ব্রাজিলজুড়ে সাজ সাজ রব। ১৯৫০ বিশ্বকাপে ফাইনালে পরিণত হওয়া শেষ ম্যাচ জিতলেই শিরোপা তাদের।
ঐতিহ্যবাহী মারাকানায় থেকে থেকে উঠছিল সমুদ্রের গর্জন। সেই ম্যাচে কিনা উরুগুয়ের কাছে অপ্রত্যাশিতভাবে হেরে যায় ব্রাজিল। শোক নেমে আসে পুরো দেশে। পেলের বাবা বন্ধুদের নিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছিলেন বাড়িতে। বাবাকে এভাবে কাঁদতে দেখাটা ঠিক বিশ্বাস হচ্ছিল না ১০ বছর বয়সী পেলের। তাঁকে সান্ত্বনা দিতেই ছোট্ট পেলে কথা দিয়ে বসেন, ‘কেঁদো না বাবা, কথা দিচ্ছি আমি বিশ্বকাপ জিতবই। ’
রাশিয়ান সংবাদমাধ্যম আরটি’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গল্পটা নতুন করে শোনালেন পেলে , ‘‘আমাদের শহর বাউরুর পেশাদার ফুটবলার ছিলেন বাবা। এই শহরেই বেড়ে উঠেছি। ১৯৫০ বিশ্বকাপের সময় আমার বয়স ১০ বছর।
আর সবার মতো আমারও মনে হচ্ছিল ব্রাজিল সেরা দল। বিশ্বকাপ আমরা জিতবই। কিন্তু জীবনে প্রথমবার বাবাকে কাঁদতে দেখলাম (ফাইনালের দিন)। তখন আমাদের বাড়িতে টিভি ছিল না। বাবা অন্য খেলোয়াড়দের নিয়ে বাড়িতে ফাইনালের ধারাভাষ্য শুনছিলেন রেডিওতে। বুঝতে পারছিলাম না বাবা কেন এভাবে কাঁদছেন। তখন তাঁকে বলি, ‘বাবা কেঁদো না। তোমার জন্যই আমি বিশ্বকাপ জিতব, তুমি কেঁদো না। ’”
শৈশবের সেই প্রতিশ্রুতি পূরণে বেশি সময় লাগেনি পেলের। আট বছর না যেতেই ব্রাজিলের ১৯৫৮ বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক তিনি। সুইডেনে হওয়া বিশ্বকাপ ফাইনালে গোলও করেছিলেন দুটি। এরপর স্টেডিয়ামের বাইরে ছুটে গিয়ে বাবাকে ফোনে বলেছিলেন, ‘‘তখন স্টেডিয়াম থেকে সরাসরি কথা বলার সুযোগ ছিল না। ফাইনাল জিতেই বাইরে ছুটে গিয়ে বাবাকে বলি, ‘ভাবতে পারছ বাবা, বিশ্বকাপ জিতে গেছি আমরা। ’ জানালেন সুইডেনে এক বিচিত্র অভিজ্ঞতার কথা, ‘আমার কাছে একজন জানতে চাইল বুয়েনস এইরেসের খবর কি? তাঁকে বলি ওটা ব্রাজিল নয় আর্জেন্টিনার শহর। রাগে মেজাজ হারিয়ে ফেলেছিলাম। ’
১৯৭০ বিশ্বকাপে সর্বকালের অন্যতম সেরা দল নিয়ে শিরোপা পুনরুদ্ধার করে ব্রাজিল। তাতে পেলের সন্তুষ্টি, ‘সেই দলটা অন্যতম সেরা। রিভেলিনো, গার্সন, তোস্তাও আর আমি—চারজনই ১০ নম্বর জার্সির খেলোয়াড়। কোচ মারিও জাগালো চারজনকে দলে রাখায় অনেকের শঙ্কা জেগেছিল আমরা হয়তো পারব না। তবে দারুণ খেলে শিরোপাটা জিতি আমরা। ’ এবারের বিশ্বকাপে ব্রাজিলের সম্ভাবনা নিয়ে জানলেন, ‘আমি যেন বিশ্বকাপ দেখতে পারি এ জন্য সুস্থতা কামনা করছি। যদি সৃষ্টিকর্তা চান, তাহলে অন্তত ফাইনালে খেলব আমরা। ’
ঐতিহ্যবাহী মারাকানায় থেকে থেকে উঠছিল সমুদ্রের গর্জন। সেই ম্যাচে কিনা উরুগুয়ের কাছে অপ্রত্যাশিতভাবে হেরে যায় ব্রাজিল। শোক নেমে আসে পুরো দেশে। পেলের বাবা বন্ধুদের নিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছিলেন বাড়িতে। বাবাকে এভাবে কাঁদতে দেখাটা ঠিক বিশ্বাস হচ্ছিল না ১০ বছর বয়সী পেলের। তাঁকে সান্ত্বনা দিতেই ছোট্ট পেলে কথা দিয়ে বসেন, ‘কেঁদো না বাবা, কথা দিচ্ছি আমি বিশ্বকাপ জিতবই। ’
রাশিয়ান সংবাদমাধ্যম আরটি’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গল্পটা নতুন করে শোনালেন পেলে , ‘‘আমাদের শহর বাউরুর পেশাদার ফুটবলার ছিলেন বাবা। এই শহরেই বেড়ে উঠেছি। ১৯৫০ বিশ্বকাপের সময় আমার বয়স ১০ বছর।
আর সবার মতো আমারও মনে হচ্ছিল ব্রাজিল সেরা দল। বিশ্বকাপ আমরা জিতবই। কিন্তু জীবনে প্রথমবার বাবাকে কাঁদতে দেখলাম (ফাইনালের দিন)। তখন আমাদের বাড়িতে টিভি ছিল না। বাবা অন্য খেলোয়াড়দের নিয়ে বাড়িতে ফাইনালের ধারাভাষ্য শুনছিলেন রেডিওতে। বুঝতে পারছিলাম না বাবা কেন এভাবে কাঁদছেন। তখন তাঁকে বলি, ‘বাবা কেঁদো না। তোমার জন্যই আমি বিশ্বকাপ জিতব, তুমি কেঁদো না। ’”
শৈশবের সেই প্রতিশ্রুতি পূরণে বেশি সময় লাগেনি পেলের। আট বছর না যেতেই ব্রাজিলের ১৯৫৮ বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক তিনি। সুইডেনে হওয়া বিশ্বকাপ ফাইনালে গোলও করেছিলেন দুটি। এরপর স্টেডিয়ামের বাইরে ছুটে গিয়ে বাবাকে ফোনে বলেছিলেন, ‘‘তখন স্টেডিয়াম থেকে সরাসরি কথা বলার সুযোগ ছিল না। ফাইনাল জিতেই বাইরে ছুটে গিয়ে বাবাকে বলি, ‘ভাবতে পারছ বাবা, বিশ্বকাপ জিতে গেছি আমরা। ’ জানালেন সুইডেনে এক বিচিত্র অভিজ্ঞতার কথা, ‘আমার কাছে একজন জানতে চাইল বুয়েনস এইরেসের খবর কি? তাঁকে বলি ওটা ব্রাজিল নয় আর্জেন্টিনার শহর। রাগে মেজাজ হারিয়ে ফেলেছিলাম। ’
১৯৭০ বিশ্বকাপে সর্বকালের অন্যতম সেরা দল নিয়ে শিরোপা পুনরুদ্ধার করে ব্রাজিল। তাতে পেলের সন্তুষ্টি, ‘সেই দলটা অন্যতম সেরা। রিভেলিনো, গার্সন, তোস্তাও আর আমি—চারজনই ১০ নম্বর জার্সির খেলোয়াড়। কোচ মারিও জাগালো চারজনকে দলে রাখায় অনেকের শঙ্কা জেগেছিল আমরা হয়তো পারব না। তবে দারুণ খেলে শিরোপাটা জিতি আমরা। ’ এবারের বিশ্বকাপে ব্রাজিলের সম্ভাবনা নিয়ে জানলেন, ‘আমি যেন বিশ্বকাপ দেখতে পারি এ জন্য সুস্থতা কামনা করছি। যদি সৃষ্টিকর্তা চান, তাহলে অন্তত ফাইনালে খেলব আমরা। ’
Source :kalerkantho
9:16 PM
Share: