খুলনা টেস্টের দ্বিতীয় দিনশেষে স্বাগতিকদের চেয়ে ৩৮০ রানে পিছিয়ে জিম্বাবুয়ে। এর আগে তামিম ও সাকিবের জোড়া সেঞ্চুরিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৪৩৩ রানে থামে টাইগাররা। দ্বিতীয় দিনে সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে ৩১৩ বলে ১০৯ রান করেছেন তামিম। আর ১৮০ বলে সাকিব করেন ১৩৭ রান। জবাবে, ১ উইকেটে ৫৩ রানে দিনশেষ করে সফররত জিম্বাবুয়ে।
খুলনা টেস্টের দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশের জন্য যে ভাল কিছু অপেক্ষা করছে তার আভাসটা আগে থেকেই ছিল। দুই অভিজ্ঞ সাকিব-তামিম ছিলেন পিচে। দিনের শুরু থেকে তামিম আগের মতো সাবধানী হয়ে খেললেও সাকিব ছিলেন চড়াও। তাইতো তামিমের সেঞ্চুরির আগে মাত্র ৭১ বলে নিজের হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন সাকিব।
তবে খুলনার দর্শকদের অপেক্ষাটা বেশি দীর্ঘায়িত করেননি তামিম। স্নায়ু চাপকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে মুশাংওয়ের বল বাউন্ডারি পার করে ১৬ টেস্ট পর উদযাপন করেন ক্যারিয়ারের ৫ম সেঞ্চুরি। যা করতে দেশের টেস্ট ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৩১২ বল খেলেন এই ওপেনার।
তবে সেঞ্চুরিটাকে বড় করতে পারেননি চট্টগ্রামের ছেলে তামিম। ৩৩২ বলে ১০৯ রান করে মাসাকাদজার বলে সাজঘরে ফেরেন তিনি। আর ১৩২ রান যোগ করে বিচ্ছিন্ন হয় সাকিব-তামিম জুটি।
খুলনায় এর আগে খেলা একমাত্র টেস্টে ৯৭ রানে আউট হয়েছিলেন সাকিব। তাই লাঞ্চ বিরতির পর হয়তো খানিকটা স্নায়ু চাপে ভুগছিলেন এই অলরাউন্ডার। তবে সতীর্থকে চাপমুক্ত করতে উল্টো নিজে রান আউটের ফাঁদে পড়ে ব্যক্তিগত ১১ রানে আউট হন অধিনায়ক মুশফিক। তবে সাকিব আর ভুল করেননি। ১৯ ইনিংস এবং প্রায় ৩ বছর পর ১৫৩ বলে পান ক্যারিয়ারের ৩য় সেঞ্চুরি। কিন্তু দারুণভাবে এগিয়ে যেতে থাকা সাকিবকে থামান ওয়ালার। ব্যক্তিগত ১৩৭ রানে ফিরতে হয় সাকিবকে।
এরপর শুভাগত ব্যক্তিগত ১৫ রানে আউট হলে সংশয় দেখা দেয় বাংলাদেশের স্কোর ৪শ' পেরোয় কিনা। কিন্তু পড়ন্ত বিকেলে হঠাৎই ব্যাটসম্যান হয়ে ওঠেন তাইজুল। তার ৩২ রানেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয়বারের মতো ৪শ' রান করে বাংলাদেশ। আর শাহাদাত ১৮ ও জুবায়ের ১ রানে আউট হলে প্রথম ইনিংসে ৪৩৩ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ।জবাবে ভাল শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছিল জিম্বাবুয়ে কিন্তু দলীয় ১৭ ও ব্যক্তিগত ১১ রানে সিকান্দর রাজাকে আউট করেন ঢাকা টেস্টে জয়ের নায়ক তাইজুল। তবে দিনের বাকি সময়টুকু আর কোন উইকেট হারায়নি জিম্বাবুয়ে।ওয়েবসাইট।
8:26 AM
Share: