সরকারি বরাদ্দ নেই, এত দিন এশিয়ান গেমস প্রস্তুতি চলেছে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) অর্থায়নে। সম্প্রতি ক্যাম্প গুটিয়ে নেয়া হয়, বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে অ্যাথলিটদের। ১১ ডিসিপ্লিনের ক্রীড়াবিদদের আগেভাগে ঈদের ছুটি দেয়ার মূলে অর্থ সংকট। আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আসরের প্রস্তুতিতে অর্থ ‘সংকট’ নৈমিত্তিক একটা ব্যাপার। তবে উল্টো চিত্র কিন্তু কর্মকর্তাদের প্রমোদ ভ্রমণের বেলায়।
এবারের উপলক্ষ কমনওয়েলথ গেমস। ২৩ জুলাই থেকে ৩ আগস্ট স্কটল্যান্ডের রাজধানী গ্লাসগোয় অনুষ্ঠিত হবে এবারের আসর। ভ্রমণবিলাসে ক্রীড়াসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের পাশাপাশি তালিকায় যুক্ত হয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদারের পরিবারের সদস্যরাও। বরাবরের মতো যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কর্মকর্তা ও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) কর্মকর্তারা তো আছেনই।
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার, তার স্ত্রী শান্তিলতা শিকদার, ছেলে অমিতাভ শিকদার, যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব (প্রশাসন) আবদুর রহমান, এনএসসি সচিব শিবনাথ রায় ও প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সচিব রণজিত্ কুমার দাসের সমন্বয়ে গঠিত বহর শনিবার গ্লাসগোর উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছে।
গেমসে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করছে ৬৯ সদস্যের কন্টিনজেন্টে। বিশাল এ বহরে অ্যাথলিট ও টেকনিক্যাল অফিশিয়াল সংখ্যা মাত্র ৩০। এর ১৫ জন অ্যাথলিট, বাকিরা বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের কোচ ও ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন। মন্ত্রণালয় ও এনএসসির বহর সাত সদস্যের। বাকি ৩২ জন বিওএ এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা হিসেবে ভ্রমণবিলাসে যাচ্ছেন।
অ্যাথলিট, টেকনিক্যাল অফিশিয়াল ও বিওএ কর্মকর্তা মিলিয়ে বাংলাদেশের ৪৭ জনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল কমনওয়েলথ গেমস আয়োজক কমিটি। বিওএ সভাপতি জেনারেল ইকবাল করীম ভূঁইয়া ৪৭ জনের সমন্বয়ে কন্টিনজেন্ট সাজানোর পক্ষে মত দেন। তবে অন্য (বিওএ) কর্মকর্তারা বিভিন্ন অজুহাতে বহর বড় করেছেন। শেষ পর্যন্ত যা ৬৯ জনের বিশাল আকার ধারণ করেছে।
আর্থিক অজুহাত দিয়ে অনুশীলন ও ক্রীড়া কর্মকাণ্ড বন্ধ, অন্যদিকে কর্মকর্তারা যাচ্ছেন প্রমোদ ভ্রমণের মহোত্সবে। ক্রীড়াঙ্গনে এমন অসঙ্গতিপূর্ণ বিষয়ে উচ্চকণ্ঠ ‘সেভ দ্য স্পোর্টস’ নামে সম্প্রতি আত্মপ্রকাশ করা এক সংগঠন; যার আহ্বায়ক জাকারিয়া পিন্টু কমনওয়েলথ গেমস ঘিরে কর্মকর্তাদের ভ্রমণবিলাসকে লজ্জাজনক হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
‘নিজেকে সেরা প্রমাণের জন্য অ্যাথলিটদের মধ্যে যে প্রচেষ্টা থাকে, কর্মকর্তাদের স্বার্থসিদ্ধির প্রচেষ্টা তার চেয়েও মরিয়া। এটা আমাদের ক্রীড়াঙ্গনকে ক্রমাগত পেছনে ঠেলে দিচ্ছে। কমনওয়েলথ গেমসকে ঘিরে যা হচ্ছে, তা অবশ্যই বেহায়াপনা’— বলেছেন জাকারিয়া পিন্টু।
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অধিনায়ক আরো বলেন, ‘বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আসরকে ঘিরে কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণের প্রবণতা ক্রমেই বাড়ছে। আমাদের ক্রীড়াঙ্গন এবং ক্রীড়া কর্মকাণ্ড চলছে অস্বাভাবিকভাবে, যা ক্রীড়াপ্রেমীদের জন্য খুবই দুঃখজনক।’
১৯ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ অক্টোবর দক্ষিণ কোরিয়ার ইনচনে বসছে এশিয়ান গেমসের পরবর্তী আসর। এ ক্রীড়া আয়োজন ঘিরেও বিশাল বহর প্রস্তুত করছে বাংলাদেশ। কর্মকর্তাদের অধিকাংশই যাবেন নির্দিষ্ট কোনো দায়িত্ব ছাড়া। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, এশিয়ান গেমসের বহর সাজবে ২৬০-২৭০ জনের সমন্বয়ে!ওয়েবসাইট।
এবারের উপলক্ষ কমনওয়েলথ গেমস। ২৩ জুলাই থেকে ৩ আগস্ট স্কটল্যান্ডের রাজধানী গ্লাসগোয় অনুষ্ঠিত হবে এবারের আসর। ভ্রমণবিলাসে ক্রীড়াসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের পাশাপাশি তালিকায় যুক্ত হয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদারের পরিবারের সদস্যরাও। বরাবরের মতো যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কর্মকর্তা ও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) কর্মকর্তারা তো আছেনই।
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার, তার স্ত্রী শান্তিলতা শিকদার, ছেলে অমিতাভ শিকদার, যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব (প্রশাসন) আবদুর রহমান, এনএসসি সচিব শিবনাথ রায় ও প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সচিব রণজিত্ কুমার দাসের সমন্বয়ে গঠিত বহর শনিবার গ্লাসগোর উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছে।
গেমসে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করছে ৬৯ সদস্যের কন্টিনজেন্টে। বিশাল এ বহরে অ্যাথলিট ও টেকনিক্যাল অফিশিয়াল সংখ্যা মাত্র ৩০। এর ১৫ জন অ্যাথলিট, বাকিরা বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের কোচ ও ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন। মন্ত্রণালয় ও এনএসসির বহর সাত সদস্যের। বাকি ৩২ জন বিওএ এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা হিসেবে ভ্রমণবিলাসে যাচ্ছেন।
অ্যাথলিট, টেকনিক্যাল অফিশিয়াল ও বিওএ কর্মকর্তা মিলিয়ে বাংলাদেশের ৪৭ জনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল কমনওয়েলথ গেমস আয়োজক কমিটি। বিওএ সভাপতি জেনারেল ইকবাল করীম ভূঁইয়া ৪৭ জনের সমন্বয়ে কন্টিনজেন্ট সাজানোর পক্ষে মত দেন। তবে অন্য (বিওএ) কর্মকর্তারা বিভিন্ন অজুহাতে বহর বড় করেছেন। শেষ পর্যন্ত যা ৬৯ জনের বিশাল আকার ধারণ করেছে।
আর্থিক অজুহাত দিয়ে অনুশীলন ও ক্রীড়া কর্মকাণ্ড বন্ধ, অন্যদিকে কর্মকর্তারা যাচ্ছেন প্রমোদ ভ্রমণের মহোত্সবে। ক্রীড়াঙ্গনে এমন অসঙ্গতিপূর্ণ বিষয়ে উচ্চকণ্ঠ ‘সেভ দ্য স্পোর্টস’ নামে সম্প্রতি আত্মপ্রকাশ করা এক সংগঠন; যার আহ্বায়ক জাকারিয়া পিন্টু কমনওয়েলথ গেমস ঘিরে কর্মকর্তাদের ভ্রমণবিলাসকে লজ্জাজনক হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
‘নিজেকে সেরা প্রমাণের জন্য অ্যাথলিটদের মধ্যে যে প্রচেষ্টা থাকে, কর্মকর্তাদের স্বার্থসিদ্ধির প্রচেষ্টা তার চেয়েও মরিয়া। এটা আমাদের ক্রীড়াঙ্গনকে ক্রমাগত পেছনে ঠেলে দিচ্ছে। কমনওয়েলথ গেমসকে ঘিরে যা হচ্ছে, তা অবশ্যই বেহায়াপনা’— বলেছেন জাকারিয়া পিন্টু।
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অধিনায়ক আরো বলেন, ‘বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আসরকে ঘিরে কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণের প্রবণতা ক্রমেই বাড়ছে। আমাদের ক্রীড়াঙ্গন এবং ক্রীড়া কর্মকাণ্ড চলছে অস্বাভাবিকভাবে, যা ক্রীড়াপ্রেমীদের জন্য খুবই দুঃখজনক।’
১৯ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ অক্টোবর দক্ষিণ কোরিয়ার ইনচনে বসছে এশিয়ান গেমসের পরবর্তী আসর। এ ক্রীড়া আয়োজন ঘিরেও বিশাল বহর প্রস্তুত করছে বাংলাদেশ। কর্মকর্তাদের অধিকাংশই যাবেন নির্দিষ্ট কোনো দায়িত্ব ছাড়া। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, এশিয়ান গেমসের বহর সাজবে ২৬০-২৭০ জনের সমন্বয়ে!ওয়েবসাইট।
3:42 AM
Share: