মিরপুরে ৫ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে ৫ উইকেটে হারিয়ে সিরিজ ৫-০ তে জিতে নিলো বাংলাদেশ। এর মাধ্যমে আরো একবার দেশের মাটিতে কোন টেস্ট খেলুড়ে দেশকে বাংলাওয়াশের স্বাদ দিলো টাইগার বাহিনী। ১৫৩ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় মাশরাফি বাহিনী।
এর আগে, টেস্ট সিরিজেও ৩-০ তে ধবলধোলাই হয়েছে জিম্বাবুয়ে।
এর আগে জিম্বাবুয়েকে ১২৮ রানে গুটিয়ে দিয়ে টাইগাররা ব্যাট করতে নেমে প্রথম দিকে দ্রুত উইকেট হারালেও মাহামুদুল্লাহর সাবলীল ব্যাটিংয়ে বেশ সহজে জয় তুলে নেয় টাইগাররা। মাহামুদুল্লাহ করেন দলীয় সর্বোচ্চ অপরাজিত ৫১ রান।
শেষ ওয়ানডেতে ১২৯ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নামে স্বাগতিক বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ের উদ্বোধন করতে আসেন তামিম ইকবাল এবং এনামুল হক বিজয়। পঞ্চম ওভারেই ফেরেন তামিম। এরপর তামিমের পথ ধরেন এনামুল। দলীয় ১৮ রানে তামিম এবং ২৮ রানে এনামুল বিদায় নেন। তামিম-এনামুলের দ্রুত বিদায়ের পর স্বাগতিকদের হয়ে রানের চাকা সচল রাখছিলেন অভিষিক্ত সৌম্য সরকার এবং মাহামুদুল্লাহ। কিন্তু দশম ওভারের শেষ বলে সৌম্য সরকার ক্যাচ তুলে দিয়ে বিদায় নেন।
এরপর ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে স্বাগতিক বাংলাদেশ। টপ অর্ডারের চার ব্যাটসম্যান আউট হয়ে ফেরার পর সাকিব আল হাসানও ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন। পানিয়াঙ্গারার দ্বিতীয় শিকারে সাকিব রানের খাতা খোলার আগেই বিদায় নেন। জিম্বাবুয়েকে আরেকটি বাংলাওয়াশ উপহার দেওয়ার লক্ষ্যে ব্যাট করছিলেন মুশফিক আর মাহামুদুল্লাহ। কিন্তু চাতারার একটি বলে উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিয়ে আউট হন ১১ রান করা মুশফিক। আউট হওয়ার আগে তিনি মাহামুদুল্লাহর সঙ্গে ৩৫ রানের একটি জুটি গড়েন।
এর আগে শেষ ম্যাচে অভিষেকেই হ্যাটট্রিক করেন তাইজুল ইসলাম। আর তাইজুলের বোলিং তোপে পড়ে মাত্র ১২৮ রানেই গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ের ইনিংস। তাইজুল হ্যাটট্রিকসহ একাই ৪টি উইকেট তুলে নেন। ৭ ওভারে মাত্র ১১ রান দেন তিনি।ওয়েবসাইট।
7:09 PM
Share: