ফাঁকা মাঠের শূন্য গ্যালারিতে বসলে বাতাসের শিশ শুনতে পাওয়া যায়, চোখ বুঝলেও বিশালতার অনুভব ছোঁয়া যায়। ছাতা মাথায় একবার মাঠের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন মাশরাফি। ফিরে ফিরে দেখছিলেন গ্যাবার সৌন্দর্য। একসঙ্গে চলি্লশ হাজার লোক যখন চিৎকার করে উঠবে তখন ওই সবুজের মাঝে দাঁড়িয়ে কেমন লাগবে? পিচের ঘাসের ডগায় লুকানো যে সাপ ছোবল মারে ব্যাটসম্যানদের, সেখানে বোলিং করতে কোন পেসারের মন না চায়, মাশরাফি নিশ্চয় তাদের বাইরের কেউ নন। তাই স্বপি্নল চোখে চেয়ে ছিলেন তিনি ওই মাঠের দিকে। 'আসলে গ্যাবায় আমাদের কোনো ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা নেই। কারণ এই দলের কেউই খেলেননি। আমাদের কোচের কয়েকটি ম্যাচে কোচিং করানো ছাড়াও কোনো অভিজ্ঞতা নেই। ও ভুল বলেছি, সাকিব খেলেছে এখানে বিগ ব্যাশে। ওর কাছ থেকে আরও কিছু জেনে নেব এই মাঠের পিচ নিয়ে। তবে কে না জানে এই মাঠ পেসারদের জন্য কতটা দিয়ে থাকে ...।'
কিন্তু মাশরাফিদের এই মাঠে বোলিং করার মাঝে যে সাইক্লোন মার্সিয়া আর লাম দাঁড়িয়ে। যেখানে আজ এই মাঠের ঘাসের পিচ, বাউন্সার, ইয়র্কার নিয়ে মুখে মুখে কথা হবে সেখানে কি-না ম্যাচের আগে প্রাধান্য পাচ্ছে ওয়েদার বুলেটিন। ঢাকা থেকে আসা এক টেলিভিশন সাংবাদিকের বস তো বলেই দিয়েছেন_ ব্রিসবেন আবহাওয়া দপ্তরের কোনো কর্মকর্তার বাইট লাগবে! সমর্থক কিংবা মিডিয়া_ অনেকেই মনে করছেন ম্যাচটি না হলেই তো অসুবিধা নেই, বরং অস্ট্রেলিয়ার মতো এক নম্বর দলের সঙ্গে একটি পয়েন্ট ভাগাভাগি করে নেওয়া যাবে। তাতে অন্তত কোয়ার্টার ফাইনালের পাসওয়ার্ড মিলে যেতেও পারে। কিন্তু কেউ মাশরাফিদের ভেতরটা পড়তে পারছে না। তাদের কাছে এই ম্যাচটি খেলার মধ্যে এক ধরনের প্রাপ্তি লুকিয়ে আছে। এমনিতে বড় কোনো ভেন্যুতে খেলা দেওয়া হয়নি বাংলাদেশের। তার মধ্যে এই গ্যাবায় ছিল ঐতিহ্য ধরে রাখা বিশাল স্টেডিয়াম। অথচ সেখানেই গতকাল রাত পর্যন্ত টানা বৃষ্টি। 'একটা পয়েন্টের দিকে আসলে আমরা এখন তাকিয়ে নেই। এটা নেতিবাচক চিন্তা। আমরা নিজেদের তৈরি করেছি ম্যাচটি খেলার জন্য। অন্তত কার্টেল ওভারের ম্যাচ আমরা অবশ্যই চাই। কিন্তু প্রকৃতির ওপর তো কারও কোনো হাত নেই। তাই পয়েন্ট পেলে তো অসুবিধা নেই।'
আগের ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে নামার আগে যে ফেভারিটের চাপ ছিল সেটা অন্তত অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নেই। তাই সব চিন্তা-ভাবনা অসিদের দিকে ঠেলে দিয়ে মাশরাফি শোনালেন তার গোটা দল এখন উজ্জীবিত। 'এই ম্যাচের সবকিছু আমাদের অনুকূলে। কারণ আমাদের এখানে হারানোর কিছু নেই। আমরা যদি সর্বোচ্চ ভালো খেলতে পারি তাহলে সেটাই হবে আমাদের বড় পাওয়া। অস্ট্রেলিয়া দলে অনেক সুপার স্টার আছে, যারা দু-তিনজনই ম্যাচ বদলে দিতে পারে। তবে সেগুলো নিয়ে বেশি চিন্তা করে লাভ নেই। আমাদের নিজেদের সেরাটা খেলতে হবে।'
ক্যানবেরার মতো ব্রিসবেনেও অনেক বাংলাদেশির বসবাস। গতকাল তাদেরই অনেকে খোঁজ নিলেন ম্যাচটি বাতিল হয়ে যাচ্ছে কি-না। ঝড়ো বৃষ্টির কারণে এদিন ব্রিসবেনে অনেক ফ্লাইট বাতিল হয়েছে, অনেকেই আসতে পারছেন না গ্যাবায়। তার পরও আজ সকালের আবহাওয়া বুলেটিন শুনে অনেকে আসার পরিকল্পনা করেছেন। ' আমরা এখানে একটা উদ্দেশ্য নিয়ে এসেছি, সেটা বাস্তবায়নের জন্য কোচিং স্টাফ থেকে আমরা সবাই খুব কষ্ট করছি এবং এটাই আমাদের কাজ। কারণ দেশে আমাদের দিকে ১৬ কোটি মানুষ তাকিয়ে আছে, তারা আশা করে থাকে আমরা যেন ভালো করি। দেশ থেকে এখানে এসেও দেখেছি প্রবাসীরা আমাদের খুব সাপোর্ট দিচ্ছেন। ক্যানবেরার মতো ব্রিসবেনেও আশা করব গ্যালারিতে বাংলাদেশের সাপোর্টার থাকবে।'
মিডিয়ারুম থেকে ড্রেসিংরুমে ফিরতে ফিরতেও আরেকবার গ্যাবার গ্যালারি চোখ ফিরিয়েছিলেন। নাসির, সৌম্য, সানি আরও অনেকে বৃষ্টি মাথাতেও বেরিয়ে এসেছিলেন। একে তো প্রথম বিশ্বকাপ, তার ওপর আবার গ্যাবার মতো স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ। সব কিছুই কি বৃথা যাবে 'মার্সিয়া' আর 'লামে'র কারণে!সংগৃহীত
কিন্তু মাশরাফিদের এই মাঠে বোলিং করার মাঝে যে সাইক্লোন মার্সিয়া আর লাম দাঁড়িয়ে। যেখানে আজ এই মাঠের ঘাসের পিচ, বাউন্সার, ইয়র্কার নিয়ে মুখে মুখে কথা হবে সেখানে কি-না ম্যাচের আগে প্রাধান্য পাচ্ছে ওয়েদার বুলেটিন। ঢাকা থেকে আসা এক টেলিভিশন সাংবাদিকের বস তো বলেই দিয়েছেন_ ব্রিসবেন আবহাওয়া দপ্তরের কোনো কর্মকর্তার বাইট লাগবে! সমর্থক কিংবা মিডিয়া_ অনেকেই মনে করছেন ম্যাচটি না হলেই তো অসুবিধা নেই, বরং অস্ট্রেলিয়ার মতো এক নম্বর দলের সঙ্গে একটি পয়েন্ট ভাগাভাগি করে নেওয়া যাবে। তাতে অন্তত কোয়ার্টার ফাইনালের পাসওয়ার্ড মিলে যেতেও পারে। কিন্তু কেউ মাশরাফিদের ভেতরটা পড়তে পারছে না। তাদের কাছে এই ম্যাচটি খেলার মধ্যে এক ধরনের প্রাপ্তি লুকিয়ে আছে। এমনিতে বড় কোনো ভেন্যুতে খেলা দেওয়া হয়নি বাংলাদেশের। তার মধ্যে এই গ্যাবায় ছিল ঐতিহ্য ধরে রাখা বিশাল স্টেডিয়াম। অথচ সেখানেই গতকাল রাত পর্যন্ত টানা বৃষ্টি। 'একটা পয়েন্টের দিকে আসলে আমরা এখন তাকিয়ে নেই। এটা নেতিবাচক চিন্তা। আমরা নিজেদের তৈরি করেছি ম্যাচটি খেলার জন্য। অন্তত কার্টেল ওভারের ম্যাচ আমরা অবশ্যই চাই। কিন্তু প্রকৃতির ওপর তো কারও কোনো হাত নেই। তাই পয়েন্ট পেলে তো অসুবিধা নেই।'
আগের ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে নামার আগে যে ফেভারিটের চাপ ছিল সেটা অন্তত অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নেই। তাই সব চিন্তা-ভাবনা অসিদের দিকে ঠেলে দিয়ে মাশরাফি শোনালেন তার গোটা দল এখন উজ্জীবিত। 'এই ম্যাচের সবকিছু আমাদের অনুকূলে। কারণ আমাদের এখানে হারানোর কিছু নেই। আমরা যদি সর্বোচ্চ ভালো খেলতে পারি তাহলে সেটাই হবে আমাদের বড় পাওয়া। অস্ট্রেলিয়া দলে অনেক সুপার স্টার আছে, যারা দু-তিনজনই ম্যাচ বদলে দিতে পারে। তবে সেগুলো নিয়ে বেশি চিন্তা করে লাভ নেই। আমাদের নিজেদের সেরাটা খেলতে হবে।'
ক্যানবেরার মতো ব্রিসবেনেও অনেক বাংলাদেশির বসবাস। গতকাল তাদেরই অনেকে খোঁজ নিলেন ম্যাচটি বাতিল হয়ে যাচ্ছে কি-না। ঝড়ো বৃষ্টির কারণে এদিন ব্রিসবেনে অনেক ফ্লাইট বাতিল হয়েছে, অনেকেই আসতে পারছেন না গ্যাবায়। তার পরও আজ সকালের আবহাওয়া বুলেটিন শুনে অনেকে আসার পরিকল্পনা করেছেন। ' আমরা এখানে একটা উদ্দেশ্য নিয়ে এসেছি, সেটা বাস্তবায়নের জন্য কোচিং স্টাফ থেকে আমরা সবাই খুব কষ্ট করছি এবং এটাই আমাদের কাজ। কারণ দেশে আমাদের দিকে ১৬ কোটি মানুষ তাকিয়ে আছে, তারা আশা করে থাকে আমরা যেন ভালো করি। দেশ থেকে এখানে এসেও দেখেছি প্রবাসীরা আমাদের খুব সাপোর্ট দিচ্ছেন। ক্যানবেরার মতো ব্রিসবেনেও আশা করব গ্যালারিতে বাংলাদেশের সাপোর্টার থাকবে।'
মিডিয়ারুম থেকে ড্রেসিংরুমে ফিরতে ফিরতেও আরেকবার গ্যাবার গ্যালারি চোখ ফিরিয়েছিলেন। নাসির, সৌম্য, সানি আরও অনেকে বৃষ্টি মাথাতেও বেরিয়ে এসেছিলেন। একে তো প্রথম বিশ্বকাপ, তার ওপর আবার গ্যাবার মতো স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ। সব কিছুই কি বৃথা যাবে 'মার্সিয়া' আর 'লামে'র কারণে!সংগৃহীত
9:08 AM
Share: