অবৈধ অ্যাকশনের পরও পাকিস্তানি নির্বাচকরা সদ্য সমাপ্ত বিশ্বকাপের দলে রেখেছিলেন আজমলকে। সাকলাইন মুস্তাকের অধীনে প্রাণান্ত চেষ্টাও করেছিলেন বিশ্বকাপ খেলার। কিন্তু অ্যাকশন শুধরে নির্ধারিত ১৫ ডিগ্রির সীমায় আসতে না পারায় নাম প্রত্যাহার করে নেন নিজেই। তাতে মনে হচ্ছিল আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের হয়তো শেষ দেখে ফেলেছেন আজমল। সেই আজমল বিশ্বকাপ শেষে প্রথম সিরিজেই জাতীয় দলে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "আবারও পাকিস্তানের হয়ে খেলতে পারব ভেবে ভীষণ রোমাঞ্চিত আমি। মনে হচ্ছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পুনর্জন্ম হলো। ভীষণ যন্ত্রণার ছিল কয়েকটা মাস। কোনো সন্দেহ নেই ক্যারিয়ারের সবচেয়ে কঠিন অধ্যায়টা অতিক্রম করছি। কিন্তু নিজের ওপর আত্মবিশ্বাসটা আছে। নতুন অ্যাকশনে কয়েক হাজার বলও করেছি। তাতে মনে হয়েছে আমার না পারার কোনো কারণ নেই।" কয়েকজন ইনজুরিতে পড়ায় একটা সময় বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ এসেছিল সাঈদ আজমলের। কিন্তু পিসিবির ভাবনা ছিল পাকিস্তান সেমিফাইনালে পৌঁছলেই কেবল পাঠানো হবে তাঁকে। কোয়ার্টার ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে যাওয়ায় সেই সুযোগ আসে নি।
এ নিয়ে আফসোস থাকলেও এখনো বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন উড়িয়ে দিচ্ছেন না আজমল। "বিশ্বকাপে পাকিস্তানের হয়ে বিশেষ কিছু করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এত বড় একটা টুর্নামেন্ট মিস করায় হতাশ আমি। মনে হচ্ছিল টেলিভিশনে ঢুকে পড়ে খেলি। ওরা খুব মিস করছিল আমাকে বিশেষ করে পাওয়ার প্লেতে। পরের বিশ্বকাপে আমার বয়স হবে ৪১ বছর। কে জানে তখন খেলব কিনা? অবসরের আগে আমার একটাই লক্ষ্য পাকিস্তানকে আইসিসির কোনো একটা টুর্নামেন্ট জেতাতে সাহায্য করা। হতে পারে এটা বিশ্ব টি-টোয়েন্টি বা চ্যাম্পিয়নস ট্রফি।"
11:36 AM
Share: