জাপান যুব দলের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচের সময় ঘনিয়ে আসলেও এখনও প্রস্তুত হয়নি বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম। সংস্কারের নামে মাঠের যে কর্মকাণ্ড চলছে তাও চলছে কচ্ছপ গতিতে। তাই নির্ধারিত সময়ের আগে মাঠটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার উপযোগী হয়ে উঠবে কি'না তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে বাফুফের গ্রাউন্ডস এন্ড ফ্যাসিলিটিস কমিটি। এদিকে কাজ দেরিতে শুরু হওয়ার জন্য নিজেদের অব্যবস্থাপনার কথা স্বীকার করেছেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক।
শুষ্ক মাঠ। এর কোথাও উঁচু আবার কোথাও নিচু। খেলা চলাকালীন ফুটবলাররা যে ডগ আউটে বসে ম্যাচ উপভোগ করবে তার অবস্থাও সঙ্গিন। এটিই এখন বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের বর্তমান চিত্র। সে চিত্র দেখে অনেকেরই চোখ কপালে উঠতে পারে এই ভেবে যে, আর মাত্র কদিন পরেই এখানে জাপানের বিপক্ষে একটি আন্তর্জাতিক ফুটবল ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ!
মাঠ আর্দ্র রাখতে পানি দেয়ার কথা থাকলেও সিনিয়র ডিভিশন লিগ চলায় সেটিও সম্ভব করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। তার উপর এ মাঠে সকাল বিকাল দু'বেলা অনুশীলন করছে জাতীয় ফুটবল দল। শেষ পর্যন্ত লিগ ও অনুশীলন অন্যত্র সরিয়ে নিলেও বাকি সময়ের মধ্যে মাঠ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার উপযোগী হবে কি'না তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে গ্রাউন্ডস কমিটি।
বাফুফে'র গ্রাউন্ডস এন্ড ফ্যাসিলিটিস কমিটির চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান বাবুল বলেন, 'মাঠের অবস্থা খুবই খারাপ। আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনের জন্য নূন্যতম এক সপ্তাহ সময়ের প্রয়োজন ছিল। শেষ পর্যন্ত মাঠটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনের উপযুক্ত হবে কিনা এই নিয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে মাঠটি উপযুক্ত করতে সাধ্যমতো চেষ্টা করা হবে।'
এদিকে, শেষ মূহুর্তে এসে তড়িঘড়ি করে কাজ শেষ করার জন্য বাফুফের অব্যবস্থাপনার কথা স্বীকার করেছেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ। তবে নির্ধারিত সময়ের আগেই সকল কাজ সম্পন্ন হওয়ার আশা প্রকাশ করেন তিনি।
তবে স্টেডিয়ামের ফ্লাড লাইট সহ বাকী সমস্যাগুলো ইতোমধ্যেই সমাধান করা হয়েছে বলে জানান সাধারণ সম্পাদক।ওয়েবসাইট।
8:46 AM
Share: