একদিনের ক্রিকেটে দ্রুততম ডাবল সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছেন ক্রিস গেইল। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৩৮ বলে ডাবল সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন গেইল। ১৪৭ বলে ২১৫ রান করে তিনি আউট হয়েছেন। একদিনের ক্রিকেটে আগের দ্রুততম ডাবল সেঞ্চুরির রেকর্ড ছিল বিরেন্দর সিং শেবাগের দখলে। তিনি ১৪০ বলে ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন। গতকালের ম্যাচে তিনটি রেকর্ড হয়েছে এবং সেই তিনটি রেকর্ডের মালিক একজনই। ক্রিস গেইল। ডবল সেঞ্চুরি করে বিশ্বের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে বিশ্বকাপে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। গেইল তার ডাবল সেঞ্চুরির মাধ্যমে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলা দক্ষিণ আফ্রিকার গ্যারি কারস্টেনের ১৮৮ রানের রেকর্ডও ভাঙলেন। ওভার বাউন্ডারিতেও ছুঁয়ে ফেলেছেন রোহিত শর্মা ও ডি ভিলিয়ার্সকে। এতদিন ওয়ানডে ক্রিকেটে ১৬টি ওভার বাউন্ডারি মারার রেকর্ড ছিল রোহিত ও ডি ভিলিয়ার্সের দখলে। গতকাল সে তালিকায় ১৬টি ছক্কা মেরে ঢুকে পড়লেন গেইলও। ক্যানবেরায় জুটিরও বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন গেইল ও মারলন স্যামুয়েলস। দ্বিতীয় উইকেটে তারা ৩৭২ রান তোলেন। ম্যাচ শেষে গেইল বলেছেন, 'প্রচুর চাপ ছিল। রান পাচ্ছিলাম না। ক্যারিয়ারে এই প্রথমবার দেখলাম আমার কাছে অনেক লোক রান চাইছে। টুইটারে প্রচুর মেসেজ আসছিল। এই প্রথমবার আমি দেখলাম, অনেক মানুষ চাইছে আমি পারফর্ম করি। আমি তাদের খুশি করতে পেরে আনন্দিত।'
অনেকদিন ধরেই ব্যাটে রান পাচ্ছিলেন না ক্রিস গেইল। ২০১৩ সালের জুনে শ্রীলংকার বিপক্ষে শেষ ওয়ানডে সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। এরপর খেলা ১৯ ম্যাচে ১৪.৪২ গড়ে মাত্র ২৭৪ রান করেন গেইল। এ সময় মাত্র একটা হাফ সেঞ্চুরি করতে পেরেছেন তিনি। ২০১৩ সালের নভেম্বর থেকে হ্যামস্ট্রিং এবং পিঠের ইনজুরিতে ভুগছিলেন গেইল। সেটা কটিয়ে মাঠে ফিরলেও ছন্দ খুঁজে পাচ্ছিলেন না। অবশেষে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ব্যাটিং ছন্দ ফিরে পেয়েছেন গেইল। রান না পাওয়ার সময়টা সম্পর্কে তিনি বলেন, 'চার ফিল্ডারের আইন আসার পর আমি সম্ভবত একটা মাত্র হাফ সেঞ্চুরি করেছি। যদিও ওই নিয়মে ব্যাটসম্যানদের জন্য রান করাটা সহজ। যেমনটা আমি বলেছিলাম, যদি সেঞ্চুরি করতে পারি তাহলে আরও বড় স্কোর গড়ার চেষ্টা করব। একদিনের ক্রিকেটে আমার প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করতে পেরে আমি খুশি। রোহিত শর্মা দুটি ডাবল সেঞ্চুরি করার পর থেকে টুইট করে আমার ফ্যানরা ডাবল সেঞ্চুরি করার কথা বলছিল। প্রত্যেকেই আমার কাছে এটা চাইছিল। আজ সেটা করতে পেরে আমি খুশি।' আগের ইনজুরি প্রসঙ্গে গেইলের মন্তব্য_ 'প্রচুর লোক মাঠে আপনার খেলা দেখতে আসে। তারা দেখে না, আপনি কী অবস্থায় আছেন। আমি ইনজুরি এবং নানা সমস্যার সঙ্গে লড়াই করছিলাম। আমি যথেষ্ট প্রস্তুতি নেওয়ার পরও একটা জায়গায় আটকে যাচ্ছিলাম।'
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে গতকাল মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলে আউট হতে পারতেন গেইল। তিনাশে পানিয়াঙ্গারার বলে এলবিডবি্লউর আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। জিম্বাবুয়ে রিভিউ চাইলেও আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই বলবৎ থাকে। এ সম্পর্কে গেইল পরে বলেছেন, 'ইনিংসের শুরুতে আমি কিছুটা নড়বড়ে ছিলাম। প্রথম দিকে বল একটু উঠছিল। এলবিডবি্লউর আবেদন ওঠার পর নিজেকে বলছিলাম, কাম অন, সিরিয়াস হচ্ছো না কেন ... প্রথম বলে তুমি আউট হতে পারো না। একটা সুযোগ দরকার ছিল। সেটা ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছি।' কেবল ডাবল সেঞ্চুরি নয়, ৬ ওভার বল করে ৩৫ রানের বিনিময়ে দুটি উইকেটও নেন গেইল। গতকাল উইকেট পাওয়ার পর তার উদযাপনটাও ছিল দেখার মতো। ক্যাচ ধরে যেভাবে গড়াগড়ি খাচ্ছিলেন, তাতেই বোঝা গেছে চাপমুক্ত গেইল কেমন।সংগৃহীত।
অনেকদিন ধরেই ব্যাটে রান পাচ্ছিলেন না ক্রিস গেইল। ২০১৩ সালের জুনে শ্রীলংকার বিপক্ষে শেষ ওয়ানডে সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। এরপর খেলা ১৯ ম্যাচে ১৪.৪২ গড়ে মাত্র ২৭৪ রান করেন গেইল। এ সময় মাত্র একটা হাফ সেঞ্চুরি করতে পেরেছেন তিনি। ২০১৩ সালের নভেম্বর থেকে হ্যামস্ট্রিং এবং পিঠের ইনজুরিতে ভুগছিলেন গেইল। সেটা কটিয়ে মাঠে ফিরলেও ছন্দ খুঁজে পাচ্ছিলেন না। অবশেষে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ব্যাটিং ছন্দ ফিরে পেয়েছেন গেইল। রান না পাওয়ার সময়টা সম্পর্কে তিনি বলেন, 'চার ফিল্ডারের আইন আসার পর আমি সম্ভবত একটা মাত্র হাফ সেঞ্চুরি করেছি। যদিও ওই নিয়মে ব্যাটসম্যানদের জন্য রান করাটা সহজ। যেমনটা আমি বলেছিলাম, যদি সেঞ্চুরি করতে পারি তাহলে আরও বড় স্কোর গড়ার চেষ্টা করব। একদিনের ক্রিকেটে আমার প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করতে পেরে আমি খুশি। রোহিত শর্মা দুটি ডাবল সেঞ্চুরি করার পর থেকে টুইট করে আমার ফ্যানরা ডাবল সেঞ্চুরি করার কথা বলছিল। প্রত্যেকেই আমার কাছে এটা চাইছিল। আজ সেটা করতে পেরে আমি খুশি।' আগের ইনজুরি প্রসঙ্গে গেইলের মন্তব্য_ 'প্রচুর লোক মাঠে আপনার খেলা দেখতে আসে। তারা দেখে না, আপনি কী অবস্থায় আছেন। আমি ইনজুরি এবং নানা সমস্যার সঙ্গে লড়াই করছিলাম। আমি যথেষ্ট প্রস্তুতি নেওয়ার পরও একটা জায়গায় আটকে যাচ্ছিলাম।'
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে গতকাল মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলে আউট হতে পারতেন গেইল। তিনাশে পানিয়াঙ্গারার বলে এলবিডবি্লউর আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। জিম্বাবুয়ে রিভিউ চাইলেও আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই বলবৎ থাকে। এ সম্পর্কে গেইল পরে বলেছেন, 'ইনিংসের শুরুতে আমি কিছুটা নড়বড়ে ছিলাম। প্রথম দিকে বল একটু উঠছিল। এলবিডবি্লউর আবেদন ওঠার পর নিজেকে বলছিলাম, কাম অন, সিরিয়াস হচ্ছো না কেন ... প্রথম বলে তুমি আউট হতে পারো না। একটা সুযোগ দরকার ছিল। সেটা ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছি।' কেবল ডাবল সেঞ্চুরি নয়, ৬ ওভার বল করে ৩৫ রানের বিনিময়ে দুটি উইকেটও নেন গেইল। গতকাল উইকেট পাওয়ার পর তার উদযাপনটাও ছিল দেখার মতো। ক্যাচ ধরে যেভাবে গড়াগড়ি খাচ্ছিলেন, তাতেই বোঝা গেছে চাপমুক্ত গেইল কেমন।সংগৃহীত।
8:45 AM
Share: