এলেন দেখলেন আর জয় করলেন। বিষয়টা যেন এমনই তাইজুল ইসলামের কাছে। ওয়ানডে ক্রিকেটে বিশ্ব রের্কড গড়ে অভিষেকেই হ্যাটট্রিকের বিরল ঘটনা এখন তার। এখানেই শেষ না, দারুন এক বোলিং স্পেলের পর হয়েছেন ম্যাচ সেরাও। ম্যাচটি তাই এক রকম হয়ে উঠেছিলো তাইজুল ময়।
বাংলাদেশের রঙ্গিন পোষাকে ১১৬ নম্বর আর বিশ্বে দুই হাজার দুই'শ ৭ নম্বর ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেক তাইজুল ইসলামের। কিন্তু, এই সংখ্যাগুলো ছাপিয়ে তাইজুল হলেন এক নম্বর। ক্রিকেট বিশ্বে প্রথম বোলার হিসেবে, অভিষেক ম্যাচেই যে রঙ্গিন পোষাকের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ইতিহাস রচনা করলেন তাইজুল। অভিষেক ম্যাচেই হ্যাটট্রিক করে ক্রিকেট বিশ্বে নিজেকে চেনালেন নতুনভাবে!
এমন গৌরবময় ইতিহাস রচনার শুরুটাতে অবশ্য প্রথম উইকেটের জন্য তাইজুলকে অপেক্ষা করতে হয় ৪র্থ ওভার পর্যন্ত। সোলেমান মিরের উইকেট তুলে নিয়ে প্রথম ওয়ানডেতে প্রথম শিকারের দেখা পান ২২ বছর বয়সী এই স্পিনার।
এরপর নিজের পঞ্চম ওভারের শেষ বলে পানিয়াঙ্গারাকে বোল্ড করে, ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসে নতুন রের্কডের ইঙ্গিতটা দেন নাটোরের এই ক্রিকেটার। আর তা সম্পন্ন করতেই, পরের ওভারে টানা দুই বলে নিয়াম্বু ও চাতারাকে বোকা বানিয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটের প্রায় ৪৩ বছরের ইতিহাসে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেকেই হ্যাট্রিক করার গৌরব অর্জন করলেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের অমিত সম্ভাবনাময় এই স্পিনার।
৭ ওভার বল ঘুড়িয়ে মাত্র ১১ রানের বিনিময় ৪ উইকেট সাথে দুই মেডেন। যে কোন বোলারের জন্যই যা ঈর্ষনীয় এক বোলিং ফিগার।
দারুণ বোলিং আর ইতিহাস রচনার দিনে দলের জয়ের নায়ক বনে যাওয়া। উপরি হিসেবে অভিষেক ম্যাচেই প্রতিপক্ষকে হারিয়ে হোয়াইট ওয়াশ করার স্বাদ। ওয়ানডে ক্রিকেটে এর চেয়ে স্বপ্নীল শুরু আর কি হতে পারে একজন ক্রিকেটারের জন্য?ওয়েবসাইট।
8:33 AM
Share: