ওয়ানডেতে র্যাংকিং কাছাকাছি, তবে টেস্টে পাকিস্তানের সঙ্গে বিস্তর ব্যবধান বাংলাদেশের। আইসিসি র্যাংকিংয়ে ৪ নম্বরে অবস্থান এখন পাকিস্তানের, সেখানে বাংলাদেশ আছে ৯-এ দাঁড়িয়ে। অতীতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৮ টেস্টের সব ক’টিতে হার বাংলাদেশের। ২০০৩ সালে মুলতান টেস্টে ১ উইকেটে হারের কথা বাদ দিলে পাকিস্তানের সঙ্গে অবশিষ্ট ৭টি টেস্টের সব ক’টিতে হারের ব্যবধান বড়। যার মধ্যে ইনিংস হারে বাধ্য হয়েছে বাংলাদেশ ৪টিতে,তিন দিনে টেস্ট শেষ হওয়ার অতীত সেখানে ৩টি। তবে ওয়ানডে সিরিজে পাকিস্তানকে হোয়াইট ওয়াশের পর টি-২০তে বড় ব্যবধানে হারিয়ে উজ্জীবিত বাংলাদেশ দল এখন টেস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে দারুণ কিছু’র স্বপ্ন দেখছে। পাকিস্তান টেস্ট দলে মিসবাহ এবং ইউনুস খানের মতো পরীক্ষিত ব্যাটসম্যান থাকার পরও বোলিং এবং ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ দলকে এগিয়ে রাখছেন টেস্টের নাম্বার ওয়ান অল রাউন্ডার সাকিবÑ‘যদিও ওদের (পাকিস্তান) ব্যাটিং বিভাগে কিছু অভিজ্ঞ খেলোয়াড় আছে। কিন্তু আমাদের বোলিং আক্রমণ তাদের চেয়ে ভাল। অভিজ্ঞতার দিক থেকে ওদের ব্যাটিং সাইডটা অনেক ভলে হতে পারে। কিন্তু আমাদের ব্যাটসম্যানরা এখন ভাল ফর্মে আছে। আমরা যদি আমাদের বর্তমান পারফরম্যান্সের বিচারে চিন্তা করি, তাহলে আমাদের ব্যাটিংও ভাল। এ ছাড়াও আমার বিশ্বাস, ফিল্ডিংয়ে আমরা পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে। এই ৩ বিভাগে ভাল খেলতে পারলে আমার প্রত্যাশা, টেস্ট সিরিজে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে।’ টেস্ট জিততে হলে দায়িত্ব নিতে হবে বোলারদের। বোলারদের কাজটা তাই কঠিন। খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সর্বশেষ টেস্টে জিতেছে ১৬২ রানে। তা সম্ভব হয়েছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খুলনা টেস্টে উভয় ইনিংসে সাকিবের ৫টি করে উইকেট এবং সেঞ্চুরিতে ইমরান খান,ইয়ান বোথামের রেকর্ড ছুঁয়ে। খুলনা টেস্টে তেমন ভূমিকায় অবতীর্ণ হবেন বলে সাকিবের উপর যখন সবার চোখ, তখন সাকিব তাকিয়ে আছেন উইকেটের দিকেÑ ‘আমি জানি না পিচ কেমন হবে। সবকিছু নির্ভর করবে পিচের ওপর। অনেক টেস্ট ম্যাচ আছে ১০ উইকেটও কেউ নিতে পারে না, উইকেট কেমন হবে, তার ওপর নির্ভর করে সব কিছু।
অবশ্য আমাদেরও ভাল বোলিংও করতে হবে। বোলাররা যদি উইকেটে থেকে কোনো সাহায্য নিতে পারে, সেক্ষেত্রে সুযোগ থাকবে ওদের ২০ উইকেট তুলে নেওয়ার।’ খুলনায় ক’দিনের বৃষ্টিতে উইকেট ভেজা। উইকেটের উপরে রোল করতে পারছে না মাঠকর্মীরা। তবে শেষ প্রস্তুতিতে টীম ম্যানেজমেন্টের নির্দেশনার দিকে তাকিয়ে আছেন সাকিবÑ ‘আমি কেমন উইকেট চাই এটা বড় ব্যাপার নয়। টিম ম্যানেজমেন্ট কেমন উইকেট চায় সেটাই বড় ব্যাপার। এটা টিম ম্যানেজমেন্টই ভাল বলতে পারবে।’ অনেক দিন পর টেস্ট খেলতে নামছে বাংলাদেশ, তবে তা দলে বিরূপ প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন না তিনিÑ ‘আমি ছাড়া সবাই লংগার ভার্সন খেলেছে। আমার মনে হয় না, কোনো সমস্যা হবে। চেষ্টা করব এই ২ দিনে যতোটা সম্ভব প্রস্তুতি নেয়ার।’ এক সময় বাংলাদেশ ৫ দিন প্রতিরোধকেই দিত গুরুত্ব। এখন মানসিকতায় এসেছে পরিবর্তন। টেস্টে লড়াই করার জন্য মাঠে নামে ক্রিকেটাররা। হোমে টেস্ট বলে তাই পাকিস্তানের বিপক্ষে দারুণ কিছু’র সম্ভাবনা দেখছেন সাকিবÑ দিন যতো যাবে তত উন্নতি আসবে। উন্নতি আসাটাই স্বাভাবিক। আমাদের মধ্যে বিশ্বাস জন্মেছে যে, আমরা কমপক্ষে ঘরের মাটিতে যেকোনো দলের সঙ্গে ফাইট করতে পারি।’ প্রায় ৫ মাস পর টেস্টে ফিরছে বাংলাদেশ, সে কারণেই খুলনায় পা রেখে নেটে একটু বেশি সময়ই অনুশীলন করেছেন বিশ্বসেরা এই অল রাউন্ডারÑ‘ একটু বেশি বোলিং করার অনুশীলন করছি। এটা গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম ইনিংসে বোলিং করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’তবে ম্যাচে দীর্ঘক্ষণ বোলিং করতে চান না অন্য কারনেÑ‘অনেকক্ষণ বোলিং করতে চাই না। অনেকক্ষণ বোলিং করলে ওরা অনেকক্ষণ ব্যাটিং করার সুযোগ পাবে। চেষ্টা থাকবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ওদের অলআউট করার।’ টেস্ট দলে তিন নুতন সৌম্য সরকার, লিটন দাস এবং শহীদের অন্তর্ভূক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন সাকিবÑ‘আমি তো বিশ্বাস করি, অবশ্যই সম্ভব। দলে কয়েকটা চেঞ্জ আছে। কিছু নতুন খেলোয়াড় দলে এসেছে। সৌম্য ওয়ানডে দারুণ শুরু এনে দিয়েছে। লিটন ঘরোয়া ক্রিকেটে দারুণ খেলে জানিয়ে দিয়েছে এই লেভেলের ক্রিকেটে খেলার সামর্থ আছে তার। শহীদ আমার সঙ্গে আমার দলে (লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ) খেলেছে। যদিও দেশে ফার্স্ট বোলারদের জন্য করণীয় তেমন কিছুই নেই। দলে যারা ওয়ানডে খেলেছে; তাদের মনের মধ্যেও বিশ্বাস আছে। পাকিস্তাানের বোলিং আক্রমণের বেশিরভাগই আমরা খেলেছি। খুব কঠিন মনে হচ্ছে না। যারা দলে নতুন এসেছে তাদেরও বিশ্বাস থাকবে, দলটা যেহেতু ভাল করছে আমাদেরও ভাল কিছু করতে হবে। এবং তারা ভাল খেলার প্রেরণা পাবে সেখান থেকেই।’ ওয়নডে এবং টি-২০ সিরিজে পাকিস্তানকে পর্যুদস্ত করেছে বাংলাদেশ মাশরাফির ক্যাপ্টেনসিতে। তবে টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশকে খেলতে হবে মুশফিকুরের ক্যাপ্টেনসিতে। তবে অধিনায়ক বদল হলেও পারফরমেন্সের ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে বলে বিশ্বাস করেন সাকিবÑ‘ আমরা কখনো দলের ভেতরে এসব নিয়ে চিন্তা করি না। টেস্ট এক ধরনের খেলা; ওয়ানডে ভিন্ন ধরনের খেলা। এগুলো নিয়ে আসলে তুলনা করার কিছু না। ২ জনই ভাল করছে দলের হয়ে; ২ জনই দলের জয়ে ভূমিকা রাখছে। এটাই একটি ভাল দলের লক্ষণ।’
অবশ্য আমাদেরও ভাল বোলিংও করতে হবে। বোলাররা যদি উইকেটে থেকে কোনো সাহায্য নিতে পারে, সেক্ষেত্রে সুযোগ থাকবে ওদের ২০ উইকেট তুলে নেওয়ার।’ খুলনায় ক’দিনের বৃষ্টিতে উইকেট ভেজা। উইকেটের উপরে রোল করতে পারছে না মাঠকর্মীরা। তবে শেষ প্রস্তুতিতে টীম ম্যানেজমেন্টের নির্দেশনার দিকে তাকিয়ে আছেন সাকিবÑ ‘আমি কেমন উইকেট চাই এটা বড় ব্যাপার নয়। টিম ম্যানেজমেন্ট কেমন উইকেট চায় সেটাই বড় ব্যাপার। এটা টিম ম্যানেজমেন্টই ভাল বলতে পারবে।’ অনেক দিন পর টেস্ট খেলতে নামছে বাংলাদেশ, তবে তা দলে বিরূপ প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন না তিনিÑ ‘আমি ছাড়া সবাই লংগার ভার্সন খেলেছে। আমার মনে হয় না, কোনো সমস্যা হবে। চেষ্টা করব এই ২ দিনে যতোটা সম্ভব প্রস্তুতি নেয়ার।’ এক সময় বাংলাদেশ ৫ দিন প্রতিরোধকেই দিত গুরুত্ব। এখন মানসিকতায় এসেছে পরিবর্তন। টেস্টে লড়াই করার জন্য মাঠে নামে ক্রিকেটাররা। হোমে টেস্ট বলে তাই পাকিস্তানের বিপক্ষে দারুণ কিছু’র সম্ভাবনা দেখছেন সাকিবÑ দিন যতো যাবে তত উন্নতি আসবে। উন্নতি আসাটাই স্বাভাবিক। আমাদের মধ্যে বিশ্বাস জন্মেছে যে, আমরা কমপক্ষে ঘরের মাটিতে যেকোনো দলের সঙ্গে ফাইট করতে পারি।’ প্রায় ৫ মাস পর টেস্টে ফিরছে বাংলাদেশ, সে কারণেই খুলনায় পা রেখে নেটে একটু বেশি সময়ই অনুশীলন করেছেন বিশ্বসেরা এই অল রাউন্ডারÑ‘ একটু বেশি বোলিং করার অনুশীলন করছি। এটা গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম ইনিংসে বোলিং করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’তবে ম্যাচে দীর্ঘক্ষণ বোলিং করতে চান না অন্য কারনেÑ‘অনেকক্ষণ বোলিং করতে চাই না। অনেকক্ষণ বোলিং করলে ওরা অনেকক্ষণ ব্যাটিং করার সুযোগ পাবে। চেষ্টা থাকবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ওদের অলআউট করার।’ টেস্ট দলে তিন নুতন সৌম্য সরকার, লিটন দাস এবং শহীদের অন্তর্ভূক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন সাকিবÑ‘আমি তো বিশ্বাস করি, অবশ্যই সম্ভব। দলে কয়েকটা চেঞ্জ আছে। কিছু নতুন খেলোয়াড় দলে এসেছে। সৌম্য ওয়ানডে দারুণ শুরু এনে দিয়েছে। লিটন ঘরোয়া ক্রিকেটে দারুণ খেলে জানিয়ে দিয়েছে এই লেভেলের ক্রিকেটে খেলার সামর্থ আছে তার। শহীদ আমার সঙ্গে আমার দলে (লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ) খেলেছে। যদিও দেশে ফার্স্ট বোলারদের জন্য করণীয় তেমন কিছুই নেই। দলে যারা ওয়ানডে খেলেছে; তাদের মনের মধ্যেও বিশ্বাস আছে। পাকিস্তাানের বোলিং আক্রমণের বেশিরভাগই আমরা খেলেছি। খুব কঠিন মনে হচ্ছে না। যারা দলে নতুন এসেছে তাদেরও বিশ্বাস থাকবে, দলটা যেহেতু ভাল করছে আমাদেরও ভাল কিছু করতে হবে। এবং তারা ভাল খেলার প্রেরণা পাবে সেখান থেকেই।’ ওয়নডে এবং টি-২০ সিরিজে পাকিস্তানকে পর্যুদস্ত করেছে বাংলাদেশ মাশরাফির ক্যাপ্টেনসিতে। তবে টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশকে খেলতে হবে মুশফিকুরের ক্যাপ্টেনসিতে। তবে অধিনায়ক বদল হলেও পারফরমেন্সের ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে বলে বিশ্বাস করেন সাকিবÑ‘ আমরা কখনো দলের ভেতরে এসব নিয়ে চিন্তা করি না। টেস্ট এক ধরনের খেলা; ওয়ানডে ভিন্ন ধরনের খেলা। এগুলো নিয়ে আসলে তুলনা করার কিছু না। ২ জনই ভাল করছে দলের হয়ে; ২ জনই দলের জয়ে ভূমিকা রাখছে। এটাই একটি ভাল দলের লক্ষণ।’
11:16 PM
Share: