নিষেধাজ্ঞায় পড়া সাকিব আল হাসানকে বাইরে রেখে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের দল ঘোষণা করতে হচ্ছে নির্বাচকদের। পরিস্থিতির মুখে সাকিবের বিকল্প ঠিক করে ফেলেছে নির্বাচকরা। শুধু সাকিবই নয়, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের দল ঘোষণায় টানা অফ ফর্মের বৃত্তে থাকা বাঁ হাতি ওপেনিং ব্যাটসম্যান তামীমের বিকল্প ও মাথায় রাখতে হচ্ছে নির্বাচকদের। আজ আনুষ্ঠানিক দল ঘোষণার আগে গতকাল এ আভাসই দিয়েছেন প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ- ‘এর আগে সাকিবকে ছাড়া খেলেছি। তবে সাকিবের বিকল্প চিন্তা করতে গিয়ে একটা খেলোয়াড় বেশি নিতে হচ্ছে আমাদের। সাকিব বোলিং ব্যাটিং দুটোই করতে পারে। বাঁ-হাতি স্পিনার আমাদের আছে, ব্যাটিং করতে পারে, এমন ব্যাটসম্যান আছে। আশা করি সাকিবের অভাবটা পূরণ করতে পারবো। তবে তার পরিবর্তে অতিরিক্ত বোলার বা ব্যাটসম্যান খেলাতে হবে। আর তামিম আমাদের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়। বিশ্বকাপের আগে যতটা সম্ভব যারা দলের মূল খেলোয়াড় তাদেরকে তাড়াতাড়ি ছন্দে ফিরে আনা দরকার। তামীম প্র্যাকটিসে কঠিন পরিশ্রম করছে। কোচের অধীনে স্কিল ট্রেনিং করছে। কখন ফর্মে ফিরে আসবে সেটা বোঝা যাচ্ছে না। তার জন্যও অবশ্য আমাদের বিকল্প খেলোয়াড় আছে।’
গত মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ‘এ’ দলের পারফমারদের গুরুত্ব দিতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি- ‘আমরা পাঁচ ছয়জন খেলোয়াড়কে এ দলে পাঠিয়েছিলাম কন্ডিশনে অভ্যস্থ হওয়ার জন্য- মমিনুল, নাসির, ইমরুল, শুভ চমৎকার খেলেছে।’ অর্থাৎ সর্বশেষ ভারতের বিপক্ষে সর্বশেষ ওয়ানডে সিরিজে ইমরুল কায়েসকে রাখা না হলেও তামীমের বিকল্প হিসেবে যে ইমরুল কায়েসকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে প্রস্তুত রাখা হয়েছে, সে আভাসই দিয়েছেন তিনি।
ইনজুরি থেকে ফিরে এসে ছোট ছোট স্পেলে বল করছেন মাশরাফি এবং তার ক্লোন তাসকিন। সে কারণেই এই দুই বোলারের কাউকে টেস্টের জন্য আপাতত: বিবেচনায় আনা হচ্ছে না, তা স্পষ্ট করেছেন ফারুক আহমেদ।
দলে খুব বেশি পরিবর্তনের পক্ষে নন প্রধান নির্বাচক। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের দল ঘোষণায়ও সে দর্শন তার। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ‘এ’ দলের ব্যানারে বোলিং ধারাবাহিকতায় পেস বোলার রবিউল টেস্ট দলে অটোমেটিক চয়েস, সেটাই জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচক- ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের শক্তি কোথায়, দুর্বলতা কি, এসব বিবেচনায় এনে দল নির্বাচন করতে হচ্ছে। আমার মনে হয় রবিউল টেস্ট খেলার পর একটা টেস্ট হয়েছে। আবার সে দুটো চারদিনের ম্যাচ খেলেছে, ওয়ানডে খেলেছে। রবিউলের যথেষ্ট ম্যাচ প্র্যাকটিস হয়েছে এবং সে ভাল করেছে ওখানে। তাকে আমরা ওয়ানডেতে এখনও অন্তর্ভুক্ত করিনি। ধরেই নিয়েছে সে টেস্ট বোলার।’
দল নির্বাচন চূড়ান্ত করার আগে কোচ, অধিনায়কের পরামর্শ নিয়েছেন প্রধান নির্বাচক, সেটাও জানিয়েছেন তিনি- ‘আজ ( গতকাল) আমরা ক্যাপ্টেন কোচকে ডেকেছিলাম তাদের পরামর্শ নিতে। তাদের মতামতের পর আজকে প্রাথমিক একটা তালিকা করেছি। যেমন আমরা কি কন্ডিশনে খেলতে যাচ্ছি, তারা কাদেরকে অগ্রাধিকার দিতে চায়, তা জেনে নিয়েছি। কারণ তারাই কাছ থেকে দলটিকে দেখে। আর ক্যাপ্টেন টিম চালায় মাঠে।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজের উইকেটের কন্ডিশন আর আগের মতো নয়, কোথাও হয়তবা বাউন্স পাচ্ছে, আর কোথাও বা স্পিনিং ট্র্যাক। ভারসাম্যপূর্ণ দল নির্বাচন তাই বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের ফেলেছে বলে মনে করছেন ফারুক- ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের কন্ডিশন পরিবর্তন হয়েছেন। আগে প্রচুর বাউন্স থাকতো। এখন ঐতিহ্য বদলেছে। পুরোপুরি স্পিনিং ট্র্র্যাক তারা বানায় না। যেমন বার্বাডোজের কেনসিংটনের উইকেটে বেশ বাউন্স আছে কিন্তু অতটা মুভমেন্ট নাই। কিছুটা মিশ্রণ হয়ে গেছে উইকেটগুলো। আগে আমরা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আমরা চিন্তা করতাম চারটা পাঁচটা ফাস্ট বোলার দরকার। সেটা কিন্তু এখন নাই। তবে ওদের হোমে স্ট্রং পয়েন্ট এবং আমাদের দুর্বল পয়েন্ট চিন্তা করে উইকেট প্রস্তুত করবে, এটাই স্বাভাবিক। ওয়েস্ট ইন্ডিজে আমাদের ‘এ’ দল গিয়েছিল। প্রথম ম্যাচের উইকেটটা ভালো ছিল না। দ্বিতীয় ম্যাচে ভালো ছিল। সব মিলিয়ে বেশ চ্যালেঞ্জিং হবে আর কি, দল গড়া এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ ট্যুরটা।’
২০১৫ বিশ্বকাপ আর মাত্র ৬ মাস পর, ২০১৯ বিশ্বকাপে বাছাইপর্ব এড়াতে র্যাংকিংয়ে উন্নতি ছাড়া বিকল্প কিছুই নেই। সে কারনেই দ্বিপাক্ষিক সিরিজগুলোতে ভাল পারফরমেন্স প্রত্যাশা করছেন ফারুক- ‘সর্বশেষ সিরিজগুলোতে বিচ্ছিন্ন কিছু ইনিংস ছাড়া ব্যাটিং আমরা ভালো করিনি। ভারতের সিরিজে লো স্কোরিং ম্যাচে জিততে পারিনি। সামনে অস্ট্রেলিয়াতে বিশ্বকাপ আছে, তার আগে দ্বিপাক্ষিক সিরিজগুলোও গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে এই ম্যাচগুলো গণ্য করছি। নতুন কোচ হাথুরুসিংহের অধীনে ওয়েস্ট ইন্ডিজে আমরা যেরকম উইকেট পাব বলে প্রত্যাশা করছি, সে রকমের উইকেটে ক্রিকেটাররা অনুশীলন করেছে। বোলিং মেশিনে শর্ট পিচ ডেলিভারি দেয়ার চেষ্টা করছে। স্কিল ট্রেনিং করছে প্রচুর। আশা করছি যে ঘাটতিগুলো ছিল গত দুই-তিন সিরিজে, তা থেকে উতরে যেতে পারব।’
ঈদ এর আগে আজই শেষ হয়ে যাচ্ছে অনুশীলন, তাই ছুটি কাটানোর আগেই ২৪ জনের দল আজ নেমে আসবে ১৫তে।ওয়েবসাইট।
গত মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ‘এ’ দলের পারফমারদের গুরুত্ব দিতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি- ‘আমরা পাঁচ ছয়জন খেলোয়াড়কে এ দলে পাঠিয়েছিলাম কন্ডিশনে অভ্যস্থ হওয়ার জন্য- মমিনুল, নাসির, ইমরুল, শুভ চমৎকার খেলেছে।’ অর্থাৎ সর্বশেষ ভারতের বিপক্ষে সর্বশেষ ওয়ানডে সিরিজে ইমরুল কায়েসকে রাখা না হলেও তামীমের বিকল্প হিসেবে যে ইমরুল কায়েসকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে প্রস্তুত রাখা হয়েছে, সে আভাসই দিয়েছেন তিনি।
ইনজুরি থেকে ফিরে এসে ছোট ছোট স্পেলে বল করছেন মাশরাফি এবং তার ক্লোন তাসকিন। সে কারণেই এই দুই বোলারের কাউকে টেস্টের জন্য আপাতত: বিবেচনায় আনা হচ্ছে না, তা স্পষ্ট করেছেন ফারুক আহমেদ।
দলে খুব বেশি পরিবর্তনের পক্ষে নন প্রধান নির্বাচক। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের দল ঘোষণায়ও সে দর্শন তার। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ‘এ’ দলের ব্যানারে বোলিং ধারাবাহিকতায় পেস বোলার রবিউল টেস্ট দলে অটোমেটিক চয়েস, সেটাই জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচক- ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের শক্তি কোথায়, দুর্বলতা কি, এসব বিবেচনায় এনে দল নির্বাচন করতে হচ্ছে। আমার মনে হয় রবিউল টেস্ট খেলার পর একটা টেস্ট হয়েছে। আবার সে দুটো চারদিনের ম্যাচ খেলেছে, ওয়ানডে খেলেছে। রবিউলের যথেষ্ট ম্যাচ প্র্যাকটিস হয়েছে এবং সে ভাল করেছে ওখানে। তাকে আমরা ওয়ানডেতে এখনও অন্তর্ভুক্ত করিনি। ধরেই নিয়েছে সে টেস্ট বোলার।’
দল নির্বাচন চূড়ান্ত করার আগে কোচ, অধিনায়কের পরামর্শ নিয়েছেন প্রধান নির্বাচক, সেটাও জানিয়েছেন তিনি- ‘আজ ( গতকাল) আমরা ক্যাপ্টেন কোচকে ডেকেছিলাম তাদের পরামর্শ নিতে। তাদের মতামতের পর আজকে প্রাথমিক একটা তালিকা করেছি। যেমন আমরা কি কন্ডিশনে খেলতে যাচ্ছি, তারা কাদেরকে অগ্রাধিকার দিতে চায়, তা জেনে নিয়েছি। কারণ তারাই কাছ থেকে দলটিকে দেখে। আর ক্যাপ্টেন টিম চালায় মাঠে।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজের উইকেটের কন্ডিশন আর আগের মতো নয়, কোথাও হয়তবা বাউন্স পাচ্ছে, আর কোথাও বা স্পিনিং ট্র্যাক। ভারসাম্যপূর্ণ দল নির্বাচন তাই বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের ফেলেছে বলে মনে করছেন ফারুক- ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের কন্ডিশন পরিবর্তন হয়েছেন। আগে প্রচুর বাউন্স থাকতো। এখন ঐতিহ্য বদলেছে। পুরোপুরি স্পিনিং ট্র্র্যাক তারা বানায় না। যেমন বার্বাডোজের কেনসিংটনের উইকেটে বেশ বাউন্স আছে কিন্তু অতটা মুভমেন্ট নাই। কিছুটা মিশ্রণ হয়ে গেছে উইকেটগুলো। আগে আমরা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আমরা চিন্তা করতাম চারটা পাঁচটা ফাস্ট বোলার দরকার। সেটা কিন্তু এখন নাই। তবে ওদের হোমে স্ট্রং পয়েন্ট এবং আমাদের দুর্বল পয়েন্ট চিন্তা করে উইকেট প্রস্তুত করবে, এটাই স্বাভাবিক। ওয়েস্ট ইন্ডিজে আমাদের ‘এ’ দল গিয়েছিল। প্রথম ম্যাচের উইকেটটা ভালো ছিল না। দ্বিতীয় ম্যাচে ভালো ছিল। সব মিলিয়ে বেশ চ্যালেঞ্জিং হবে আর কি, দল গড়া এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ ট্যুরটা।’
২০১৫ বিশ্বকাপ আর মাত্র ৬ মাস পর, ২০১৯ বিশ্বকাপে বাছাইপর্ব এড়াতে র্যাংকিংয়ে উন্নতি ছাড়া বিকল্প কিছুই নেই। সে কারনেই দ্বিপাক্ষিক সিরিজগুলোতে ভাল পারফরমেন্স প্রত্যাশা করছেন ফারুক- ‘সর্বশেষ সিরিজগুলোতে বিচ্ছিন্ন কিছু ইনিংস ছাড়া ব্যাটিং আমরা ভালো করিনি। ভারতের সিরিজে লো স্কোরিং ম্যাচে জিততে পারিনি। সামনে অস্ট্রেলিয়াতে বিশ্বকাপ আছে, তার আগে দ্বিপাক্ষিক সিরিজগুলোও গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে এই ম্যাচগুলো গণ্য করছি। নতুন কোচ হাথুরুসিংহের অধীনে ওয়েস্ট ইন্ডিজে আমরা যেরকম উইকেট পাব বলে প্রত্যাশা করছি, সে রকমের উইকেটে ক্রিকেটাররা অনুশীলন করেছে। বোলিং মেশিনে শর্ট পিচ ডেলিভারি দেয়ার চেষ্টা করছে। স্কিল ট্রেনিং করছে প্রচুর। আশা করছি যে ঘাটতিগুলো ছিল গত দুই-তিন সিরিজে, তা থেকে উতরে যেতে পারব।’
ঈদ এর আগে আজই শেষ হয়ে যাচ্ছে অনুশীলন, তাই ছুটি কাটানোর আগেই ২৪ জনের দল আজ নেমে আসবে ১৫তে।ওয়েবসাইট।
10:17 AM
Share: