পাকিস্তান কোয়ার্টার ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে যাওয়ায় স্বপ্ন অপূর্ণ রেখেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানাতে হলো অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হক এবং তারকা অল-রাউন্ডার শহীদ আফ্রিদিকে। পাকিস্তানের এই দুই ক্রিকেটার আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, চলতি বিশ্বকাপ শেষেই এক দিনের ক্রিকেট থেকে অবসর নেবেন। যদিও টেস্ট ক্রিকেট খেলা চালিয়ে যাবেন অধিনায়ক মিসবাহ; আর আগেই টেস্ট থেকে অবসর নেয়া আফ্রিদি চালিয়ে যাবেন টি-টোয়েন্টি।
অসরের আগে ৪০ বছর বয়সী মিসবাহ ১৬২টি ওয়ানডে খেললেও শতক হাঁকানোর স্বাদ পাননি একবারও। অবসর নেয়ার দিন সব মিলিয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে তার রান দাঁড়ায় ৫,১২২; কোনো শতক ছাড়াই এই গড়ানার ক্রিকেটে এটাই কোনো ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ পরিমাণ রান।
বিদায়ী ম্যাচের আগের দিন সন্তুষ্টি প্রকাশ করে মিসবাহ বলেন, ‘যাই অর্জন করেছি, সবচেয়ে বড় সন্তুষ্টিটা হলো আমরা আমাদের দলের জন্য এবং দেশের জন্য একসঙ্গে কাজ করেছি। এটাই আমাকে সব চেয়ে বেশি তৃপ্তি দিচ্ছে।’ দলের মেধাবী তরুণ ক্রিকেটাররাই আগামী দিনগুলোতে পাকিস্তানকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে বলে মনে করেন মিসবাহ।
ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচে অ্যাডিলেড ওভালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও মিসবাহ ৩৪ রান করে পাকিস্তানের ২১৩ রানের সংগ্রহে অবদান রাখেন। ৩৫.৫ ওভার ব্যাট করে মাত্র চার উইকেট হারিয়ে যেই লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করে ফেলে সহ-আয়োজক অস্ট্রেলিয়া।
অপূর্ণতা নিয়ে বিদায় নিলেন অল-রাউন্ডার আফ্রিদিও। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ওয়ানডেতেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাত্র ৩৭ বলে সেঞ্চুরি করে তাক লাগিয়ে দেয়া এই তারকা আর মাত্র পাঁচটি উইকেট পেলেই ৪০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করতে পারতেন। সে ক্ষেত্রে নামের পাশে আট হাজার রানের পাশাপাশি চারশো উইকেট নেয়া একমাত্র অল-রাউন্ডার হতে পারতেন ৩৯৮টি ওয়ানডে খেলা ৩৫ বছর বয়সী আফ্রিদি।
দীর্ঘ ১৯ বছরের ক্যারিয়ারে অনেক উত্থান-পতন থাকলেও উপভোগ্য ছিলো বলে জানান আফ্রিদি, ‘১৯ বছর ধরে খেলা যথেষ্টের চেয়েও বেশি কিছু। অন্যদের ক্যারিয়ারের মতোই আমার ক্ষেত্রেও ভালো-খারাপ সময় ছিলো। এরপরও আমি পাকিস্তানের হয়ে এই দীর্ঘ সময় খেলেছি। এমনটা হবে বলে আমি কখনোই মনে করিনি। এই সময়ে পাঁচটি বিশ্বকাপ খেলা অনেক বড় কিছু। ভক্তরা আমার কাছ থেকে অনেক কিছু প্রত্যাশা করতো।’সংগৃহীত
8:37 PM
Share: