বাংলাদেশের স্পিনাদের মধ্যে আবদুর রাজ্জাক ব্যতিক্রম। অবৈধে বোলিং অ্যাকশনের জন্য নিষিদ্ধ হওয়া, ইনজুরিতে পড়া ছিল তার ক্যারিয়ারের অংশ। তবে এসবকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে বীরদর্পে ফিরে এসেছেন রাজ্জাক। ঘূর্ণি জাদুতে কুপোকাত করেছেন প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের। বাংলাদেশের নতুন নতুন স্পিনারদের উত্থানের দিনে, রাজ্জাকের স্বপ্ন ৩য় বারের মত বিশ্বকাপ খেলা। সেই সঙ্গে চাইছেন বিশ্বকাপের এবারের সিমিং কন্ডিশনে স্পিন দিয়েই বাজিমাত করতে।
এ উপমহাদেশের পিচকে বলা হয় স্পিন-স্বর্গ। তাই স্পিনার জন্মের দিক দিয়েও বাংলাদেশ বেশ সিদ্ধহস্ত। এতেই ২০০৪ সালে টাইগারদের হয়ে ওয়ানডে অভিষেক হয় স্পিনার আবদুর রাজ্জাকের।
অভিষেক ম্যাচেই ১৭ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। এরপরের ম্যাচেই বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ হন রাজ্জাক। তবে দমে যান নি । ফিরে এসে ধীরে ধীরে ভয়ঙ্কর হয়েছে রাজ্জাকের বাঁ হাত। এখন পর্যন্ত ১৫৩ ওয়ানডেতে টাইগারদের হয়ে নিয়েছেন ২০৭ উইকেট। ১২ টেস্টে ২৩ উইকেট। যেখানে আবার ৪ বার নিয়েছিলেন ৫ উইকেট।
তবে, রাজ্জাক আর সংগ্রাম। এক সুতোয় গাথা। ২০০৮ সালে আবারো অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের জন্য নিষিদ্ধ হন। অ্যাকশন শুধরে ফিরেও আসেন টাইগারদের অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার। এখন স্বপ্ন দেখছেন টাইগারদের হয়ে ৩য় বারের মত বিশ্বকাপের মঞ্চ কাঁপানোর।
রাজ্জাক বলেন, 'বিশ্বকাঁপে ভালো করা মানে একজন খেলোয়াড়ের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ পর্যায়ে ভালো করা, আর সেখানেই একজন ক্রিকেটারের মান নির্ধারণ করা হয়, আমিও সুযোগ পেলে নিজেকে মেলে ধরতে চাই।'
সম্প্রতি ইনজুরির জন্য পুরনো ফর্মে নেই রাজ্জাক। তবে ঢাকা লিগে ঘুরেছে রাজের বল। সেই সঙ্গে এখন নতুন স্পিনাররা বেশ চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছেন। তাই চূড়ান্ত দলে জায়গা পেতে লড়াই করতে হচ্ছে তাকে। যদি সুযোগ পান তাহলে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড কন্ডিশনে কীভাবে সামলাবেন প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের।
এ ব্যাপারে রাজ্জাক বলেন, 'কন্ডিশন সবসময় গুরুত্বপূর্ণ, তবে আমার মনে হয় বিশ্বকাপের মতো একটি আসরে স্পোর্টিং-উইকেটই বানানো হবে। সব সময়ই আমি ভালো খেলতে চেষ্টা করি, এখানেও তাই করবো।'
সেই সঙ্গে রাজ্জাকের আশা বিশ্বকাপে ভালো খেলবে বাংলাদেশ।ওয়েবসাইট।
7:31 PM
Share: