বাংলাদেশ ক্রিকেটারদের মনোবিদের স্মরণাপন্ন হওয়া এটাই প্রথম নয়। ভারতের মনোবিদ সৌমেন্দ্র লম্বা সময় ছিলেন দলের সঙ্গে। খ-কালীন সময়ে বেশ ক’বারই মনোবিদ পেয়েছে ক্রিকেটাররা। গত এপ্রিলে কানাডা প্রবাসী আজহার আলীর ক্লাসও করেছেন ক্রিকেটাররা। পারফরমেন্সের অন্তরায় হিসেবে যখন ক্রিকেটারদের মনোবল প্রশ্নবিদ্ধ, তখন আরো একবার মনোবিদের ক্লাস! এবার মুশফিকুরদের চাঙ্গা করতে অস্ট্রেলিয়া থেকে উড়িয়ে আনা হয়েছে মনস্তত্ববিদ ড. ফিল জেনসিকে। গতকাল এই অস্ট্রেলিয়ানের ক্লাসের মূল প্রতিপাদ্য ছিল ইতিবাচক ভাবনা। সকাল ১০টা থেকে ১২টা, এই দুই ঘণ্টায় বিস্তারিত আলোচনা করেছেন তিনি- ‘আমার মূল লক্ষ্য উচ্চ পর্যায়ে এবং বড় আসরের প্রতিযোগিতায় তাদেরকে (খেলোয়াড়দের) সাহায্য করা। যেন তারা সব জায়গায় নিজেদের মানিয়ে নিতে পারে।’ নিজে একজন পেশাদারি মনোবিদ বলেই খেলোয়াড়দের মনের গভীরে ঢুকে তাদের অবস্থা অনুধাবন করতে চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন জেনসি। মানসিক অবস্থার উন্নতির জন্য জেনসির রেসিপি- ‘তাদের মনের অবস্থা কি ভাবে স্বাভাবিক রাখা যায়, মনকে শান্ত রেখে কিভাবে ভালো করা যায় সেদিক নিয়ে কাজ করা আমার লক্ষ্য। অস্ট্রেলিয়ায় যখন কাজ করেছিলাম, তখন এসব বিষয় নিয়ে কাজ করেছি। পেশাদারী মনোবিদের কাজ হলো মানুষের মনের অবস্থা পর্যবেক্ষণ না করা। সে কাজ আমি করি না। আমি একজন খেলোয়াড়ের ভালো বা মন্দ অনুভব করতে পারি এবং সে আসলে কি করতে চায়, তা নিশ্চিত করে ধরতে পারি। তাদের মনের অবস্থার উপর টিপস দিতে পারি। শুধু তাই নয় তাদের (খেলোয়াড়) দায়িত্বের প্রতি সচেতন হতে হবে। আজ ও কাল আমি চেষ্টা করবো তাদের মস্তিস্ক কিভাবে কাজ করে তা অনুধাবন করার। সে অনুয়ায়ী চেষ্টা করব প্রতি খেলোয়াড়কে আলাদাভাবে পরামর্শ দেয়ার।’
অনুপ্রেরণাকে বড় দেখছেন জেনসি। বাংলাদেশীদের বিদেশী মনোবিদের ক্লাস নিয়ে কতটুকু উপকার হবে সেটা জানা এখন সময়ের অপেক্ষা মাত্র- ‘এখানে প্রত্যেকে জানে তাদের কি করতে হবে। আশা করি সে অনুযায়ী তারা কাজ করবেন। আর একটা খেলায় অনুপ্রেরণা খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। খেলার আগে ও পরে যেকোন দলের জন্য অনুপ্রেরণা দরকার। পৃথিবীর সব বড় বড় ক্রিকেটাররা তাদের অনুপ্রেরণা নিয়ে কাজ করেন। একজন খেলোয়াড় নিজের ভাল বা মন্দ অনুভব করতেই পারে কিন্তু তাকে নিজে থেকেই সুনিশ্চিত হতে হবে সে আসলে কি করতে চায়।’ তিনি বলেন, ‘একটা খেলায় অনুপ্রেরণার বিষয়টা খুব গুরুত্বপূর্ণ। খেলার আগে ও পরে যেকোন দলের জন্য উপযুক্ত দিকনির্দেশনা জরুরি। সব বড় বড় ক্রিকেটারই তাদের অনুপ্রাণিত হওয়া নিয়ে কাজ করেন। কাজেই ক্রিকেটারদের মনের অবস্থা কিভাবে স্বাভাবিক রাখা যায়, মনকে শান্ত রেখে কিভাবে ভাল করা যায় সে বিষয়ে জোর দিতে হবে। আমি অস্ট্রেলিয়ায় যখন কাজ করেছি তখন এসব বিষয় নিয়েই কাজ করেছি।’
প্রথম দিনের ক্লাস ক্রিকেটাররা মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন, হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করেছেন বলে মিডিয়াকে জানিয়েছেন জেনসি- ‘খেলোয়াড়দের নিজেদেরকে আগে জানতে হবে, তাহলেই সে যে কোন জায়গায় খাপ খাইয়ে নিতে পারবে। যখন কোন খেলোয়াড় ম্যাচে খারাপ খেলবে, তখন করণীয় কি, তখন নিজেই তা পরিবর্তন করবে। মস্তিস্কে কিভাবে কাজ করে, এটা বোঝাতে চেষ্টা করব। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কঠোর হতে হবে। তাই আজ (গতকাল) আমরা যুক্তির ক্ষেত্রে শক্ত থাকার কাজ করেছি। প্রতিটি খেলোয়াড়কে পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধার বিষয়টি নিয়ে আগামীকাল (আজ) শেখাব। স্নায়ুচাপ কোন সমস্যা নয়, সমস্যা হলো স্নায়ুচাপে পড়ার অভিনয় করা। আজ যা কিছু আলোচনা হয়েছে, মনে হয়েছে তারা হৃদয় দিয়ে তা উপলব্ধি করেছে।’
অস্ট্রেলিয়ার মনোবিদের ক্লাসে ক্রিকেটাররা উপকৃত হবেন বলে বিশ্বাস করেন প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ- ‘এখন প্রতিটি দলের সাথে ক্রীড়া মনোবিদ থাকে। আমরা যেহেতু বিশ্বকাপ খেলতে অস্ট্রেলিয়ায় যাব সেক্ষেত্রে এ ধরনের কার্যক্রম থাকা দরকার। আমরা মাইকেল হাসির কাছ থেকে সাহায্য পেয়েছি। আমার মনে হয় ড. ফিল আমাদের ক্রিকেটারদের আত্মসচেতনতা বাড়াতে পারবেন এবং ভঙ্গুর আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হবেন।’ ওয়েবসাইট।
অনুপ্রেরণাকে বড় দেখছেন জেনসি। বাংলাদেশীদের বিদেশী মনোবিদের ক্লাস নিয়ে কতটুকু উপকার হবে সেটা জানা এখন সময়ের অপেক্ষা মাত্র- ‘এখানে প্রত্যেকে জানে তাদের কি করতে হবে। আশা করি সে অনুযায়ী তারা কাজ করবেন। আর একটা খেলায় অনুপ্রেরণা খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। খেলার আগে ও পরে যেকোন দলের জন্য অনুপ্রেরণা দরকার। পৃথিবীর সব বড় বড় ক্রিকেটাররা তাদের অনুপ্রেরণা নিয়ে কাজ করেন। একজন খেলোয়াড় নিজের ভাল বা মন্দ অনুভব করতেই পারে কিন্তু তাকে নিজে থেকেই সুনিশ্চিত হতে হবে সে আসলে কি করতে চায়।’ তিনি বলেন, ‘একটা খেলায় অনুপ্রেরণার বিষয়টা খুব গুরুত্বপূর্ণ। খেলার আগে ও পরে যেকোন দলের জন্য উপযুক্ত দিকনির্দেশনা জরুরি। সব বড় বড় ক্রিকেটারই তাদের অনুপ্রাণিত হওয়া নিয়ে কাজ করেন। কাজেই ক্রিকেটারদের মনের অবস্থা কিভাবে স্বাভাবিক রাখা যায়, মনকে শান্ত রেখে কিভাবে ভাল করা যায় সে বিষয়ে জোর দিতে হবে। আমি অস্ট্রেলিয়ায় যখন কাজ করেছি তখন এসব বিষয় নিয়েই কাজ করেছি।’
প্রথম দিনের ক্লাস ক্রিকেটাররা মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন, হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করেছেন বলে মিডিয়াকে জানিয়েছেন জেনসি- ‘খেলোয়াড়দের নিজেদেরকে আগে জানতে হবে, তাহলেই সে যে কোন জায়গায় খাপ খাইয়ে নিতে পারবে। যখন কোন খেলোয়াড় ম্যাচে খারাপ খেলবে, তখন করণীয় কি, তখন নিজেই তা পরিবর্তন করবে। মস্তিস্কে কিভাবে কাজ করে, এটা বোঝাতে চেষ্টা করব। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কঠোর হতে হবে। তাই আজ (গতকাল) আমরা যুক্তির ক্ষেত্রে শক্ত থাকার কাজ করেছি। প্রতিটি খেলোয়াড়কে পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধার বিষয়টি নিয়ে আগামীকাল (আজ) শেখাব। স্নায়ুচাপ কোন সমস্যা নয়, সমস্যা হলো স্নায়ুচাপে পড়ার অভিনয় করা। আজ যা কিছু আলোচনা হয়েছে, মনে হয়েছে তারা হৃদয় দিয়ে তা উপলব্ধি করেছে।’
অস্ট্রেলিয়ার মনোবিদের ক্লাসে ক্রিকেটাররা উপকৃত হবেন বলে বিশ্বাস করেন প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ- ‘এখন প্রতিটি দলের সাথে ক্রীড়া মনোবিদ থাকে। আমরা যেহেতু বিশ্বকাপ খেলতে অস্ট্রেলিয়ায় যাব সেক্ষেত্রে এ ধরনের কার্যক্রম থাকা দরকার। আমরা মাইকেল হাসির কাছ থেকে সাহায্য পেয়েছি। আমার মনে হয় ড. ফিল আমাদের ক্রিকেটারদের আত্মসচেতনতা বাড়াতে পারবেন এবং ভঙ্গুর আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হবেন।’ ওয়েবসাইট।
9:05 AM
Share: