আসন্ন অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপের কন্ডিশন আর উইকেটের বিচারে বাংলাদেশের পেসাররা সুবিধা পেলেও, ব্যাটসম্যানদের জন্য হবে চ্যালেঞ্জিং। এমনটাই মন্তব্য করেছেন বিসিবি'র ক্রিকেট অপারেশন্সের চেয়ারম্যান আকরাম খান। তবে, অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশনের ব্যাপারটি মাথায় রেখেই দু'সপ্তাহ আগে সেখানে পাড়ি জমাবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। কারণ, পূর্ব নির্ধারিত দুটি প্রস্তুতি ম্যাচের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ার স্থানীয় দলগুলোর সাথে আরো দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে টাইগাররা।
দুই মাসও বাকি নেই ক্রিকেট বিশ্বকাপের। তাই, অংশ নেয়া সব দেশ পুরো দমে প্রস্তুতি নিচ্ছে ক্রিকেটের বিশ্বমঞ্চ জয় করার জন্য। তবে, এবারের মঞ্চটা অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড হওয়ায় কিনা প্রতিপক্ষের আগে, কন্ডিশনটা একটু বেশি ভাবিয়ে তুলছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে। কারণ, উপমহাদেশের কন্ডিশনের সাথে সেখানকার পার্থক্য আকাশ-পাতালে। তাই কিনা বিসিবি আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্বকাপের অন্তত ১৫ দিন আগে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে পা রাখবে বাংলাদেশ দল। এরই মধ্যে কন্ডিশনের কথা মাথায় রেখে বাড়তি দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে চিঠি দিয়েছে বিসিবি।
বিসিবি পরিচালক আকরাম খান বলেন, 'সেখানে অন্যরকম একটা পরিবেশ থাকবে, উইকেট থাকবে। তাই আমরা সেখানে কমপক্ষে ১৫ দিন আগে যাবো এবং দুইটা অতিরিক্ত প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবো।'
মেলবোর্ন, ব্রিসবেন অ্যাডিলেড এছাড়াও, নিউজিল্যান্ডের নেনসেল ও হ্যামিল্টনের সিমিং উইকেটে বাউন্সের সাথে দারুণ সখ্যতা থাকা পিচগুলোতেই বাংলাদেশের ম্যাচ। যেখানে অন্যদেশের মতো টাইগাররা পেসাররা ফায়দা পেলেও, বেকায়দায় থাকবেন ব্যাটসম্যানরা।
আকরাম খান বলেন, 'ওখানকার উইকেট বাংলাদেশ থেকে একেবারেই আলাদা হবে। বোলাররা সুবিধা পেলেও বেকায়দায় থাকবেন ব্যাটসম্যানরা।'
তাই বিশ্বকাপে টাইগার দলে পাঁচ জন পেসার রাখার ইচ্ছে নির্বাচকদের। কিন্তু, ভাবনায় আছে দেশ সেরা পেসারদের ফিটনেস।
বিসিবি ক্রিকেট অপারেশন্সের চেয়ারম্যান আকরাম খান বলেন, 'বাংলাদেশের ভালো প্রায় সব পেসাররাই ইনজুরি সমস্যায় ভুগছে। তাই আমরা দল গোছাতে একটু সময় নিচ্ছি। আমাদের প্রধান চিন্তা এখন খেলোয়াড়দের ফিটনেস।'
২০০৮ সালের পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার পর দেশটিতে আর কোনো খেলায় অংশ নেয়নি বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।ওয়েবসাইট।
8:54 AM
Share: