বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত। তারা বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কিংবা তাদের সাম্প্রতিক ফর্ম দেখে ঘাবড়ে যাবার কিছু নেই। কারণ মাঠের খেলায় এর কোনটাই ভূমিকা রাখবে না। ভারতকে আগেও বিশ্বকাপের ম্যাচে আমরা হারিয়েছি। সুতরাং নিজেদের সেরাটা ঢেলে দিতে পারলে পুরনো কীর্তির পুনরাবৃত্তি করতে পারাটা খুব একটা কঠিন হবে না।
একটা দল যখন জয়ের মানসিকতায় থাকে তখন অসম্ভব মনে হওয়া কাজটাও তাদের দিয়ে খুব সহজে সম্ভব হয়ে যায়। বাংলাদেশ এই মুহূর্তে ঠিক তেমন ছন্দেই আছে। গ্রুপ পর্বে তিনটি ম্যাচ জয়ের পর নিউজিল্যান্ডকেও কাঁপিয়ে দিয়েছিল টাইগাররা। শেষ পর্যন্ত সেই ম্যাচে হারতে হলেও নিজেদের আত্মবিশ্বাসটা ঠিকই বাড়িয়ে নিয়েছে তারা। তাছাড়া গতকাল জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে ভারতকে বেশ টালমাটালই মনে হয়েছে। সব মিলে আমি বলবো নিজেদের উপর বিশ্বাস ধরে রাখাটা খুব জরুরী। এরপর মাঠে নিজেদের সামর্থের স্বার্থক অনুবাদটা করতে পারলেই চলে।
বাংলাদেশকে ১৯ মার্চের ম্যাচে প্রেরণা যোগাবে ইতিহাসের হাতছানি। নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসটাকে আরেকটু সমৃদ্ধ করার দ্বারপ্রান্তে আমরা। তাছাড়া ঐ ম্যাচে থাকছেন মাশরাফিও। তার অন্তর্ভুক্তি নিঃসন্দেহে আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। গত ম্যাচে তার অভাব খুব ভালভাবেই অনুভূত হয়েছে।
ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে আমরা বেশ কয়েকদিন বিশ্রাম পাচ্ছি। দলে বেশ কিছু চোট সমস্যা আছে। এই সময়ে সেগুলো ঠিক হয়ে যাবে বলে আশা করি।
তবে এটাও মাথায় রাখতে হবে ভারত খুব শক্তিশালী দল। তারা গ্রুপ পর্বের কঠিন বাধাগুলোও খুব সহজে টপকে গেছে। এমন শক্তিশালী এবং আত্মবিশ্বাসী একটা দলকে হারাতে নিজেদের সেরা ক্রিকেট খেলার বিকল্প নেই।
7:58 AM
Share: