ হওয়ার অতীত সেখানে ৩টি। তবে ওয়ানডে সিরিজে পাকিস্তানকে হোয়াইট ওয়াশের পর টি-২০তে বড় ব্যবধানে হারিয়ে উজ্জীবিত বাংলাদেশ দল এখন টেস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে দারুণ কিছু’র স্বপ্ন দেখছে। পাকিস্তান টেস্ট দলে মিসবাহ এবং ইউনুস খানের মতো পরীক্ষিত ব্যাটসম্যান থাকার পরও বোলিং এবং ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ দলকে এগিয়ে রাখছেন টেস্টের নাম্বার ওয়ান অল রাউন্ডার সাকিবÑ‘যদিও ওদের (পাকিস্তান) ব্যাটিং বিভাগে কিছু অভিজ্ঞ খেলোয়াড় আছে। কিন্তু আমাদের বোলিং আক্রমণ তাদের চেয়ে ভাল। অভিজ্ঞতার দিক থেকে ওদের ব্যাটিং সাইডটা অনেক ভলে হতে পারে। কিন্তু আমাদের ব্যাটসম্যানরা এখন ভাল ফর্মে আছে। আমরা যদি আমাদের বর্তমান পারফরম্যান্সের বিচারে চিন্তা করি, তাহলে আমাদের ব্যাটিংও ভাল। এ ছাড়াও আমার বিশ্বাস, ফিল্ডিংয়ে আমরা পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে। এই ৩ বিভাগে ভাল খেলতে পারলে আমার প্রত্যাশা, টেস্ট সিরিজে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে।’ টেস্ট জিততে হলে দায়িত্ব নিতে হবে বোলারদের। বোলারদের কাজটা তাই কঠিন। খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সর্বশেষ টেস্টে জিতেছে ১৬২ রানে। তা সম্ভব হয়েছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খুলনা টেস্টে উভয় ইনিংসে সাকিবের ৫টি করে উইকেট এবং সেঞ্চুরিতে ইমরান খান,ইয়ান বোথামের রেকর্ড ছুঁয়ে। খুলনা টেস্টে তেমন ভূমিকায় অবতীর্ণ হবেন বলে সাকিবের উপর যখন সবার চোখ, তখন সাকিব তাকিয়ে আছেন উইকেটের দিকেÑ ‘আমি জানি না পিচ কেমন হবে। সবকিছু নির্ভর করবে পিচের ওপর। অনেক টেস্ট ম্যাচ আছে ১০ উইকেটও কেউ নিতে পারে না, উইকেট কেমন হবে, তার ওপর নির্ভর করে সব কিছু। 
অবশ্য আমাদেরও ভাল বোলিংও করতে হবে। বোলাররা যদি উইকেটে থেকে কোনো সাহায্য নিতে পারে, সেক্ষেত্রে সুযোগ থাকবে ওদের ২০ উইকেট তুলে নেওয়ার।’ খুলনায় ক’দিনের বৃষ্টিতে উইকেট ভেজা। উইকেটের উপরে রোল করতে পারছে না মাঠকর্মীরা। তবে শেষ প্রস্তুতিতে টীম ম্যানেজমেন্টের নির্দেশনার দিকে তাকিয়ে আছেন সাকিবÑ ‘আমি কেমন উইকেট চাই এটা বড় ব্যাপার নয়। টিম ম্যানেজমেন্ট কেমন উইকেট চায় সেটাই বড় ব্যাপার। এটা টিম ম্যানেজমেন্টই ভাল বলতে পারবে।’ অনেক দিন পর টেস্ট খেলতে নামছে বাংলাদেশ, তবে তা দলে বিরূপ প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন না তিনিÑ ‘আমি ছাড়া সবাই লংগার ভার্সন খেলেছে। আমার মনে হয় না, কোনো সমস্যা হবে। চেষ্টা করব এই ২ দিনে যতোটা সম্ভব প্রস্তুতি নেয়ার।’ এক সময় বাংলাদেশ ৫ দিন প্রতিরোধকেই দিত গুরুত্ব। এখন মানসিকতায় এসেছে পরিবর্তন। টেস্টে লড়াই করার জন্য মাঠে নামে ক্রিকেটাররা। হোমে টেস্ট বলে তাই পাকিস্তানের বিপক্ষে দারুণ কিছু’র সম্ভাবনা দেখছেন সাকিবÑ দিন যতো যাবে তত উন্নতি আসবে। উন্নতি আসাটাই স্বাভাবিক। আমাদের মধ্যে বিশ্বাস জন্মেছে যে, আমরা কমপক্ষে ঘরের মাটিতে যেকোনো দলের সঙ্গে ফাইট করতে পারি।’ প্রায় ৫ মাস পর টেস্টে ফিরছে বাংলাদেশ, সে কারণেই খুলনায় পা রেখে নেটে একটু বেশি সময়ই অনুশীলন করেছেন বিশ্বসেরা এই অল রাউন্ডারÑ‘ একটু বেশি বোলিং করার অনুশীলন করছি। এটা গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম ইনিংসে বোলিং করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’তবে ম্যাচে দীর্ঘক্ষণ বোলিং করতে চান না অন্য কারনেÑ‘অনেকক্ষণ বোলিং করতে চাই না। অনেকক্ষণ বোলিং করলে ওরা অনেকক্ষণ ব্যাটিং করার সুযোগ পাবে। চেষ্টা থাকবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ওদের অলআউট করার।’ টেস্ট দলে তিন নুতন সৌম্য সরকার, লিটন দাস এবং শহীদের অন্তর্ভূক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন সাকিবÑ‘আমি তো বিশ্বাস করি, অবশ্যই সম্ভব। দলে কয়েকটা চেঞ্জ আছে। কিছু নতুন খেলোয়াড় দলে এসেছে। সৌম্য ওয়ানডে দারুণ শুরু এনে দিয়েছে। লিটন ঘরোয়া ক্রিকেটে দারুণ খেলে জানিয়ে দিয়েছে এই লেভেলের ক্রিকেটে খেলার সামর্থ আছে তার। শহীদ আমার সঙ্গে আমার দলে (লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ) খেলেছে। যদিও দেশে ফার্স্ট বোলারদের জন্য করণীয় তেমন কিছুই নেই। দলে যারা ওয়ানডে খেলেছে; তাদের মনের মধ্যেও বিশ্বাস আছে। পাকিস্তাানের বোলিং আক্রমণের বেশিরভাগই আমরা খেলেছি। খুব কঠিন মনে হচ্ছে না। যারা দলে নতুন এসেছে তাদেরও বিশ্বাস থাকবে, দলটা যেহেতু ভাল করছে আমাদেরও ভাল কিছু করতে হবে। এবং তারা ভাল খেলার প্রেরণা পাবে সেখান থেকেই।’ ওয়নডে এবং টি-২০ সিরিজে পাকিস্তানকে পর্যুদস্ত করেছে বাংলাদেশ মাশরাফির ক্যাপ্টেনসিতে। তবে টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশকে খেলতে হবে মুশফিকুরের ক্যাপ্টেনসিতে। তবে অধিনায়ক বদল হলেও পারফরমেন্সের ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে বলে বিশ্বাস করেন সাকিবÑ‘ আমরা কখনো দলের ভেতরে এসব নিয়ে চিন্তা করি না। টেস্ট এক ধরনের খেলা; ওয়ানডে ভিন্ন ধরনের খেলা। এগুলো নিয়ে আসলে তুলনা করার কিছু না। ২ জনই ভাল করছে দলের হয়ে; ২ জনই দলের জয়ে ভূমিকা রাখছে। এটাই একটি ভাল দলের লক্ষণ।’ 

11:16 PM Share:

Sunday, April 19, 2015

http://worldcup-24.blogspot.com/
সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো সিরিজ জয়ের স্বাদ নিয়েছে বাংলাদেশ। সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হিসেবে দ্বিতীয় কোনো দলের বিরুদ্ধে এ অর্জন টাইগার টিমের। রোববারের এ ম্যাচে সাত উইকেটে জয়ের মাধ্যমে তিন ম্যাচ সিরিজে ২-০ তে এগিয়ে থাকলো বাংলাদেশ। বোলারদের দারুণ বোলিংয়ের পর তামিম ইকবালের টানা দ্বিতীয় শতক আর মুশফিকুর রহিমের অর্ধশতকে পাকিস্তানকে দ্বিতীয়বার হারিয়েছে মাশরাফির দল। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ২৩৯ রান করে পাকিস্তান। জবাবে ৩৮ ওভার ১ বলে ৩ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে জানাই অভিনন্দন
sports

বাংলাদেশের ঐতিহাসিক সিরিজ জয়

http://worldcup-24.blogspot.com/
সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো সিরিজ জয়ের স্বাদ নিয়েছে বাংলাদেশ। সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হিসেবে দ্বিতীয় কোনো দলের বিরুদ্ধে এ অর্জন টাইগার টিমের। রোববারের এ ম্যাচে সাত উইকেটে জয়ের মাধ্যমে তিন ম্যাচ সিরিজে ২-০ তে এগিয়ে থাকলো বাংলাদেশ। বোলারদের দারুণ বোলিংয়ের পর তামিম ইকবালের টানা দ্বিতীয় শতক আর মুশফিকুর রহিমের অর্ধশতকে পাকিস্তানকে দ্বিতীয়বার হারিয়েছে মাশরাফির দল। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ২৩৯ রান করে পাকিস্তান। জবাবে ৩৮ ওভার ১ বলে ৩ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে জানাই অভিনন্দন

10:36 PM Share:

Thursday, April 9, 2015

http://worldcup-24.blogspot.com/
বিশ্বকাপের যে ক্যাচটি নিয়ে সবচেয়ে বেশি বিতর্ক হয়েছে, নিশ্চিতভাবেই সেটি কোয়ার্টার ফাইনালে শিখর ধাওয়ানের নেওয়া মাহমুদুল্লাহর ক্যাচ। এবার সেই বিতর্কিত ক্যাচটিকে বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা ক্যাচ বলে অভিহিত করেছে আইসিসি। এবারের বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পর বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিশ্বকাপের সেরা পারফরম্যান্স পর্যালোচনা করছে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। গতকাল সংস্থাটি তাদের ওয়েবসাইটে সেরা দশ ক্যাচের বর্ণনা প্রকাশ করে। গুরুত্ব ও শ্রেষ্ঠত্বের বিবেচনায় নয়, ক্যাচগুলোকে বর্ণনা করা হয়েছে ম্যাচের ধারাবাহিকতায়।
এতে কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচে বাউন্ডারি দড়ির কাছে শিখর ধাওয়ানের নেওয়া ক্যাচটি সম্পর্কে বলা হয়েছে, 'একটি শান্ত সমাপ্তির ক্যাচ, একটি দারুণ সম্পূর্ণতার ক্যাচ।'
১৯ মার্চ মেলবোর্নে ওই ক্যাচের ঘটনাটি ঘটে ম্যাচের। ভারতের ৩০০ রান তাড়া করতে নেমে স্বচ্ছন্দে ব্যাট করছিলেন আগের দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি করা মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ২১তম ওভারে মোহাম্মদ শামির শটবলকে পুল করেন মাহমুদুল্লাহ। লং লেগে দাঁড়ানো শিখর ধাওয়ানের মাথার ঠিক ওপরে ছিল বলটি। লাফিয়ে বলটি ধরতে গিয়ে ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে যাওয়ার উপক্রম হলে বল ওপরের দিকে ছুড়ে দেন ধাওয়ান। খানিকটা পিছিয়ে বলটি আরেকবার হাতে জমানোর চেষ্টা করেন। এরপর আরও একবার ওপরের দিকে বল ছুড়ে দিয়ে ধীরস্থিরভাবে মাঠের ভেতরে ঢুকে বলটি তালুবন্দি করেন ধাওয়ান।
আঙুলে উঁচিয়ে আউটের ইশারা করে জানান দেন ক্যাচটি তিনি ঠিকমতোই নিয়েছেন। এটি নিশ্চিত হতে টিভি আম্পায়ারের সাহায্য নেন মাঠের দুই আম্পায়ার। 
দায়সারাভাবে দূর থেকে দুই অ্যাঙ্গেলে রিপ্লে দেখেই আউটের সিদ্ধান্ত দেন টিভি আম্পায়ার স্টিভ ডেভিস। এ ধরনের ক্ষেত্রে চার-পাঁচ অ্যাঙ্গেল থেকে যতটা সম্ভব গভীরভাবে রিপ্লে দেখে থাকেন থার্ড আম্পায়াররা। 
পরে স্থিরচিত্রে দেখা যায়, ধাওয়ান যখন খানিকটা পিছিয়ে বলটি তালুবন্দি করার চেষ্টা করেন, ঠিক তখনই তার পা সীমানাদড়ি স্পর্শ করে। ম্যাচের এ ক্যাচটির পাশাপাশি আরও কিছু বিতর্কিত সিদ্ধান্ত মিলিয়ে আম্পায়ারদের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। আম্পায়ারদের যেসব সিদ্ধান্তের ফলে কোয়ার্টারে বাংলাদেশের বিশ্বকাপযাত্রা থেমে গেছে, তার একটিকেই আইসিসি এবার সেরার মর্যাদা দিল।সংগৃহীত 
worldcup

ধাওয়ানের সেই বিতর্কিত ক্যাচ

http://worldcup-24.blogspot.com/
বিশ্বকাপের যে ক্যাচটি নিয়ে সবচেয়ে বেশি বিতর্ক হয়েছে, নিশ্চিতভাবেই সেটি কোয়ার্টার ফাইনালে শিখর ধাওয়ানের নেওয়া মাহমুদুল্লাহর ক্যাচ। এবার সেই বিতর্কিত ক্যাচটিকে বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা ক্যাচ বলে অভিহিত করেছে আইসিসি। এবারের বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পর বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিশ্বকাপের সেরা পারফরম্যান্স পর্যালোচনা করছে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। গতকাল সংস্থাটি তাদের ওয়েবসাইটে সেরা দশ ক্যাচের বর্ণনা প্রকাশ করে। গুরুত্ব ও শ্রেষ্ঠত্বের বিবেচনায় নয়, ক্যাচগুলোকে বর্ণনা করা হয়েছে ম্যাচের ধারাবাহিকতায়।
এতে কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচে বাউন্ডারি দড়ির কাছে শিখর ধাওয়ানের নেওয়া ক্যাচটি সম্পর্কে বলা হয়েছে, 'একটি শান্ত সমাপ্তির ক্যাচ, একটি দারুণ সম্পূর্ণতার ক্যাচ।'
১৯ মার্চ মেলবোর্নে ওই ক্যাচের ঘটনাটি ঘটে ম্যাচের। ভারতের ৩০০ রান তাড়া করতে নেমে স্বচ্ছন্দে ব্যাট করছিলেন আগের দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি করা মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ২১তম ওভারে মোহাম্মদ শামির শটবলকে পুল করেন মাহমুদুল্লাহ। লং লেগে দাঁড়ানো শিখর ধাওয়ানের মাথার ঠিক ওপরে ছিল বলটি। লাফিয়ে বলটি ধরতে গিয়ে ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে যাওয়ার উপক্রম হলে বল ওপরের দিকে ছুড়ে দেন ধাওয়ান। খানিকটা পিছিয়ে বলটি আরেকবার হাতে জমানোর চেষ্টা করেন। এরপর আরও একবার ওপরের দিকে বল ছুড়ে দিয়ে ধীরস্থিরভাবে মাঠের ভেতরে ঢুকে বলটি তালুবন্দি করেন ধাওয়ান।
আঙুলে উঁচিয়ে আউটের ইশারা করে জানান দেন ক্যাচটি তিনি ঠিকমতোই নিয়েছেন। এটি নিশ্চিত হতে টিভি আম্পায়ারের সাহায্য নেন মাঠের দুই আম্পায়ার। 
দায়সারাভাবে দূর থেকে দুই অ্যাঙ্গেলে রিপ্লে দেখেই আউটের সিদ্ধান্ত দেন টিভি আম্পায়ার স্টিভ ডেভিস। এ ধরনের ক্ষেত্রে চার-পাঁচ অ্যাঙ্গেল থেকে যতটা সম্ভব গভীরভাবে রিপ্লে দেখে থাকেন থার্ড আম্পায়াররা। 
পরে স্থিরচিত্রে দেখা যায়, ধাওয়ান যখন খানিকটা পিছিয়ে বলটি তালুবন্দি করার চেষ্টা করেন, ঠিক তখনই তার পা সীমানাদড়ি স্পর্শ করে। ম্যাচের এ ক্যাচটির পাশাপাশি আরও কিছু বিতর্কিত সিদ্ধান্ত মিলিয়ে আম্পায়ারদের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। আম্পায়ারদের যেসব সিদ্ধান্তের ফলে কোয়ার্টারে বাংলাদেশের বিশ্বকাপযাত্রা থেমে গেছে, তার একটিকেই আইসিসি এবার সেরার মর্যাদা দিল।সংগৃহীত 

10:55 PM Share:

Friday, April 3, 2015

http://worldcup-24.blogspot.com/2015/04/blog-post.html

বাংলাদেশ সফরকে সামনে রেখে শুক্রবার (০৩ এপ্রিল) পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড তাদের দল ঘোষণা করেছে। আগামী ১৩ এপ্রিল ঢাকায় পা রাখবে পাকিস্তান জাতীয় দল। উক্ত সফর উপলক্ষে তিন ফরমেটের দলই ঘোষণা করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। বিশ্বকাপের দলে জায়গা হয়নি পাকিস্তানের নিষেধাজ্ঞা প্রাপ্ত স্পিনার সাঈদ আজমলের। বোলিং অ্যাকশন শুধরে আসা আজমলকে বাংলাদেশ সফরে দলে রেখেছে পাক বোর্ড। এছাড়া ঘোষিত স্কোয়াডের তিন ফরমেটের কোনটিতেই রাখা হয়নি উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান উমর আকমলকে। আর ওপেনার আহমেদ শেহজাদকে শুধুমাত্র টি-টোয়েন্টি ম্যাচের জন্য রাখা হয়েছে। এদিকে, ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টিতে থাকছেন না অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান ইউনুস খান।
টেস্ট দল: বাবর আজম, মোহাম্মদ হাফিজ, সামি আসলাম, মিসবাহ-উল-হক (অধিনায়ক), আসাদ শফিক, আজহার আলী, ইউনুস খান, হারিস সোহেল, সাঈদ আজমল, ইয়াসির শাহ, জুলফিকার বাবর, সরফরাজ আহমেদ, ওয়াহাব রিয়াজ, জুনায়েদ খান, সোহেল খান এবং রাহাত আলী।
ওয়ানডে দল: সামি আসলাম, সরফরাজ আহমেদ, মোহাম্মদ হাফিজ, আসাদ শফিক, ফাওয়াদ আলম, আজহার আলী, মোহাম্মদ রিজওয়ান, হারিস সোহেল, শোয়েব মাকসুদ, সাঈদ আজমল, ইয়াসির শাহ, ওয়াহাব রিয়াজ, রাহাত আলী, এহসান আদিল ও সোহেল খান।
টি-টোয়েন্টি দল: আহমেদ শেহজাদ, সরফরাজ আহমেদ, মোহাম্মদ হাফিজ, মুখতার আহমেদ, শোয়েব মাকসুদ, হারিস সোহেল, মোহাম্মদ রিজওয়ান, সাঈদ আজমল, শহীদ আফ্রিদি, সোহেল তানভীর, সাদ নাসিম, ওয়াহাব রিয়াজ, সোহেল খান, উমর গুল ও জুনায়েদ খান।
Pakistan

বাংলাদেশের বিপক্ষে পাকিস্তানের দল ঘোষণা

http://worldcup-24.blogspot.com/2015/04/blog-post.html

বাংলাদেশ সফরকে সামনে রেখে শুক্রবার (০৩ এপ্রিল) পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড তাদের দল ঘোষণা করেছে। আগামী ১৩ এপ্রিল ঢাকায় পা রাখবে পাকিস্তান জাতীয় দল। উক্ত সফর উপলক্ষে তিন ফরমেটের দলই ঘোষণা করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। বিশ্বকাপের দলে জায়গা হয়নি পাকিস্তানের নিষেধাজ্ঞা প্রাপ্ত স্পিনার সাঈদ আজমলের। বোলিং অ্যাকশন শুধরে আসা আজমলকে বাংলাদেশ সফরে দলে রেখেছে পাক বোর্ড। এছাড়া ঘোষিত স্কোয়াডের তিন ফরমেটের কোনটিতেই রাখা হয়নি উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান উমর আকমলকে। আর ওপেনার আহমেদ শেহজাদকে শুধুমাত্র টি-টোয়েন্টি ম্যাচের জন্য রাখা হয়েছে। এদিকে, ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টিতে থাকছেন না অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান ইউনুস খান।
টেস্ট দল: বাবর আজম, মোহাম্মদ হাফিজ, সামি আসলাম, মিসবাহ-উল-হক (অধিনায়ক), আসাদ শফিক, আজহার আলী, ইউনুস খান, হারিস সোহেল, সাঈদ আজমল, ইয়াসির শাহ, জুলফিকার বাবর, সরফরাজ আহমেদ, ওয়াহাব রিয়াজ, জুনায়েদ খান, সোহেল খান এবং রাহাত আলী।
ওয়ানডে দল: সামি আসলাম, সরফরাজ আহমেদ, মোহাম্মদ হাফিজ, আসাদ শফিক, ফাওয়াদ আলম, আজহার আলী, মোহাম্মদ রিজওয়ান, হারিস সোহেল, শোয়েব মাকসুদ, সাঈদ আজমল, ইয়াসির শাহ, ওয়াহাব রিয়াজ, রাহাত আলী, এহসান আদিল ও সোহেল খান।
টি-টোয়েন্টি দল: আহমেদ শেহজাদ, সরফরাজ আহমেদ, মোহাম্মদ হাফিজ, মুখতার আহমেদ, শোয়েব মাকসুদ, হারিস সোহেল, মোহাম্মদ রিজওয়ান, সাঈদ আজমল, শহীদ আফ্রিদি, সোহেল তানভীর, সাদ নাসিম, ওয়াহাব রিয়াজ, সোহেল খান, উমর গুল ও জুনায়েদ খান।

10:43 PM Share:

Saturday, March 28, 2015

http://worldcup-24.blogspot.com/
নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটাররা বড়ই হয়েছে শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়ার তুলনায় নিজেদের অসহায় সংগ্রাম নিয়ে। কিন্তু ব্ল্যাক ক্যাপরা বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠার পর এখন তাদের ‘বিগ ব্রাদার’দের বিরুদ্ধে আরেকটি লড়াইয়ে জিততে চায়। আগামীকাল রবিবার মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এমসিজি) অনুষ্ঠেয় ক্রিকেটের এই মহাযজ্ঞটির প্রাক্কালে নিউজিল্যান্ডের পেসার টিম সাউদি এ অভিপ্রায়ের কথা জানান।
তাসমান সাগর তীরবর্তী এ দু’টি দেশের মধ্যে সব খেলাতেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বিদ্যমান। তবে আগামীকাল রবিবার বিশ্বকাপের ফাইনালটি খুব বেশি উত্তাপ ছড়াবে বলে আশা করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে সাউদি বলেন, ‘সব ধরনের খেলাতেই অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় এবং এটা হবে আরো তীব্র। ওপার থেকে সম্ভবত আমাদেরকে ছোট ভাই হিসেবে দেখা হয়ে থাকে। যদিও আমরা অন্য খেলাগুলোয় ভালোই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করি।’
সাউদি আরো বলেন, ‘অবশ্যই গত কয়েক বছর ধরে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটে আমাদের বিপক্ষে দাপট দেখিয়েছে। তবে ধীরে ধীরে হলেও আমরা দৃশ্যপটটা বদলাতে শুরু করেছি। বাচ্চা বয়স থেকে বড় হওয়ার পথে সবসময়েই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেই খেলতে চাইতাম। এ ক্ষেত্রে আমরা বাড়ির পাশে কারো বিপক্ষে খেলে থাকলে সেই লড়াইটাও চাইতাম যেন নিউজিল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া হয়।’
সাউদি আরো বলেন, ‘নিউজিল্যান্ডে আপনি যে খেলাই খেলেন না কেন তার মধ্যে তীব্র রেষারেষির ব্যাপার থাকে এবং আমি মনে করি এ ক্ষেত্রে আপনি সবসময়ই ‘বিগ ব্রাদার’ (অস্ট্রেলিয়া) এর মতো প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে এক ধাপ এগিয়ে যেতে চাইবেন।’
গত বৃহস্পতিবার সেমিফাইনালে ভারতকে উড়িয়ে দিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করা চারবারের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া আগামীকালকের ফাইনালেও ফেভারিট থাকছে। কেননা শিরোপার চূড়ান্ত লড়াইয়ে তারা খেলবে নিজেদের পরিচিত উইকেট ও কন্ডিশনে এবং নিজ সমর্থকদের সামনে। তাই বলে আত্মবিশ্বাসের অভাব নেই দাপটের সঙ্গে খেলে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছানো নিউজিল্যান্ডের।
তাছাড়া দলকে দারুণভাবে নেতৃত্ব দেয়ার পাশাপাশি চরম আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলছেন ব্ল্যাক ক্যাপস অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। ফাইনাল নিশ্চিতের রাস্তায় এখন পর্যন্ত কোনো খেলায় হার না মানা দলটি ফাইনালেও তাদের প্রতিবেশীকে পরাজিত করতে চায়। তাছাড়া ইতোমধ্যে গ্রুপ পর্বেও বিশ্বকাপের সবচেয়ে সফল দলটিকে এক উইকেটে হারিয়েছে ম্যাককালামের দল। সব মিলিয়ে তারা মনে করে পড়শীদের তরফেও সমীহ আদায়ে সক্ষম হয়েছে।
সাউদি বলেন, ‘অতিক্রান্ত দুই বছরে আমরা নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী ধারাবাহিকভাবে খেলতে পারিনি। তারপরও অস্ট্রেলিয়াকে আমরা সম্মান করি। কেননা তারা মান সম্পন্ন একটি দল। তারা তো আর এমনি এমনিতে বিশ্বের এক নম্বর দল হয়নি। ’
কালকের ফাইনালটিই হবে চলতি আসরে নিউজিল্যান্ডের জন্য নিজ দেশের বাইরে খেলা একমাত্র ম্যাচ। সেই সঙ্গে মেলবোর্নে এটাই হবে তাদের গত ছয় বছরের মধ্যে প্রথম খেলা। এর আগে ২০০৯ সালে এই ভেন্যুতে সর্বশেষ লড়াইয়ে ছয় উইকেটে স্বাগতিকদের হারিয়ে দিয়েছিলো ব্ল্যাক ক্যাপসরা।
ফাইনালে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে প্রায় এক লাখ সমর্থকের উপস্থিতি থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে তা হলো, মেলবোর্নের বড় মাঠ। নিউজিল্যান্ড সেমিফাইনাল পর্যন্ত নিজেদের ছোট পরিসরের মাঠে খেললেও ফাইনালে বড় পরিসরের ভেন্যুতে নিজেদের মানিয়ে নিতে পারবে কি-না এ নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। তবে সাউদি বলেন, ‘নিউজিল্যান্ডের মাঠগুলো ছোট হলেও কয়েকটি বড় মাঠেও খেলেছি আমরা। তাই মাঠের আয়তন নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন নই।’সংগৃহীত 
worldcup

‘বিগ-ব্রাদার’ অস্ট্রেলিয়াকে ছাড়াতে চায় নিউজিল্যান্ড

http://worldcup-24.blogspot.com/
নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটাররা বড়ই হয়েছে শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়ার তুলনায় নিজেদের অসহায় সংগ্রাম নিয়ে। কিন্তু ব্ল্যাক ক্যাপরা বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠার পর এখন তাদের ‘বিগ ব্রাদার’দের বিরুদ্ধে আরেকটি লড়াইয়ে জিততে চায়। আগামীকাল রবিবার মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এমসিজি) অনুষ্ঠেয় ক্রিকেটের এই মহাযজ্ঞটির প্রাক্কালে নিউজিল্যান্ডের পেসার টিম সাউদি এ অভিপ্রায়ের কথা জানান।
তাসমান সাগর তীরবর্তী এ দু’টি দেশের মধ্যে সব খেলাতেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বিদ্যমান। তবে আগামীকাল রবিবার বিশ্বকাপের ফাইনালটি খুব বেশি উত্তাপ ছড়াবে বলে আশা করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে সাউদি বলেন, ‘সব ধরনের খেলাতেই অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় এবং এটা হবে আরো তীব্র। ওপার থেকে সম্ভবত আমাদেরকে ছোট ভাই হিসেবে দেখা হয়ে থাকে। যদিও আমরা অন্য খেলাগুলোয় ভালোই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করি।’
সাউদি আরো বলেন, ‘অবশ্যই গত কয়েক বছর ধরে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটে আমাদের বিপক্ষে দাপট দেখিয়েছে। তবে ধীরে ধীরে হলেও আমরা দৃশ্যপটটা বদলাতে শুরু করেছি। বাচ্চা বয়স থেকে বড় হওয়ার পথে সবসময়েই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেই খেলতে চাইতাম। এ ক্ষেত্রে আমরা বাড়ির পাশে কারো বিপক্ষে খেলে থাকলে সেই লড়াইটাও চাইতাম যেন নিউজিল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া হয়।’
সাউদি আরো বলেন, ‘নিউজিল্যান্ডে আপনি যে খেলাই খেলেন না কেন তার মধ্যে তীব্র রেষারেষির ব্যাপার থাকে এবং আমি মনে করি এ ক্ষেত্রে আপনি সবসময়ই ‘বিগ ব্রাদার’ (অস্ট্রেলিয়া) এর মতো প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে এক ধাপ এগিয়ে যেতে চাইবেন।’
গত বৃহস্পতিবার সেমিফাইনালে ভারতকে উড়িয়ে দিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করা চারবারের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া আগামীকালকের ফাইনালেও ফেভারিট থাকছে। কেননা শিরোপার চূড়ান্ত লড়াইয়ে তারা খেলবে নিজেদের পরিচিত উইকেট ও কন্ডিশনে এবং নিজ সমর্থকদের সামনে। তাই বলে আত্মবিশ্বাসের অভাব নেই দাপটের সঙ্গে খেলে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছানো নিউজিল্যান্ডের।
তাছাড়া দলকে দারুণভাবে নেতৃত্ব দেয়ার পাশাপাশি চরম আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলছেন ব্ল্যাক ক্যাপস অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। ফাইনাল নিশ্চিতের রাস্তায় এখন পর্যন্ত কোনো খেলায় হার না মানা দলটি ফাইনালেও তাদের প্রতিবেশীকে পরাজিত করতে চায়। তাছাড়া ইতোমধ্যে গ্রুপ পর্বেও বিশ্বকাপের সবচেয়ে সফল দলটিকে এক উইকেটে হারিয়েছে ম্যাককালামের দল। সব মিলিয়ে তারা মনে করে পড়শীদের তরফেও সমীহ আদায়ে সক্ষম হয়েছে।
সাউদি বলেন, ‘অতিক্রান্ত দুই বছরে আমরা নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী ধারাবাহিকভাবে খেলতে পারিনি। তারপরও অস্ট্রেলিয়াকে আমরা সম্মান করি। কেননা তারা মান সম্পন্ন একটি দল। তারা তো আর এমনি এমনিতে বিশ্বের এক নম্বর দল হয়নি। ’
কালকের ফাইনালটিই হবে চলতি আসরে নিউজিল্যান্ডের জন্য নিজ দেশের বাইরে খেলা একমাত্র ম্যাচ। সেই সঙ্গে মেলবোর্নে এটাই হবে তাদের গত ছয় বছরের মধ্যে প্রথম খেলা। এর আগে ২০০৯ সালে এই ভেন্যুতে সর্বশেষ লড়াইয়ে ছয় উইকেটে স্বাগতিকদের হারিয়ে দিয়েছিলো ব্ল্যাক ক্যাপসরা।
ফাইনালে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে প্রায় এক লাখ সমর্থকের উপস্থিতি থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে তা হলো, মেলবোর্নের বড় মাঠ। নিউজিল্যান্ড সেমিফাইনাল পর্যন্ত নিজেদের ছোট পরিসরের মাঠে খেললেও ফাইনালে বড় পরিসরের ভেন্যুতে নিজেদের মানিয়ে নিতে পারবে কি-না এ নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। তবে সাউদি বলেন, ‘নিউজিল্যান্ডের মাঠগুলো ছোট হলেও কয়েকটি বড় মাঠেও খেলেছি আমরা। তাই মাঠের আয়তন নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন নই।’সংগৃহীত 

3:29 PM Share:

Wednesday, March 18, 2015

http://worldcup-24.blogspot.com/
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হাবিবুল বাশার একবার বলেছিলেন— তার জীবনের শ্রেষ্ঠতম অভিজ্ঞতা ২০০৭ বিশ্বকাপ। যদিও সেই বিশ্বকাপের পর দেশের সর্বকালের অন্যতম সেরা এই অধিনায়কের ক্যারিয়ার হঠাত্ করেই ছোট হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু ব্যক্তিগত সেসব ঘটনা নয়, হাবিবুলের স্মৃতিতে এখনও জাগরুক সেই বিশ্বকাপের দলীয় অসামান্য অর্জন। এতোদিন পর আবার ২০০৭ বিশ্বকাপের মতোই সামনে ভারত এসে যাওয়াতে হাবিবুলকে বারবার কথা বলতে হচ্ছে পুরোনো স্মৃতি নিয়ে।
 
হাবিবুল পরিষ্কার বলছেন, তিনি মনে করেন আরেকবার ভারতকে হারানোর ক্ষমতা বর্তমান দলটির আরও বেশী আছে। শুধু হাবিবুল নন, কলকাতার একটি পত্রিকাকে দেয়া সাক্ষাতকারে বাংলাদেশ দলের ওপর একই ধরনের ভরসা রাখলেন জাতীয় দলের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান ও প্রথম বিশ্বকাপের অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুলও।
 
হাবিবুল বলছিলেন, ২০০৭ বিশ্বকাপের সঙ্গে এবারের বিশ্বকাপের একটা অসাধারণ মিল অন্তত দেখছেন তিনি, ‘সেটাও এ বারের মতো হারলেই বিদায় টাইপের ম্যাচ ছিল। আক্ষরিক অর্থে হয়তো ওটা নক আউট নয়, গ্রুপ লিগের ম্যাচ ছিল। কিন্তু দুটো টিম জানত আসলে নক আউটই। তাই হয়েছিল পরে গিয়ে। তবে সে বারের ইন্ডিয়ান টিমটা এটার চেয়ে অনেক স্ট্রং ছিল।’
 
বরং সেবারের বাংলাদেশ দলের চেয়ে সাবেক এই অধিনায়ক এগিয়ে রাখছেন বর্তমান বাংলাদেশ দলটাকেই, ‘এ বারেরটা অবশ্যই এগিয়ে। এই টিমটা অনেক বেশি ম্যাচিওর্ড। ম্যাচ জেতানো পারফর্মারও এই দলে বেশি। এই টিমটার সবচেয়ে বড় গুণ হল প্রেশার সামলাতে জানে। আফগানিস্তানের দিন কম রানে চার উইকেট চলে যাওয়ার পর ঠিক লড়াই করে তিনশোর ওপর তুলে দিয়েছে। ইংল্যান্ডের দিন চাপ এসেছে ভয়ঙ্কর রকম। তবু ভেঙে পড়েনি। আমার তো মনে হয় এই অ্যাটিটিউড নিয়ে ইন্ডিয়াকে ওরা ভাল ফাইট দেবে। যেই জিতুক কাজটা কারওর সহজ হবে না।’
 
আমিনুল ইসলাম বুলবুল অবশ্য সুমনের মতো এতোটা পরিষ্কার করে বাংলাদেশকে চাপমুক্ত বলে খুব সুবিধার অবস্থায় দেখছেন না। তিনি বরং দু দলকেই সমান অবস্থানে দেখছেন কোয়ার্টার ফাইনালে, ‘কারণ নকআউট ম্যাচে একটা আধ ঘণ্টা ম্যাচের রং বদলে দিতে পারে। সেটা কোহলির কয়েকটা স্ট্রোক যেমন হতে পারে। তেমন রুবেলের একটা স্পেলও হতে পারে। এই সব ম্যাচে আগাম বলা যায় না। তা ছাড়া আমাদের এই টিমটা অনেক ম্যাচিওর্ড। অনেক ম্যাচ খেলেছে এক-এক জন। বড় কিছু ম্যাচ জিতেওছে। আর বিশেষ করে এই টুর্নামেন্টে যেমন খেলছে, তাতে একটা জিনিস প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। বাংলাদেশ কারও দয়ায় এখানে আসেনি।’সংগৃহীত। 
worldcup

আশাবাদী বুলবুল-সুমনরা

http://worldcup-24.blogspot.com/
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হাবিবুল বাশার একবার বলেছিলেন— তার জীবনের শ্রেষ্ঠতম অভিজ্ঞতা ২০০৭ বিশ্বকাপ। যদিও সেই বিশ্বকাপের পর দেশের সর্বকালের অন্যতম সেরা এই অধিনায়কের ক্যারিয়ার হঠাত্ করেই ছোট হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু ব্যক্তিগত সেসব ঘটনা নয়, হাবিবুলের স্মৃতিতে এখনও জাগরুক সেই বিশ্বকাপের দলীয় অসামান্য অর্জন। এতোদিন পর আবার ২০০৭ বিশ্বকাপের মতোই সামনে ভারত এসে যাওয়াতে হাবিবুলকে বারবার কথা বলতে হচ্ছে পুরোনো স্মৃতি নিয়ে।
 
হাবিবুল পরিষ্কার বলছেন, তিনি মনে করেন আরেকবার ভারতকে হারানোর ক্ষমতা বর্তমান দলটির আরও বেশী আছে। শুধু হাবিবুল নন, কলকাতার একটি পত্রিকাকে দেয়া সাক্ষাতকারে বাংলাদেশ দলের ওপর একই ধরনের ভরসা রাখলেন জাতীয় দলের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান ও প্রথম বিশ্বকাপের অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুলও।
 
হাবিবুল বলছিলেন, ২০০৭ বিশ্বকাপের সঙ্গে এবারের বিশ্বকাপের একটা অসাধারণ মিল অন্তত দেখছেন তিনি, ‘সেটাও এ বারের মতো হারলেই বিদায় টাইপের ম্যাচ ছিল। আক্ষরিক অর্থে হয়তো ওটা নক আউট নয়, গ্রুপ লিগের ম্যাচ ছিল। কিন্তু দুটো টিম জানত আসলে নক আউটই। তাই হয়েছিল পরে গিয়ে। তবে সে বারের ইন্ডিয়ান টিমটা এটার চেয়ে অনেক স্ট্রং ছিল।’
 
বরং সেবারের বাংলাদেশ দলের চেয়ে সাবেক এই অধিনায়ক এগিয়ে রাখছেন বর্তমান বাংলাদেশ দলটাকেই, ‘এ বারেরটা অবশ্যই এগিয়ে। এই টিমটা অনেক বেশি ম্যাচিওর্ড। ম্যাচ জেতানো পারফর্মারও এই দলে বেশি। এই টিমটার সবচেয়ে বড় গুণ হল প্রেশার সামলাতে জানে। আফগানিস্তানের দিন কম রানে চার উইকেট চলে যাওয়ার পর ঠিক লড়াই করে তিনশোর ওপর তুলে দিয়েছে। ইংল্যান্ডের দিন চাপ এসেছে ভয়ঙ্কর রকম। তবু ভেঙে পড়েনি। আমার তো মনে হয় এই অ্যাটিটিউড নিয়ে ইন্ডিয়াকে ওরা ভাল ফাইট দেবে। যেই জিতুক কাজটা কারওর সহজ হবে না।’
 
আমিনুল ইসলাম বুলবুল অবশ্য সুমনের মতো এতোটা পরিষ্কার করে বাংলাদেশকে চাপমুক্ত বলে খুব সুবিধার অবস্থায় দেখছেন না। তিনি বরং দু দলকেই সমান অবস্থানে দেখছেন কোয়ার্টার ফাইনালে, ‘কারণ নকআউট ম্যাচে একটা আধ ঘণ্টা ম্যাচের রং বদলে দিতে পারে। সেটা কোহলির কয়েকটা স্ট্রোক যেমন হতে পারে। তেমন রুবেলের একটা স্পেলও হতে পারে। এই সব ম্যাচে আগাম বলা যায় না। তা ছাড়া আমাদের এই টিমটা অনেক ম্যাচিওর্ড। অনেক ম্যাচ খেলেছে এক-এক জন। বড় কিছু ম্যাচ জিতেওছে। আর বিশেষ করে এই টুর্নামেন্টে যেমন খেলছে, তাতে একটা জিনিস প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। বাংলাদেশ কারও দয়ায় এখানে আসেনি।’সংগৃহীত। 

12:34 AM Share:

Sunday, March 15, 2015

http://worldcup-24.blogspot.com/
বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত। তারা বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কিংবা তাদের সাম্প্রতিক ফর্ম দেখে ঘাবড়ে যাবার কিছু নেই। কারণ মাঠের খেলায় এর কোনটাই ভূমিকা রাখবে না। ভারতকে আগেও বিশ্বকাপের ম্যাচে আমরা হারিয়েছি। সুতরাং নিজেদের সেরাটা ঢেলে দিতে পারলে পুরনো কীর্তির পুনরাবৃত্তি করতে পারাটা খুব একটা কঠিন হবে না।
একটা দল যখন জয়ের মানসিকতায় থাকে তখন অসম্ভব মনে হওয়া কাজটাও তাদের দিয়ে খুব সহজে সম্ভব হয়ে যায়। বাংলাদেশ এই মুহূর্তে ঠিক তেমন ছন্দেই আছে। গ্রুপ পর্বে তিনটি ম্যাচ জয়ের পর নিউজিল্যান্ডকেও কাঁপিয়ে দিয়েছিল টাইগাররা। শেষ পর্যন্ত সেই ম্যাচে হারতে হলেও নিজেদের আত্মবিশ্বাসটা ঠিকই বাড়িয়ে নিয়েছে তারা। তাছাড়া গতকাল জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে ভারতকে বেশ টালমাটালই মনে হয়েছে। সব মিলে আমি বলবো নিজেদের উপর বিশ্বাস ধরে রাখাটা খুব জরুরী। এরপর মাঠে নিজেদের সামর্থের স্বার্থক অনুবাদটা করতে পারলেই চলে।
বাংলাদেশকে ১৯ মার্চের ম্যাচে প্রেরণা যোগাবে ইতিহাসের হাতছানি। নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসটাকে আরেকটু সমৃদ্ধ করার দ্বারপ্রান্তে আমরা। তাছাড়া ঐ ম্যাচে থাকছেন মাশরাফিও। তার অন্তর্ভুক্তি নিঃসন্দেহে আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। গত ম্যাচে তার অভাব খুব ভালভাবেই অনুভূত হয়েছে।
ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে আমরা বেশ কয়েকদিন বিশ্রাম পাচ্ছি। দলে বেশ কিছু চোট সমস্যা আছে। এই সময়ে সেগুলো ঠিক হয়ে যাবে বলে আশা করি।
তবে এটাও মাথায় রাখতে হবে ভারত খুব শক্তিশালী দল। তারা গ্রুপ পর্বের কঠিন বাধাগুলোও খুব সহজে টপকে গেছে। এমন শক্তিশালী এবং আত্মবিশ্বাসী একটা দলকে হারাতে নিজেদের সেরা ক্রিকেট খেলার বিকল্প নেই।
worldcup

ভারতের ফর্ম দেখে ঘাবড়ানোর কিছু নেই

http://worldcup-24.blogspot.com/
বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত। তারা বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কিংবা তাদের সাম্প্রতিক ফর্ম দেখে ঘাবড়ে যাবার কিছু নেই। কারণ মাঠের খেলায় এর কোনটাই ভূমিকা রাখবে না। ভারতকে আগেও বিশ্বকাপের ম্যাচে আমরা হারিয়েছি। সুতরাং নিজেদের সেরাটা ঢেলে দিতে পারলে পুরনো কীর্তির পুনরাবৃত্তি করতে পারাটা খুব একটা কঠিন হবে না।
একটা দল যখন জয়ের মানসিকতায় থাকে তখন অসম্ভব মনে হওয়া কাজটাও তাদের দিয়ে খুব সহজে সম্ভব হয়ে যায়। বাংলাদেশ এই মুহূর্তে ঠিক তেমন ছন্দেই আছে। গ্রুপ পর্বে তিনটি ম্যাচ জয়ের পর নিউজিল্যান্ডকেও কাঁপিয়ে দিয়েছিল টাইগাররা। শেষ পর্যন্ত সেই ম্যাচে হারতে হলেও নিজেদের আত্মবিশ্বাসটা ঠিকই বাড়িয়ে নিয়েছে তারা। তাছাড়া গতকাল জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে ভারতকে বেশ টালমাটালই মনে হয়েছে। সব মিলে আমি বলবো নিজেদের উপর বিশ্বাস ধরে রাখাটা খুব জরুরী। এরপর মাঠে নিজেদের সামর্থের স্বার্থক অনুবাদটা করতে পারলেই চলে।
বাংলাদেশকে ১৯ মার্চের ম্যাচে প্রেরণা যোগাবে ইতিহাসের হাতছানি। নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসটাকে আরেকটু সমৃদ্ধ করার দ্বারপ্রান্তে আমরা। তাছাড়া ঐ ম্যাচে থাকছেন মাশরাফিও। তার অন্তর্ভুক্তি নিঃসন্দেহে আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। গত ম্যাচে তার অভাব খুব ভালভাবেই অনুভূত হয়েছে।
ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে আমরা বেশ কয়েকদিন বিশ্রাম পাচ্ছি। দলে বেশ কিছু চোট সমস্যা আছে। এই সময়ে সেগুলো ঠিক হয়ে যাবে বলে আশা করি।
তবে এটাও মাথায় রাখতে হবে ভারত খুব শক্তিশালী দল। তারা গ্রুপ পর্বের কঠিন বাধাগুলোও খুব সহজে টপকে গেছে। এমন শক্তিশালী এবং আত্মবিশ্বাসী একটা দলকে হারাতে নিজেদের সেরা ক্রিকেট খেলার বিকল্প নেই।

7:58 AM Share:

Friday, March 13, 2015

http://worldcup-24.blogspot.com/
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১০৩ রানের পর শুক্রবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অপরাজিত ১২৮ রান করা বাংলাদেশের মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ পৌঁছে গেছেন অন্য এক উচ্চতায়। টাইগারদের হয়ে বিশ্বকাপে প্রথম শতক করা রিয়াদ এই আসরে সেরা ব্যাটসম্যানদের চার নম্বরে আছেন। 
 
এই তালিকার শীর্ষে আছেন ৬ ইনিংসে টানা ৪ সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়া শ্রীলঙ্কার কুমার সাঙ্গাকারা। তিনি করেছেন ৪৯৬ রান। 
 
দ্বিতীয় স্থানে আছেন দক্ষিণ আফ্রিকার এবি ডি ভিলিয়ার্স। তার রান ৪১৭। আর ৩৯৫ রান নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছেন শ্রীলঙ্কার আরেক ব্যাটসম্যান তিলকারত্নে দিলশান।সংগৃহীত। 
worldcup

বিশ্বকাপের সেরা পাঁচে মাহমুদুল্লাহ

http://worldcup-24.blogspot.com/
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১০৩ রানের পর শুক্রবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অপরাজিত ১২৮ রান করা বাংলাদেশের মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ পৌঁছে গেছেন অন্য এক উচ্চতায়। টাইগারদের হয়ে বিশ্বকাপে প্রথম শতক করা রিয়াদ এই আসরে সেরা ব্যাটসম্যানদের চার নম্বরে আছেন। 
 
এই তালিকার শীর্ষে আছেন ৬ ইনিংসে টানা ৪ সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়া শ্রীলঙ্কার কুমার সাঙ্গাকারা। তিনি করেছেন ৪৯৬ রান। 
 
দ্বিতীয় স্থানে আছেন দক্ষিণ আফ্রিকার এবি ডি ভিলিয়ার্স। তার রান ৪১৭। আর ৩৯৫ রান নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছেন শ্রীলঙ্কার আরেক ব্যাটসম্যান তিলকারত্নে দিলশান।সংগৃহীত। 

11:15 PM Share:

Wednesday, March 11, 2015

http://worldcup-24.blogspot.com/
একটা জয় কেমন পাল্টে দিলো দেশটাকে! সব গুমোট অবস্থা, সব অস্থিরতা মুহূর্তে সরে গিয়ে সোমবার রাত থেকেই বাংলাদেশ হয়ে উঠেছে এক মিছিলের দেশ; বিজয় মিছিল। ক্ষণে ক্ষণেই কানে আসছে, ‘বাংলাদেশ, বাংলাদেশ’ স্লোগান। এর মধ্যেই একটা মিছিলে স্লোগান শোনা গেল, ‘এবার ট্রফি জিতবে কে? বাংলাদেশ ছাড়া আবার কে!’
হ্যাঁ, স্বপ্নের তো কোনো বাঁধা ধরা গন্ডি নেই। স্বপ্ন তাই ট্রফিতে পৌঁছে গেছে।
বাস্তবতা বলছে, ট্রফি না হোক, এখন বাংলাদেশ অন্তত সেমিফাইনালে পৌঁছে ইতিহাসের আরেকটা প্রাচীর ভাঙ্গার স্বপ্ন তো দেখতেই পারে। আর এই স্বপ্ন বুকে নিয়েই গতকাল মঙ্গলবার সকালে জাতীয় দল রওনা হয়ে গেছে নিউজিল্যান্ডে। স্বাগতিকদের বিপক্ষে খেলা হবে ১৩ মার্চ, হ্যামিলটনের সিডন পার্কে।
তবে বাংলাদেশের সামনে নিউজিল্যান্ড হলেও লক্ষ্যটা আসলে সেমিফাইনাল।
কোয়ার্টার ফাইনালে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গে এই সেমিফাইনালের স্বপ্নটা মূর্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের। সুনীল গাভাস্কার, সৌরভ গাঙ্গুলি থেকে শুরু করে অনেক বড় বড় বিশ্লেষকই বলছেন, দিনটা অনকূলে থাকলে খুবই সম্ভব যে ইতিহাসের আরও একটা ধাপ পার হয়ে যাবে বাংলাদেশ।
দলের খেলোয়াড়রাও তেমনই আশা করছেন। বাংলাদেশকে কোয়ার্টার ফাইনালে তোলার নায়ক রুবেল হোসেন তো পরিষ্কার বলে দিলেন যে, কোয়ার্টার ফাইনালেও বিশ্বকে চমকে দিতে চান তারা। শুধু দেশের মানুষকে এই লড়াইয়ে আরও একবার সঙ্গে চাইলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ যেভাবে আমাদের সমর্থন করেন, সবসময় পাশে থাকেন; সেটা আমরা মাথায় রাখি। আশা করি দেশের মানুষ এই জয়ে খুব আনন্দ পেয়েছেন। সবাই আমাদের পাশে থাকলে কোয়ার্টার ফাইনালেও কিছু একটা করে ফেলবো, ইনশাল্লাহ।’
অবশ্য তার আগে একটু পরিষ্কার হতে হবে যে, কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ হচ্ছে কারা।
ইংল্যান্ডকে হারিয়ে বাংলাদেশ কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলার পরই চারদিকে জোর হৈ চৈ—ভারতের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলবেন মাশরাফিরা। কিন্তু হিসাব নিকাশ কি আসলেই তাই বলছে?
এখন পর্যন্ত দুই গ্রুপের যে অবস্থান, তাতে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের খেলাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু অনেক সমীকরণ এখনও বাকি। যাতে করে বাংলাদেশের শেষ আটের প্রতিপক্ষ হয়ে উঠতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকা, পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ বা আয়ারল্যান্ডও!
বিশ্বাস হচ্ছে না? একটু হিসাবটা পরিষ্কার করা যাক।
বাংলাদেশ এখন ‘এ’ গ্রুপের তিন নম্বর দল। ধরে নেয়া হচ্ছে যে, শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ হেরে যাবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। ফলে গ্রুপের চতুর্থ দল হয়ে যাবে মাশরাফিরা। তখন নিয়ম অনুযায়ী খেলা হবে ‘বি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ভারতের সঙ্গে। কিন্তু বাংলাদেশ যদি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জিতে যায়, তাহলেই এলোমেলো হয়ে যাবে এই হিসাব।
নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে বাংলাদেশ জিতলে এই তিন নম্বরেই থেকে যাবে তারা। এমনকি শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কা যদি আজ স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে হেরে যায়, তাও বাংলাদেশ হবে ‘এ’ গ্রুপের তিন নম্বর দল। তখন কিন্তু ভারতের সঙ্গে খেলা হবে না। বাংলাদেশের খেলা হবে ‘বি’ গ্রুপের দুই নম্বর দলের বিপক্ষে।
এখন কোটি টাকার প্রশ্ন হলো, ‘বি’ গ্রুপের সেই রানার্সআপ দলটি কারা?
‘বি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ভারত; এটা নিশ্চিত হয়ে গেছে। কিন্তু দ্বিতীয় স্থানটি নিয়ে অনেক হিসাব বাকি। এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় স্থানের সবচেয়ে বড় দাবিদার দক্ষিণ আফ্রিকা। মুশকিল হলো দক্ষিণ আফ্রিকা, পাকিস্তান ও আয়ারল্যান্ডের পয়েন্ট সমান—৬। এখন শেষ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা যদি আরব আমিরাতের বিপক্ষে হেরে যায়, তাহলে কাগজে কলমে তাদের কোয়ার্টার ফাইনালের আগে ছিটকে যাওয়ারও আশঙ্কা আছে!
শেষ ম্যাচে পাকিস্তান ও আয়ারল্যান্ড মুখোমুখি হবে। এই ম্যাচে যারা জিতবে, তাদের সঙ্গে রানরেটে দ্বিতীয় স্থানের জন্য লড়াই হবে সম্ভবত দক্ষিণ আফ্রিকার; যদি দক্ষিণ আফ্রিকা আমিরাতের বিপক্ষে জিতে ফেলে। আর পাকিস্তান ও আয়ারল্যান্ডের মধ্যে যারা হারবে, তাদের সঙ্গে টিকে থাকার লড়াই হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের; যদি ওয়েস্ট ইন্ডিজ শেষ ম্যাচে নিজেরাই হেরে না বসে!
এতসব সমীকরণের ফলে কিছুতেই নিশ্চিত করা সম্ভব না যে, কারা ‘বি’ গ্রুপ থেকে দ্বিতীয় হবে। ফলে বাংলাদেশ যদি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জিতেই যায়, সে ক্ষেত্রে কোয়ার্টার ফাইনালের প্রতিপক্ষ আসলে যে কেউ হতে পারে। 
তার আগে অবশ্য আপাতত বাংলাদেশকে নিউজিল্যান্ড ম্যাচ মাথায় নিয়ে ছুটতে হচ্ছে।
প্রথম পর্বে তিনটি ম্যাচ অস্ট্রেলিয়ায় খেলার পরই শুরু হয়েছে বাংলাদেশের এই ব্যাগ কাঁধে ছোটাছুটি। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে চতুর্থ ম্যাচ খেলতে ছুটতে হয়েছিল নিউজিল্যান্ডের নেলসন শহরে। আবার গত ম্যাচ খেলতে চলে আসতে হয়েছিল অ্যাডিলেডে। এখন যাচ্ছেন তারা হ্যামিলটনে। আবার কোয়ার্টার ফাইনাল খেলতে ফিরে আসতে হবে মেলবোর্নে।
আপাতত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের ফলে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে গ্রুপপর্বের এই ম্যাচটা অর্থহীন হয়ে গেছে। এই ম্যাচে ফলাফল যাই হোক, বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড— দু দলই খেলবে কোয়ার্টার ফাইনালে। শুধু একটা ব্যাপার হতে পারে, বাংলাদেশ যদি জয় পায়, সে ক্ষেত্রে গ্রুপের তৃতীয় দল হয়ে যেতে পারে তারা পরের রাউন্ডে।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এমনিতে গত বছর কয়েকের বাংলাদেশের রেকর্ড অসাধারণ।
সর্বশেষ টানা সাত ম্যাচেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জিতেছে বাংলাদেশ; দু দুবার হোয়াইট ওয়াশ করেছে তাদের। কিন্তু সে দুবার খেলা হয়েছে বাংলাদেশে। এবার খেলাটা হবে নিউজিল্যান্ডে। আর দলটা আছেও দুর্দান্ত ফর্মে। ফলে এই দলটার বিপক্ষে জয়ের কল্পনা করা একটু কঠিন বৈকি!
তবে এসব কাগুজে হিসাব তো আর মাশরাফিদের ক্ষেত্রে খাটে না।
বাংলাদেশ এখন নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে দারুণ আত্মবিশ্বাস নিয়ে। এক ম্যাচ হাতে রেখেই কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে যাওয়ার আত্মবিশ্বাস, ইংল্যান্ডের মতো দলকে ছিটকে দেয়ার আত্মবিশ্বাস। 
টাইগারদের জন্য কোটি টাকার পুরস্কার
g সোহেল সারোয়ার চঞ্চল
বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠায় ক্রিকেট দলের জন্য আর্থিক পুরস্কার  ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। পুরস্কারের পরিমাণ এক লাখ ডলার (প্রায় ৮০ লাখ টাকা)। এই অর্থ ক্রিকেট দলের সবাই পাবেন বলে জানা গেছে।
পাশাপাশি ক্রিকেটারদের জন্য বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ব্যক্তিগতভাবে ১০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছেন। অস্ট্রেলিয়ার এডিলেডে ম্যাচ শেষ হওয়ার পরই তিনি এ ঘোষণা দেন। এছাড়া ইংল্যান্ডকে হারানোয় ক্রীড়া মন্ত্রণালয় মাশরাফি, মুশফিক, রুবেল, সাকিবদের জন্য ২০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা দেয় সোমবার ম্যাচের পরই। অর্থাত্ সব মিলিয়ে মাশরাফিরা প্রায় সোয়া কোটি টাকা পুরস্কার পাচ্ছেন। 
বাংলাদেশের খেলাধুলার ইতিহাসে বিসিবি থেকে এবারই প্রথম এক লাখ ডলার পুরস্কার পেতে যাচ্ছেন ক্রিকেটাররা। এতো বড় অংকের অর্থ পুরস্কারের ঘোষণা আগে কখনও শোনা যায়নি। বিসিবি পরিচালক লোকমান হোসেন ভুঁইয়া জানিয়েছেন, কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলে এক লাখ ডলার পুরস্কার দেয়ার সিদ্ধান্তটি আগেই নির্ধারিত ছিল। কোয়ার্টার ফাইনাল জিতলেও আমরা বড় অংকের অর্থ পুরস্কার দেবো।
প্রসঙ্গত, এর আগে জানুয়ারিতে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক গোল্ডকাপ ফুটবলে জাতীয় দলের জন্য ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিলেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন।সংগৃহীত 

worldcup

লক্ষ্য এবার সেমিফাইনাল টাইগারদের জন্য কোটি টাকার পুরস্কার

http://worldcup-24.blogspot.com/
একটা জয় কেমন পাল্টে দিলো দেশটাকে! সব গুমোট অবস্থা, সব অস্থিরতা মুহূর্তে সরে গিয়ে সোমবার রাত থেকেই বাংলাদেশ হয়ে উঠেছে এক মিছিলের দেশ; বিজয় মিছিল। ক্ষণে ক্ষণেই কানে আসছে, ‘বাংলাদেশ, বাংলাদেশ’ স্লোগান। এর মধ্যেই একটা মিছিলে স্লোগান শোনা গেল, ‘এবার ট্রফি জিতবে কে? বাংলাদেশ ছাড়া আবার কে!’
হ্যাঁ, স্বপ্নের তো কোনো বাঁধা ধরা গন্ডি নেই। স্বপ্ন তাই ট্রফিতে পৌঁছে গেছে।
বাস্তবতা বলছে, ট্রফি না হোক, এখন বাংলাদেশ অন্তত সেমিফাইনালে পৌঁছে ইতিহাসের আরেকটা প্রাচীর ভাঙ্গার স্বপ্ন তো দেখতেই পারে। আর এই স্বপ্ন বুকে নিয়েই গতকাল মঙ্গলবার সকালে জাতীয় দল রওনা হয়ে গেছে নিউজিল্যান্ডে। স্বাগতিকদের বিপক্ষে খেলা হবে ১৩ মার্চ, হ্যামিলটনের সিডন পার্কে।
তবে বাংলাদেশের সামনে নিউজিল্যান্ড হলেও লক্ষ্যটা আসলে সেমিফাইনাল।
কোয়ার্টার ফাইনালে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গে এই সেমিফাইনালের স্বপ্নটা মূর্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের। সুনীল গাভাস্কার, সৌরভ গাঙ্গুলি থেকে শুরু করে অনেক বড় বড় বিশ্লেষকই বলছেন, দিনটা অনকূলে থাকলে খুবই সম্ভব যে ইতিহাসের আরও একটা ধাপ পার হয়ে যাবে বাংলাদেশ।
দলের খেলোয়াড়রাও তেমনই আশা করছেন। বাংলাদেশকে কোয়ার্টার ফাইনালে তোলার নায়ক রুবেল হোসেন তো পরিষ্কার বলে দিলেন যে, কোয়ার্টার ফাইনালেও বিশ্বকে চমকে দিতে চান তারা। শুধু দেশের মানুষকে এই লড়াইয়ে আরও একবার সঙ্গে চাইলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ যেভাবে আমাদের সমর্থন করেন, সবসময় পাশে থাকেন; সেটা আমরা মাথায় রাখি। আশা করি দেশের মানুষ এই জয়ে খুব আনন্দ পেয়েছেন। সবাই আমাদের পাশে থাকলে কোয়ার্টার ফাইনালেও কিছু একটা করে ফেলবো, ইনশাল্লাহ।’
অবশ্য তার আগে একটু পরিষ্কার হতে হবে যে, কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ হচ্ছে কারা।
ইংল্যান্ডকে হারিয়ে বাংলাদেশ কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলার পরই চারদিকে জোর হৈ চৈ—ভারতের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলবেন মাশরাফিরা। কিন্তু হিসাব নিকাশ কি আসলেই তাই বলছে?
এখন পর্যন্ত দুই গ্রুপের যে অবস্থান, তাতে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের খেলাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু অনেক সমীকরণ এখনও বাকি। যাতে করে বাংলাদেশের শেষ আটের প্রতিপক্ষ হয়ে উঠতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকা, পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ বা আয়ারল্যান্ডও!
বিশ্বাস হচ্ছে না? একটু হিসাবটা পরিষ্কার করা যাক।
বাংলাদেশ এখন ‘এ’ গ্রুপের তিন নম্বর দল। ধরে নেয়া হচ্ছে যে, শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ হেরে যাবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। ফলে গ্রুপের চতুর্থ দল হয়ে যাবে মাশরাফিরা। তখন নিয়ম অনুযায়ী খেলা হবে ‘বি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ভারতের সঙ্গে। কিন্তু বাংলাদেশ যদি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জিতে যায়, তাহলেই এলোমেলো হয়ে যাবে এই হিসাব।
নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে বাংলাদেশ জিতলে এই তিন নম্বরেই থেকে যাবে তারা। এমনকি শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কা যদি আজ স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে হেরে যায়, তাও বাংলাদেশ হবে ‘এ’ গ্রুপের তিন নম্বর দল। তখন কিন্তু ভারতের সঙ্গে খেলা হবে না। বাংলাদেশের খেলা হবে ‘বি’ গ্রুপের দুই নম্বর দলের বিপক্ষে।
এখন কোটি টাকার প্রশ্ন হলো, ‘বি’ গ্রুপের সেই রানার্সআপ দলটি কারা?
‘বি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ভারত; এটা নিশ্চিত হয়ে গেছে। কিন্তু দ্বিতীয় স্থানটি নিয়ে অনেক হিসাব বাকি। এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় স্থানের সবচেয়ে বড় দাবিদার দক্ষিণ আফ্রিকা। মুশকিল হলো দক্ষিণ আফ্রিকা, পাকিস্তান ও আয়ারল্যান্ডের পয়েন্ট সমান—৬। এখন শেষ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা যদি আরব আমিরাতের বিপক্ষে হেরে যায়, তাহলে কাগজে কলমে তাদের কোয়ার্টার ফাইনালের আগে ছিটকে যাওয়ারও আশঙ্কা আছে!
শেষ ম্যাচে পাকিস্তান ও আয়ারল্যান্ড মুখোমুখি হবে। এই ম্যাচে যারা জিতবে, তাদের সঙ্গে রানরেটে দ্বিতীয় স্থানের জন্য লড়াই হবে সম্ভবত দক্ষিণ আফ্রিকার; যদি দক্ষিণ আফ্রিকা আমিরাতের বিপক্ষে জিতে ফেলে। আর পাকিস্তান ও আয়ারল্যান্ডের মধ্যে যারা হারবে, তাদের সঙ্গে টিকে থাকার লড়াই হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের; যদি ওয়েস্ট ইন্ডিজ শেষ ম্যাচে নিজেরাই হেরে না বসে!
এতসব সমীকরণের ফলে কিছুতেই নিশ্চিত করা সম্ভব না যে, কারা ‘বি’ গ্রুপ থেকে দ্বিতীয় হবে। ফলে বাংলাদেশ যদি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জিতেই যায়, সে ক্ষেত্রে কোয়ার্টার ফাইনালের প্রতিপক্ষ আসলে যে কেউ হতে পারে। 
তার আগে অবশ্য আপাতত বাংলাদেশকে নিউজিল্যান্ড ম্যাচ মাথায় নিয়ে ছুটতে হচ্ছে।
প্রথম পর্বে তিনটি ম্যাচ অস্ট্রেলিয়ায় খেলার পরই শুরু হয়েছে বাংলাদেশের এই ব্যাগ কাঁধে ছোটাছুটি। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে চতুর্থ ম্যাচ খেলতে ছুটতে হয়েছিল নিউজিল্যান্ডের নেলসন শহরে। আবার গত ম্যাচ খেলতে চলে আসতে হয়েছিল অ্যাডিলেডে। এখন যাচ্ছেন তারা হ্যামিলটনে। আবার কোয়ার্টার ফাইনাল খেলতে ফিরে আসতে হবে মেলবোর্নে।
আপাতত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের ফলে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে গ্রুপপর্বের এই ম্যাচটা অর্থহীন হয়ে গেছে। এই ম্যাচে ফলাফল যাই হোক, বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড— দু দলই খেলবে কোয়ার্টার ফাইনালে। শুধু একটা ব্যাপার হতে পারে, বাংলাদেশ যদি জয় পায়, সে ক্ষেত্রে গ্রুপের তৃতীয় দল হয়ে যেতে পারে তারা পরের রাউন্ডে।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এমনিতে গত বছর কয়েকের বাংলাদেশের রেকর্ড অসাধারণ।
সর্বশেষ টানা সাত ম্যাচেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জিতেছে বাংলাদেশ; দু দুবার হোয়াইট ওয়াশ করেছে তাদের। কিন্তু সে দুবার খেলা হয়েছে বাংলাদেশে। এবার খেলাটা হবে নিউজিল্যান্ডে। আর দলটা আছেও দুর্দান্ত ফর্মে। ফলে এই দলটার বিপক্ষে জয়ের কল্পনা করা একটু কঠিন বৈকি!
তবে এসব কাগুজে হিসাব তো আর মাশরাফিদের ক্ষেত্রে খাটে না।
বাংলাদেশ এখন নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে দারুণ আত্মবিশ্বাস নিয়ে। এক ম্যাচ হাতে রেখেই কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে যাওয়ার আত্মবিশ্বাস, ইংল্যান্ডের মতো দলকে ছিটকে দেয়ার আত্মবিশ্বাস। 
টাইগারদের জন্য কোটি টাকার পুরস্কার
g সোহেল সারোয়ার চঞ্চল
বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠায় ক্রিকেট দলের জন্য আর্থিক পুরস্কার  ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। পুরস্কারের পরিমাণ এক লাখ ডলার (প্রায় ৮০ লাখ টাকা)। এই অর্থ ক্রিকেট দলের সবাই পাবেন বলে জানা গেছে।
পাশাপাশি ক্রিকেটারদের জন্য বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ব্যক্তিগতভাবে ১০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছেন। অস্ট্রেলিয়ার এডিলেডে ম্যাচ শেষ হওয়ার পরই তিনি এ ঘোষণা দেন। এছাড়া ইংল্যান্ডকে হারানোয় ক্রীড়া মন্ত্রণালয় মাশরাফি, মুশফিক, রুবেল, সাকিবদের জন্য ২০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা দেয় সোমবার ম্যাচের পরই। অর্থাত্ সব মিলিয়ে মাশরাফিরা প্রায় সোয়া কোটি টাকা পুরস্কার পাচ্ছেন। 
বাংলাদেশের খেলাধুলার ইতিহাসে বিসিবি থেকে এবারই প্রথম এক লাখ ডলার পুরস্কার পেতে যাচ্ছেন ক্রিকেটাররা। এতো বড় অংকের অর্থ পুরস্কারের ঘোষণা আগে কখনও শোনা যায়নি। বিসিবি পরিচালক লোকমান হোসেন ভুঁইয়া জানিয়েছেন, কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলে এক লাখ ডলার পুরস্কার দেয়ার সিদ্ধান্তটি আগেই নির্ধারিত ছিল। কোয়ার্টার ফাইনাল জিতলেও আমরা বড় অংকের অর্থ পুরস্কার দেবো।
প্রসঙ্গত, এর আগে জানুয়ারিতে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক গোল্ডকাপ ফুটবলে জাতীয় দলের জন্য ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিলেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন।সংগৃহীত 

7:59 AM Share:

Tuesday, March 10, 2015

http://worldcup-24.blogspot.com/
রুবেল শেষ উইকেটটি পাওয়ার পর আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারছিলেন না, মাটিতেই শুয়ে পড়েন মাশরাফি। পরিশ্রান্ত, ক্লান্ত এক নায়ককে এসে জড়িয়ে ধরেছিলেন সবাই। তার ওপরই পিরামিড তৈরি হয়েছিল, ঐতিহাসিক জয়ের এক পিরামিড। হাঁটুতে তীব্র ব্যথা নিয়েও যিনি মাঠে নেমেছিলেন, ঠিকমতো হাঁটতে কষ্ট হলেও যিনি দৌড়ে ছিলেন। এই ইংল্যান্ডকে হারানোর জন্য কোচের সঙ্গে তিনি কত দিন, কত রাত যে পরিকল্পনা করেছিলেন, অবশেষে সে দিনটি যখন সত্য হলো তখন তার চেয়ে খুশি আর কেই বা হতে পারে। তাই জয়টি বাংলাদেশ অধিনায়ক উৎসর্গ করেছেন মুক্তিযোদ্ধাদের। কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন দলের প্রত্যেক কোচিং স্টাফকে, আর অনেক অনেক ধন্যবাদ জানিয়েছেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মুশফিক, সৌম্য আর তার প্রিয় রুবেল হোসনকে। 'এই জয়টি আমাদের ক্রিকেটের জন্য অনেক বড় একটি ঘটনা। আমরা ধারাবাহিক নই বলে একটি অপবাদ আছে। আমরা সেটা থেকে বেরোতে চাচ্ছি। বিশ্বকাপে আমরা টানা কিছু ম্যাচ জিতেছি। আশা করছি, এ ধারাবাহিকতা কোয়ার্টারে দেখতে পারবে সমর্থকরা।' ম্যাচ শেষে হাঁটুতে ব্যথা নিয়েই এসেছিলেন সাংবাকিদের সামনে।
বলতে চেয়েছিলেন অনেক কিছুই। বাংলাদেশকে নিয়ে ব্রিটিশদের যে একটা নাকউঁচু ভাব রয়েছে, তা ভেঙে দিতে চেয়েছিলেন; কিন্তু তাদের কেউ ছিলেন না সেখানে। তাই পরিচিতজনদের কাছেই মনের কথা বললেন। 'দেখিয়ে দিলাম ওদেরকে (পড়তে হবে বিগ থ্রি) আমরাও পারি। এই জয়কে কেউ আপসেট বলতে পারবে না। আমরা ভালো খেলে, লড়াই করে জিতেছি।' মাইকের সামনে বলা কথা নয়, সেখান থেকে বেরিয়ে মাশরাফি মেলে ধরেছিলেন তার মনের ভেতরটাকে। সাকিব-তামিম ছাড়াও যে এই দলটি এখন একটি জায়গায় ম্যাচ নিয়ে যেতে পারে, সেই স্বস্তিটাও ছিল তার মধ্যে। 'তিন নম্বরে সৌম্য দারুণ করছে। সে হয়তো বড় স্কোর করতে পারছে না; কিন্তু যে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে শটগুলো খেলছে, তা দেখে দারুণ লেগেছে। সত্যি কথা বলতে কি, আমিও ঘাবড়ে গিয়েছিলাম ২ উইকেট পড়ার পর। ওই সময় ওদের বলও ভালো হচ্ছিল। কিন্তু সৌম্য, রিয়াদের পর মুশফিক যা করল তাতে অবশ্যই ধন্যবাদ দিতে হবে।' ব্যাটসম্যানদের প্রশংসা করার পর এদিন পেসারদের নিয়েও ভেতরের জমানো কষ্টের কথা বলেছিলেন। 'আমাদের পেসারদের নিয়ে অনেকেই অনেক বাজে কথা বলেন। তাদের বলব, আমাদের একটু সম্মান দিন। আমরাও পারি।' মেলবোর্নে শ্রীলংকার বিপক্ষে ম্যাচের পর এ প্রবাসী বাংলাদেশি পেসারদের নিয়ে কটূক্তি করেছিলেন। সে সঙ্গে ইংলিশ মিডিয়াও বাংলাদেশি পেসারদের হালকাভাবে তুলে ধরেছে। এদিন রুবেলের প্রশংসা করে তাদের মোক্ষম জবাবটাই দিলেন। 'এটা ঠিক যে, স্পিন আমাদের অন্যতম শক্তি। তাই বলে পেসাররা আমাদের কম নয়। ঘরের মাঠে কিছু পিচ যদি পেসারদের জন্য তৈরি করা হয় তাহলে ভালো হতো। তবে বিশ্বকাপের আরও কিছু ম্যাচ পেয়েছি আমরা। সেখানেও রুবেলরা দেখিয়ে দেবে।' নিজের হাঁটুতে ব্যথা নিয়েও মাশরাফি সবসময় সমর্থন দিয়ে গেছেন রুবেল, তাসকিনের মতো তার কমরেডদের। ইঙ্গিত দিয়েছেন এবারের বিশ্বকাপে পেসাররাই তার টেক্কা!সংগৃহীত 
worldcup

দেখুক সবাই আমরাও পারি

http://worldcup-24.blogspot.com/
রুবেল শেষ উইকেটটি পাওয়ার পর আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারছিলেন না, মাটিতেই শুয়ে পড়েন মাশরাফি। পরিশ্রান্ত, ক্লান্ত এক নায়ককে এসে জড়িয়ে ধরেছিলেন সবাই। তার ওপরই পিরামিড তৈরি হয়েছিল, ঐতিহাসিক জয়ের এক পিরামিড। হাঁটুতে তীব্র ব্যথা নিয়েও যিনি মাঠে নেমেছিলেন, ঠিকমতো হাঁটতে কষ্ট হলেও যিনি দৌড়ে ছিলেন। এই ইংল্যান্ডকে হারানোর জন্য কোচের সঙ্গে তিনি কত দিন, কত রাত যে পরিকল্পনা করেছিলেন, অবশেষে সে দিনটি যখন সত্য হলো তখন তার চেয়ে খুশি আর কেই বা হতে পারে। তাই জয়টি বাংলাদেশ অধিনায়ক উৎসর্গ করেছেন মুক্তিযোদ্ধাদের। কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন দলের প্রত্যেক কোচিং স্টাফকে, আর অনেক অনেক ধন্যবাদ জানিয়েছেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মুশফিক, সৌম্য আর তার প্রিয় রুবেল হোসনকে। 'এই জয়টি আমাদের ক্রিকেটের জন্য অনেক বড় একটি ঘটনা। আমরা ধারাবাহিক নই বলে একটি অপবাদ আছে। আমরা সেটা থেকে বেরোতে চাচ্ছি। বিশ্বকাপে আমরা টানা কিছু ম্যাচ জিতেছি। আশা করছি, এ ধারাবাহিকতা কোয়ার্টারে দেখতে পারবে সমর্থকরা।' ম্যাচ শেষে হাঁটুতে ব্যথা নিয়েই এসেছিলেন সাংবাকিদের সামনে।
বলতে চেয়েছিলেন অনেক কিছুই। বাংলাদেশকে নিয়ে ব্রিটিশদের যে একটা নাকউঁচু ভাব রয়েছে, তা ভেঙে দিতে চেয়েছিলেন; কিন্তু তাদের কেউ ছিলেন না সেখানে। তাই পরিচিতজনদের কাছেই মনের কথা বললেন। 'দেখিয়ে দিলাম ওদেরকে (পড়তে হবে বিগ থ্রি) আমরাও পারি। এই জয়কে কেউ আপসেট বলতে পারবে না। আমরা ভালো খেলে, লড়াই করে জিতেছি।' মাইকের সামনে বলা কথা নয়, সেখান থেকে বেরিয়ে মাশরাফি মেলে ধরেছিলেন তার মনের ভেতরটাকে। সাকিব-তামিম ছাড়াও যে এই দলটি এখন একটি জায়গায় ম্যাচ নিয়ে যেতে পারে, সেই স্বস্তিটাও ছিল তার মধ্যে। 'তিন নম্বরে সৌম্য দারুণ করছে। সে হয়তো বড় স্কোর করতে পারছে না; কিন্তু যে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে শটগুলো খেলছে, তা দেখে দারুণ লেগেছে। সত্যি কথা বলতে কি, আমিও ঘাবড়ে গিয়েছিলাম ২ উইকেট পড়ার পর। ওই সময় ওদের বলও ভালো হচ্ছিল। কিন্তু সৌম্য, রিয়াদের পর মুশফিক যা করল তাতে অবশ্যই ধন্যবাদ দিতে হবে।' ব্যাটসম্যানদের প্রশংসা করার পর এদিন পেসারদের নিয়েও ভেতরের জমানো কষ্টের কথা বলেছিলেন। 'আমাদের পেসারদের নিয়ে অনেকেই অনেক বাজে কথা বলেন। তাদের বলব, আমাদের একটু সম্মান দিন। আমরাও পারি।' মেলবোর্নে শ্রীলংকার বিপক্ষে ম্যাচের পর এ প্রবাসী বাংলাদেশি পেসারদের নিয়ে কটূক্তি করেছিলেন। সে সঙ্গে ইংলিশ মিডিয়াও বাংলাদেশি পেসারদের হালকাভাবে তুলে ধরেছে। এদিন রুবেলের প্রশংসা করে তাদের মোক্ষম জবাবটাই দিলেন। 'এটা ঠিক যে, স্পিন আমাদের অন্যতম শক্তি। তাই বলে পেসাররা আমাদের কম নয়। ঘরের মাঠে কিছু পিচ যদি পেসারদের জন্য তৈরি করা হয় তাহলে ভালো হতো। তবে বিশ্বকাপের আরও কিছু ম্যাচ পেয়েছি আমরা। সেখানেও রুবেলরা দেখিয়ে দেবে।' নিজের হাঁটুতে ব্যথা নিয়েও মাশরাফি সবসময় সমর্থন দিয়ে গেছেন রুবেল, তাসকিনের মতো তার কমরেডদের। ইঙ্গিত দিয়েছেন এবারের বিশ্বকাপে পেসাররাই তার টেক্কা!সংগৃহীত 

11:37 PM Share:

Saturday, February 28, 2015

http://worldcup-24.blogspot.com/
সেঞ্চুরির সেঞ্চুরি। টেস্টে ৫১ আর ওয়ানডেতে ৪৯। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শচীন টেন্ডুলকারের ১০০ সেঞ্চুরির এই কীর্তি আদৌ কারো পক্ষে কোনোদিন কি ছোঁয়া সম্ভব? অন্য অনেকের মতো এই ব্যাটিং জিনিয়াসের কীর্তিটাকে অমরত্ব দিচ্ছেন সৌরভ গাঙ্গুলীও। এমনকি টেস্টে ৫১টি সেঞ্চুরির রেকর্ড ছোঁয়াও কারো পক্ষে কখনো সম্ভব নয় বলে মনে করেন তিনি। তবে ওয়ানডেতে টেন্ডুলকারের কীর্তি ছোঁয়া অন্তত একজনের পক্ষে মোটেও অসম্ভব মনে হচ্ছে না ভারতের সাবেক এই অধিনায়কের। তিনি বিরাট কোহলি। ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীরা যাঁর মাঝে খোদ টেন্ডুলকারেরই ছায়া খুঁজে ফেরেন।
কোহলি এতটা পথ পাড়ি দিয়ে টেন্ডুলকারের কীর্তি ছুঁতে পারবেন কি না তা সময়ই জানাবে। তবে কোহলিভক্তদের জন্য আশার আলো কিন্তু আছে। সেঞ্চুরির গড় মানে সেঞ্চুরিপিছু ইনিংসের হিসাবে 'লিটল মাস্টারে'র চেয়ে কোহলিই এখন এগিয়ে। টেন্ডুলকার তাঁর সেঞ্চুরিগুলো করেছেন ৯.২২৪ ইনিংসে। সেখানে কোহলি তাঁর তিন অঙ্কের স্কোরগুলো করেছেন ৬.৫৪ ইনিংসে। তার মানে প্রতি সাত ম্যাচে অন্তত একটি সেঞ্চুরি আছে তাঁর। অ্যাডিলেডে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেওয়া ইনিংসটিসহ ১৫২টি ওয়ানডেতে তাঁর নামের পাশে জ্বলজ্বল করছে ২২টি সেঞ্চুরি। সর্বাধিক ওয়ানডে সেঞ্চুরির তালিকায় কোহলি এরই মধ্যে উঠে এসেছেন চতুর্থ স্থানে। তাঁর সামনে আছেন কেবল সনাৎ জয়াসুরিয়া (২৮), রিকি পন্টিং (৩০) ও টেন্ডুলকার। এই ছন্দ ধরে রেখে আরো আট-দশ বছর খেলা চালিয়ে যেতে পারলে সেঞ্চুরির ওই এভারেস্ট চূড়ায় উঠে বসা কোহলির পক্ষে অসম্ভব নয়। গাঙ্গুলী তো ক্যারিয়ার শেষে ভারতীয় সহ-অধিনায়কের নামের পাশে ৫০টি সেঞ্চুরি থাকার উজ্জ্বল সম্ভাবনাই দেখছেন, 'আমার মনে হয় ওয়ানডেতে টেন্ডুলকারের রেকর্ডের খুব কাছে যাবে বিরাট কোহলি। ইতিমধ্যে ২২টি সেঞ্চুরি ওর নামের পাশে আছে। ৫০তম সেঞ্চুরি করতে লাগবে আরো ২৮টি। ওই স্বপ্ন চূড়ায় পৌঁছাতে আরো অন্তত ১০ বছর খেলার সুযোগ পাবে ও। দেখা যাক কী হয়।'

ফর্মের তুঙ্গে থাকা কোহলির কারণে দারুণ ব্যস্ত সময় কাটছে ক্রিকেট পরিসংখ্যানবিদদের, ঘন ঘন পাল্টাতে হচ্ছে যে রেকর্ড বইয়ে! তবে টেন্ডুলকারের গড়ে যাওয়া টেস্টের ৫১তম সেঞ্চুরির রেকর্ডটা অধরা থাকবে বলেই মনে হচ্ছে গাঙ্গুলীর, 'এটা খুবই নিরাপদ। আমার মনে হয় না কোনো দিন কেউ ওই রেকর্ড ভাঙতে পারবে।'
কোহলির ফর্ম, ভবিষ্যৎ ছাড়াও গাঙ্গুলী কথা বলেছেন মহেন্দ্র সিং ধোনির দলের বিশ্বকাপ শিরোপা ধরে রাখার সম্ভাবনা নিয়েও। অস্ট্রেলিয়া সফর দুঃস্বপ্নের মতো কাটলেও ক্রিকেট মহাযজ্ঞ শুরু হতেই রং বদলে গেছে ভারতের। দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়ানোয় ধোনির দলকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন সাবেক এই অধিনায়ক, 'অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট ও ত্রিদেশীয় সিরিজের সঙ্গে ভারতের বিশ্বকাপের পারফরম্যান্সে দারুণ বৈপরীত্য। ভারত যে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১৩০ রানে হারিয়ে দেবে এমন ভবিষ্যদ্বাণী কেউই করেনি। এটা খুবই অপ্রত্যাশিত। কিন্তু ভারতের ফর্ম আমাদের সবাইকে চমকে দিয়েছে।' দলকে আত্মতৃপ্তিতে না ভুগতেও পরামর্শ দিয়েছেন গাঙ্গুলী, 'নকআউট পর্বে কী অপেক্ষা করছে গ্রুপ পর্বে এর প্রকৃত চিত্র পাওয়া যায় না। নির্দিষ্ট দিনে যেকোনো দল জিততে, হারিয়ে দিতে পারে যে কাউকে।সংগৃহীত 
worldcup

টেন্ডুলকারকেও ছাড়িয়ে যাবেন কোহলি!

http://worldcup-24.blogspot.com/
সেঞ্চুরির সেঞ্চুরি। টেস্টে ৫১ আর ওয়ানডেতে ৪৯। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শচীন টেন্ডুলকারের ১০০ সেঞ্চুরির এই কীর্তি আদৌ কারো পক্ষে কোনোদিন কি ছোঁয়া সম্ভব? অন্য অনেকের মতো এই ব্যাটিং জিনিয়াসের কীর্তিটাকে অমরত্ব দিচ্ছেন সৌরভ গাঙ্গুলীও। এমনকি টেস্টে ৫১টি সেঞ্চুরির রেকর্ড ছোঁয়াও কারো পক্ষে কখনো সম্ভব নয় বলে মনে করেন তিনি। তবে ওয়ানডেতে টেন্ডুলকারের কীর্তি ছোঁয়া অন্তত একজনের পক্ষে মোটেও অসম্ভব মনে হচ্ছে না ভারতের সাবেক এই অধিনায়কের। তিনি বিরাট কোহলি। ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীরা যাঁর মাঝে খোদ টেন্ডুলকারেরই ছায়া খুঁজে ফেরেন।
কোহলি এতটা পথ পাড়ি দিয়ে টেন্ডুলকারের কীর্তি ছুঁতে পারবেন কি না তা সময়ই জানাবে। তবে কোহলিভক্তদের জন্য আশার আলো কিন্তু আছে। সেঞ্চুরির গড় মানে সেঞ্চুরিপিছু ইনিংসের হিসাবে 'লিটল মাস্টারে'র চেয়ে কোহলিই এখন এগিয়ে। টেন্ডুলকার তাঁর সেঞ্চুরিগুলো করেছেন ৯.২২৪ ইনিংসে। সেখানে কোহলি তাঁর তিন অঙ্কের স্কোরগুলো করেছেন ৬.৫৪ ইনিংসে। তার মানে প্রতি সাত ম্যাচে অন্তত একটি সেঞ্চুরি আছে তাঁর। অ্যাডিলেডে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেওয়া ইনিংসটিসহ ১৫২টি ওয়ানডেতে তাঁর নামের পাশে জ্বলজ্বল করছে ২২টি সেঞ্চুরি। সর্বাধিক ওয়ানডে সেঞ্চুরির তালিকায় কোহলি এরই মধ্যে উঠে এসেছেন চতুর্থ স্থানে। তাঁর সামনে আছেন কেবল সনাৎ জয়াসুরিয়া (২৮), রিকি পন্টিং (৩০) ও টেন্ডুলকার। এই ছন্দ ধরে রেখে আরো আট-দশ বছর খেলা চালিয়ে যেতে পারলে সেঞ্চুরির ওই এভারেস্ট চূড়ায় উঠে বসা কোহলির পক্ষে অসম্ভব নয়। গাঙ্গুলী তো ক্যারিয়ার শেষে ভারতীয় সহ-অধিনায়কের নামের পাশে ৫০টি সেঞ্চুরি থাকার উজ্জ্বল সম্ভাবনাই দেখছেন, 'আমার মনে হয় ওয়ানডেতে টেন্ডুলকারের রেকর্ডের খুব কাছে যাবে বিরাট কোহলি। ইতিমধ্যে ২২টি সেঞ্চুরি ওর নামের পাশে আছে। ৫০তম সেঞ্চুরি করতে লাগবে আরো ২৮টি। ওই স্বপ্ন চূড়ায় পৌঁছাতে আরো অন্তত ১০ বছর খেলার সুযোগ পাবে ও। দেখা যাক কী হয়।'

ফর্মের তুঙ্গে থাকা কোহলির কারণে দারুণ ব্যস্ত সময় কাটছে ক্রিকেট পরিসংখ্যানবিদদের, ঘন ঘন পাল্টাতে হচ্ছে যে রেকর্ড বইয়ে! তবে টেন্ডুলকারের গড়ে যাওয়া টেস্টের ৫১তম সেঞ্চুরির রেকর্ডটা অধরা থাকবে বলেই মনে হচ্ছে গাঙ্গুলীর, 'এটা খুবই নিরাপদ। আমার মনে হয় না কোনো দিন কেউ ওই রেকর্ড ভাঙতে পারবে।'
কোহলির ফর্ম, ভবিষ্যৎ ছাড়াও গাঙ্গুলী কথা বলেছেন মহেন্দ্র সিং ধোনির দলের বিশ্বকাপ শিরোপা ধরে রাখার সম্ভাবনা নিয়েও। অস্ট্রেলিয়া সফর দুঃস্বপ্নের মতো কাটলেও ক্রিকেট মহাযজ্ঞ শুরু হতেই রং বদলে গেছে ভারতের। দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়ানোয় ধোনির দলকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন সাবেক এই অধিনায়ক, 'অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট ও ত্রিদেশীয় সিরিজের সঙ্গে ভারতের বিশ্বকাপের পারফরম্যান্সে দারুণ বৈপরীত্য। ভারত যে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১৩০ রানে হারিয়ে দেবে এমন ভবিষ্যদ্বাণী কেউই করেনি। এটা খুবই অপ্রত্যাশিত। কিন্তু ভারতের ফর্ম আমাদের সবাইকে চমকে দিয়েছে।' দলকে আত্মতৃপ্তিতে না ভুগতেও পরামর্শ দিয়েছেন গাঙ্গুলী, 'নকআউট পর্বে কী অপেক্ষা করছে গ্রুপ পর্বে এর প্রকৃত চিত্র পাওয়া যায় না। নির্দিষ্ট দিনে যেকোনো দল জিততে, হারিয়ে দিতে পারে যে কাউকে।সংগৃহীত 

10:58 PM Share:

Category

Football cricket Bangladesh sports worldcup 2015 plays games Pakistan Video india shakib English Premier League Laa League messi west indies Asian games Europe Football brazil IPL srilanka tiger Australia Players Profile hockey real madrid t20 win 2017 BPL Bangladesh Cricket fifa ronaldo BCB Bangladesh Vs Pakistan bersilona dhaka game spanish league League asia cup 2016 banglawash germany record south Africa 2018 afridi amir argentina best couch england goal odi one day skills test 2018 under-19 cricket world cup Cricket Bangladesh & Pakistan English Golf ICC Kolkata Newzerland South Korea UAE al-amin barcelona child chittagong club cricket live fc barcelona futbol futebol goals hd history india vs bangladesh 2016 india vs bangladesh live streaming japan kamran akmal lionel messi naimer national team pele rank sabbir sachin sami-final serena williams sick soccer stadium taizul tamim taskin tennis whitewash wicket woman world cup world hockey 1958 1992 19th 1st 2 2006 2010 2014 2022 2nd 334 5 68 950 Afghanistan Bangladesh vs India Banglur CPL Copa America Cricket Bangladesh Cricket Bangladesh & India Gazi Italy Italy League Khulna Man Nepal Panjab Song Tank Tv guide aguaru amazing andre agassi (tennis player) australia vs pakistan aéropostale (business operation) bankhum barsa barsilona bat beauty bethany mota bigbash bijoy bolt boot bowler brazilian bulbul calcio canada (country) captain center coach comedy (theater genre) complain copa america 2014 winner copa america 2015 final copa america 2015 winner copa america final 2016 highlights copa america final 2017 copa america winners list country cricket highlights cricket videos cup dev di dollor ever final forever fox france fs1 funny jokes fussball fußball gail gaza gold gool grunting in tennis habibul hattrick help highlights hospital hughes icc u19 world cup 2018 schedule ind vs nz india cricket team india vs bangladesh india vs bangladesh live cricket streaming india vs new zealand india vs sri lanka 2016 indian express jimmy connors (tennis tournament champion) jobair jubair legendary life lionel messi vs real madrid live liverpool look los angeles (city/town/village) loss magic mahadi mahala mahela mahmudullah maradona mario gotza mateo ronaldo matrin meet metch milan miraz mominul ms dhoni name nasir nazmul new news neymar age neymar current teams neymar instagram neymar psg neymar santos sr neymar son neymar wife neymar wiki old open ottawa pak vs aus pak vs australia pakistan vs australia pakistan vs sri lanka pakistan vs west indies pale pel pel company pel company profile pel pakistan jobs pel refrigerator prices in pakistan 2016 personal quick race rahul razak real riyed rohit rokibulhasan ronaldinho ronaldo age ronaldo brazil ronaldo luis nazario ronaldo name ronaldo son ronaldo vs messi ronaldo wife russia russia 2018 sakib santo sell shak jamal sharuk shohag gazi shoumya sorkar shuvo siddaq son stone sylhet team ticket tricks tutorial under 19 cricket world cup 2018 schedule under 19 world cup 2018 schedule under 19 world cup indian team under 19 world cup schedule vine virat kohli visa voetbal vs waker wasim akram world xavi zidan

Recent News

Proudly Powered by WorldCup.
back to top