রুবেল শেষ উইকেটটি পাওয়ার পর আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারছিলেন না, মাটিতেই শুয়ে পড়েন মাশরাফি। পরিশ্রান্ত, ক্লান্ত এক নায়ককে এসে জড়িয়ে ধরেছিলেন সবাই। তার ওপরই পিরামিড তৈরি হয়েছিল, ঐতিহাসিক জয়ের এক পিরামিড। হাঁটুতে তীব্র ব্যথা নিয়েও যিনি মাঠে নেমেছিলেন, ঠিকমতো হাঁটতে কষ্ট হলেও যিনি দৌড়ে ছিলেন। এই ইংল্যান্ডকে হারানোর জন্য কোচের সঙ্গে তিনি কত দিন, কত রাত যে পরিকল্পনা করেছিলেন, অবশেষে সে দিনটি যখন সত্য হলো তখন তার চেয়ে খুশি আর কেই বা হতে পারে। তাই জয়টি বাংলাদেশ অধিনায়ক উৎসর্গ করেছেন মুক্তিযোদ্ধাদের। কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন দলের প্রত্যেক কোচিং স্টাফকে, আর অনেক অনেক ধন্যবাদ জানিয়েছেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মুশফিক, সৌম্য আর তার প্রিয় রুবেল হোসনকে। 'এই জয়টি আমাদের ক্রিকেটের জন্য অনেক বড় একটি ঘটনা। আমরা ধারাবাহিক নই বলে একটি অপবাদ আছে। আমরা সেটা থেকে বেরোতে চাচ্ছি। বিশ্বকাপে আমরা টানা কিছু ম্যাচ জিতেছি। আশা করছি, এ ধারাবাহিকতা কোয়ার্টারে দেখতে পারবে সমর্থকরা।' ম্যাচ শেষে হাঁটুতে ব্যথা নিয়েই এসেছিলেন সাংবাকিদের সামনে।
বলতে চেয়েছিলেন অনেক কিছুই। বাংলাদেশকে নিয়ে ব্রিটিশদের যে একটা নাকউঁচু ভাব রয়েছে, তা ভেঙে দিতে চেয়েছিলেন; কিন্তু তাদের কেউ ছিলেন না সেখানে। তাই পরিচিতজনদের কাছেই মনের কথা বললেন। 'দেখিয়ে দিলাম ওদেরকে (পড়তে হবে বিগ থ্রি) আমরাও পারি। এই জয়কে কেউ আপসেট বলতে পারবে না। আমরা ভালো খেলে, লড়াই করে জিতেছি।' মাইকের সামনে বলা কথা নয়, সেখান থেকে বেরিয়ে মাশরাফি মেলে ধরেছিলেন তার মনের ভেতরটাকে। সাকিব-তামিম ছাড়াও যে এই দলটি এখন একটি জায়গায় ম্যাচ নিয়ে যেতে পারে, সেই স্বস্তিটাও ছিল তার মধ্যে। 'তিন নম্বরে সৌম্য দারুণ করছে। সে হয়তো বড় স্কোর করতে পারছে না; কিন্তু যে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে শটগুলো খেলছে, তা দেখে দারুণ লেগেছে। সত্যি কথা বলতে কি, আমিও ঘাবড়ে গিয়েছিলাম ২ উইকেট পড়ার পর। ওই সময় ওদের বলও ভালো হচ্ছিল। কিন্তু সৌম্য, রিয়াদের পর মুশফিক যা করল তাতে অবশ্যই ধন্যবাদ দিতে হবে।' ব্যাটসম্যানদের প্রশংসা করার পর এদিন পেসারদের নিয়েও ভেতরের জমানো কষ্টের কথা বলেছিলেন। 'আমাদের পেসারদের নিয়ে অনেকেই অনেক বাজে কথা বলেন। তাদের বলব, আমাদের একটু সম্মান দিন। আমরাও পারি।' মেলবোর্নে শ্রীলংকার বিপক্ষে ম্যাচের পর এ প্রবাসী বাংলাদেশি পেসারদের নিয়ে কটূক্তি করেছিলেন। সে সঙ্গে ইংলিশ মিডিয়াও বাংলাদেশি পেসারদের হালকাভাবে তুলে ধরেছে। এদিন রুবেলের প্রশংসা করে তাদের মোক্ষম জবাবটাই দিলেন। 'এটা ঠিক যে, স্পিন আমাদের অন্যতম শক্তি। তাই বলে পেসাররা আমাদের কম নয়। ঘরের মাঠে কিছু পিচ যদি পেসারদের জন্য তৈরি করা হয় তাহলে ভালো হতো। তবে বিশ্বকাপের আরও কিছু ম্যাচ পেয়েছি আমরা। সেখানেও রুবেলরা দেখিয়ে দেবে।' নিজের হাঁটুতে ব্যথা নিয়েও মাশরাফি সবসময় সমর্থন দিয়ে গেছেন রুবেল, তাসকিনের মতো তার কমরেডদের। ইঙ্গিত দিয়েছেন এবারের বিশ্বকাপে পেসাররাই তার টেক্কা!সংগৃহীত
বলতে চেয়েছিলেন অনেক কিছুই। বাংলাদেশকে নিয়ে ব্রিটিশদের যে একটা নাকউঁচু ভাব রয়েছে, তা ভেঙে দিতে চেয়েছিলেন; কিন্তু তাদের কেউ ছিলেন না সেখানে। তাই পরিচিতজনদের কাছেই মনের কথা বললেন। 'দেখিয়ে দিলাম ওদেরকে (পড়তে হবে বিগ থ্রি) আমরাও পারি। এই জয়কে কেউ আপসেট বলতে পারবে না। আমরা ভালো খেলে, লড়াই করে জিতেছি।' মাইকের সামনে বলা কথা নয়, সেখান থেকে বেরিয়ে মাশরাফি মেলে ধরেছিলেন তার মনের ভেতরটাকে। সাকিব-তামিম ছাড়াও যে এই দলটি এখন একটি জায়গায় ম্যাচ নিয়ে যেতে পারে, সেই স্বস্তিটাও ছিল তার মধ্যে। 'তিন নম্বরে সৌম্য দারুণ করছে। সে হয়তো বড় স্কোর করতে পারছে না; কিন্তু যে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে শটগুলো খেলছে, তা দেখে দারুণ লেগেছে। সত্যি কথা বলতে কি, আমিও ঘাবড়ে গিয়েছিলাম ২ উইকেট পড়ার পর। ওই সময় ওদের বলও ভালো হচ্ছিল। কিন্তু সৌম্য, রিয়াদের পর মুশফিক যা করল তাতে অবশ্যই ধন্যবাদ দিতে হবে।' ব্যাটসম্যানদের প্রশংসা করার পর এদিন পেসারদের নিয়েও ভেতরের জমানো কষ্টের কথা বলেছিলেন। 'আমাদের পেসারদের নিয়ে অনেকেই অনেক বাজে কথা বলেন। তাদের বলব, আমাদের একটু সম্মান দিন। আমরাও পারি।' মেলবোর্নে শ্রীলংকার বিপক্ষে ম্যাচের পর এ প্রবাসী বাংলাদেশি পেসারদের নিয়ে কটূক্তি করেছিলেন। সে সঙ্গে ইংলিশ মিডিয়াও বাংলাদেশি পেসারদের হালকাভাবে তুলে ধরেছে। এদিন রুবেলের প্রশংসা করে তাদের মোক্ষম জবাবটাই দিলেন। 'এটা ঠিক যে, স্পিন আমাদের অন্যতম শক্তি। তাই বলে পেসাররা আমাদের কম নয়। ঘরের মাঠে কিছু পিচ যদি পেসারদের জন্য তৈরি করা হয় তাহলে ভালো হতো। তবে বিশ্বকাপের আরও কিছু ম্যাচ পেয়েছি আমরা। সেখানেও রুবেলরা দেখিয়ে দেবে।' নিজের হাঁটুতে ব্যথা নিয়েও মাশরাফি সবসময় সমর্থন দিয়ে গেছেন রুবেল, তাসকিনের মতো তার কমরেডদের। ইঙ্গিত দিয়েছেন এবারের বিশ্বকাপে পেসাররাই তার টেক্কা!সংগৃহীত
11:37 PM
Share: