১৯৯২ সালে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের মাটি থেকে বিশ্বকাপ জিতেছিল পাকিস্তান। সেই দলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ইমরান খান। প্রথম দিকে কয়েকটি ম্যাচ হেরে যাওয়ার পর ইমরান নিজের দলের ক্রিকেটারদের 'কোণঠাসা বাঘ' হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন। গতকাল অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে দক্ষিণ আফ্রিকার মতো শক্তিশালী দলকে হারানোর পর সেই বিরানব্বইয়ের সুবাস পেতে শুরু করেছেন ওয়াকার ইউনুস। তিনি বলেছেন, 'আশা করি, এই জয়টা বিরানব্বইয়ের মতো কাজ করবে। বিশ্বকাপ মানেই চাপের খেলা। ১৯৯২ সালের দল দারুণভাবে চাপ সামলেছিল।' বিরানব্বইয়ের বিশ্বকাপে প্রথম দিকে হারের পর কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল পাকিস্তান। এরপর ইমরানের নেতৃত্বে ঘুরে দাঁড়িয়ে তারা বিশ্বকাপ জিতেছিল। এবারের পরিস্থিতির সঙ্গে তুলনা করে ওয়াকার বলেন, 'প্রথম দিকে ম্যাচ হারার পর ওই দলটা দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল। তারা অধিনায়ক এবং নিজেদের ওপর আস্থা রেখেছিল। আশা করি, এই জয়ের পর সে রকম আত্মবিশ্বাস এবার ড্রেসিংরুমে ফিরে আসবে। আমরা ক্রমশ আরও ভালো খেলব।' পাকিস্তান চলতি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে ৭৬ রানের ভারতের কাছে পরাজিত হয়। এরপর তারা বড় ব্যবধানে হারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে। কিন্তু দুটি ম্যাচ হারের পর টানা তিন ম্যাচ জিতে কোয়ার্টার ফাইনালের স্বপ্ন দেখছে পাকিস্তান। ১৫ মার্চ শেষ ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের মুখোমুখি হবে তারা। সেই ম্যাচে জেতার ঘোষণা দিয়ে ওয়াকার বলেন, 'কোয়ার্টার ফাইনালে উঠতে হলে আমাদের এখনও শেষ ম্যাচে জিততে হবে।'
ইডেন পার্কে গতকাল বৃষ্টি বিঘি্নত ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ২২২ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৩৩.৩ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ২০২ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ফলে ২৯ রানে জয় পায় পাকিস্তান। দুর্দান্ত এই জয় '৯২র মতো অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছে বলে জানিয়েছেন পাকিস্তান দলের কোচ ওয়াকার ইউনুস। কয়েকদিন আগে এই দলের অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হকও বিরানব্বই থেকে অনুপ্রেরণা খোঁজার কথা বলেছিলেন। তিনি বলেন, '১৯৯২ বিশ্বকাপের সবচেয়ে বড় শিক্ষাটি হলো হাল ছেড়ে না দেওয়া। সেবারও আমাদের শুরুটা ছিল খুবই খারাপ। কিন্তু খেলোয়াড়রা হাল ছাড়েননি। ফল হিসেবে ট্রফি নিয়েই ঘরে ফিরেছে তারা। হাল ছাড়তে চাই না আমরা।' তবে কয়েক দিন আগে বিরানব্বইয়ের দলের সঙ্গে তুলনা করে ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি ব্রায়ান লারা বলেছিলেন, '১৯৯২ সালের পাকিস্তান দলে প্রচুর ম্যাচ জেতানো খেলোয়াড় ছিলেন। তা ছাড়া ইমরান খানের নেতৃত্বও ছিল অনুপ্রাণিত করার মতো। তার দলের সদস্যরা নিজেদের বলতেন কোণঠাসা বাঘ। এই পাকিস্তান দল প্রতিপক্ষের জন্য ভয়ের কারণ নয়। তারা যদিও কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠে, তবু সেমিতে আমি তাদের দেখছি না।' লারা যতই পাকিস্তানকে বাতিল করে দিন, দক্ষিণ অফ্রিকার বিপক্ষে জেতার পর তাদের কিন্তু হিসাবের মধ্যে রাখতেই হবে। বিশেষ করে দুর্দান্ত পেস বোলিংয়ের জন্য। এই পাকিস্তান দলের ব্যাটিং একটু নড়বড়ে হলেও পেস বোলিং যে দুর্দান্ত, তা গতকাল টের পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।সংগৃহীত।
ইডেন পার্কে গতকাল বৃষ্টি বিঘি্নত ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ২২২ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৩৩.৩ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ২০২ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ফলে ২৯ রানে জয় পায় পাকিস্তান। দুর্দান্ত এই জয় '৯২র মতো অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছে বলে জানিয়েছেন পাকিস্তান দলের কোচ ওয়াকার ইউনুস। কয়েকদিন আগে এই দলের অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হকও বিরানব্বই থেকে অনুপ্রেরণা খোঁজার কথা বলেছিলেন। তিনি বলেন, '১৯৯২ বিশ্বকাপের সবচেয়ে বড় শিক্ষাটি হলো হাল ছেড়ে না দেওয়া। সেবারও আমাদের শুরুটা ছিল খুবই খারাপ। কিন্তু খেলোয়াড়রা হাল ছাড়েননি। ফল হিসেবে ট্রফি নিয়েই ঘরে ফিরেছে তারা। হাল ছাড়তে চাই না আমরা।' তবে কয়েক দিন আগে বিরানব্বইয়ের দলের সঙ্গে তুলনা করে ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি ব্রায়ান লারা বলেছিলেন, '১৯৯২ সালের পাকিস্তান দলে প্রচুর ম্যাচ জেতানো খেলোয়াড় ছিলেন। তা ছাড়া ইমরান খানের নেতৃত্বও ছিল অনুপ্রাণিত করার মতো। তার দলের সদস্যরা নিজেদের বলতেন কোণঠাসা বাঘ। এই পাকিস্তান দল প্রতিপক্ষের জন্য ভয়ের কারণ নয়। তারা যদিও কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠে, তবু সেমিতে আমি তাদের দেখছি না।' লারা যতই পাকিস্তানকে বাতিল করে দিন, দক্ষিণ অফ্রিকার বিপক্ষে জেতার পর তাদের কিন্তু হিসাবের মধ্যে রাখতেই হবে। বিশেষ করে দুর্দান্ত পেস বোলিংয়ের জন্য। এই পাকিস্তান দলের ব্যাটিং একটু নড়বড়ে হলেও পেস বোলিং যে দুর্দান্ত, তা গতকাল টের পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।সংগৃহীত।
11:45 PM
Share: