মরা পিচ আর ফ্লাট উইকেটে খেলে অভ্যস্ত বাংলাদেশ ক্রিকেটাররা বাউন্সি উইকেটকে ভয় পায় যথেষ্ট। সে কারণেই অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় ২০১৫ বিশ্বকাপ ক্রিকেটের প্রস্তুতির জন্য ওই কন্ডিশনের উইকেটে ক্রিকেটারদের অনুশীলন সুবিধা দেয়ার আইডিয়া বাস্তবায়নে অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেন থেকে মাটি আমদানির প্রস্তাবনা দিয়েছিলেন বিসিবি বিগত কমিটির সদস্য গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। অস্ট্রেলিয়া থেকে মাটি কনটেইনারে করে আনতে একটা বাজেটও তৈরি করেছিলেন তিনি। তার প্রস্তাবনা অনুযায়ী অস্ট্রেলিয়া থেকে মাটি আমদানি করলে বিসিবি’র খরচ করতে হতো ৫২ হাজার মার্কিন ডলার। তবে বিসিবি’র বর্তমান নির্বাচিত পরিচালনা পরিষদে না থাকায় লিপুর সে প্রস্তাবনা থেকেছে ফাইলবন্দি। বিকল্প পদ্ধতিতে ক্রিকেটারদের বিশ্বকাপ প্রস্তুতিতে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডের মতো উইকেট উপহার দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি’র গ্রাউন্ডস কমিটি। তবে তাতে কিন্তু খরচ সাশ্রয় হচ্ছে না তেমন একটা। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠ এবং ফতুল্লা, বিকেএসপিও চট্টগ্রামে ৩০টি নতুন পিচ তৈরি করতে বিসিবি’র খরচ হচ্ছে প্রায় ৬০ লাখ টাকা। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজে ইতোমধ্যে হাত দিয়েছে বিসিবি। আগামী ডিসেম্বর মাসের শুরুতে এই পীচগুলো পুরোপুরি অনুশীলনের উপযোগী হবে। এমনটাই মনে করছেন বিসিবি’র গ্রাউন্ডস কমিটির ন্যাশনাল ম্যানেজার আবদুল বাতেন।
অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরা, ব্রিসবেন, মেলবোর্ন, নেলসন, এডিলেড এবং নিউজিল্যান্ডের হ্যামিল্টনের উইকেটের কথা মাথায় রেখে উইকেটের উপরে ঘাস রেখে বাউন্সি পিচ তৈরির কাজ চলছে পুরোদমে। সর্বাধিক ১৩টি উইকেট তৈরি হচ্ছে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠে। ২০১১ বিশ্বকাপ উপলক্ষে ২ কোটি ৭১ লাখ টাকা ব্যয়ে এই মাঠের উন্নয়ন এবং ১৩টি পিচ তৈরির পর আরো ১৩টি নতুন পিচ সেখানে তৈরি করা হচ্ছে। তবে ইতোপূর্বে পিচের মাটি নির্বাচন এবং পিচ তৈরির ফর্মুলাসহ পুরো প্রক্রিয়ার দায়িত্ব থাকতো বিসিবি’র সংশ্লিষ্ট বিভাগ এবং নির্দিষ্ট কিউরেটরের উপর। তবে এবার পিচ তৈরিতেও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে নিযুক্ত করেছে বিসিবি’র টেন্ডার এন্ড পারচেজ কমিটি! এই প্রথম পিচ তৈরির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ইম্পেরিয়াল লিমিটেডকে! কক্সবাজার, চট্টগ্রাম এবং মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে ঘাস রোপণে এই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান বিসিবি’র সংশ্লিষ্ট কমিটির প্রশংসা পাওয়ায় তাদেরকেই কার্যাদেশের জন্য চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিসিবি’র গ্রাউন্ডস কমিটির ন্যাশনাল ম্যানেজার- ‘স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় ঠিকাদার চূড়ান্ত করা হয়েছে। টেন্ডারে সর্বনিন্ম দরদাতাকে বেছে নিয়ে সেই প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে। ইতোপূর্বে কিউরেটদের অনুকূলে অগ্রিম অর্থ বরাদ্দ দেয়া হতো, সেই অর্থ দিয়ে পিচ তৈরি করতো। এই প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বলে প্রক্রিয়াটি আরো স্বচ্ছ রাখতে এবার টেন্ডারের মাধ্যমে পিচ তৈরির উদ্যোগ নেয়া হলো।’
সাভার থেকে বিশেষ মাটি দিয়ে তৈরি পিচ থেকে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডের উইকেটের মতো বাউন্স পাওয়া যাবে, এই আইডিয়া থেকেই ৩০টি পিচের সব ক’টির মাটি সাভার থেকে আনার নির্দেশনা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে দিয়েছে বিসিবি’র গ্রাউন্ডস কমিটি। পিচের নীচের স্তরে ইটের পরিবর্তে পাথরের নুড়ি ব্যবহারের ফর্মুলা দেয়া হয়েছে। পিচ তৈরির পুরো প্রক্রিয়া মনিটরিং করবেন সংশ্লিষ্ট মাঠের কিউরেটর। এ তথ্যও দিয়েছেন তিনি।
সাভার থেকে আনা বিশেষ কালো মাটিতে ক্লে’র পরিমাণ ৫০ শতাংশের বেশি হওয়ায় এই মাটি দিয়েই অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডের মতো বাউন্সি উইকেট তৈরি করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন বাতেন- ‘সাভারের কালো মাটির ক্লে ৫০ শতাংশের বেশি, সয়েল টেস্ট রিপোর্টে সেটাই জেনেছি। সে কারণেই সেই মাটি এই সব পিচে ব্যবহার করা হবে।’ কিন্তু যে উদ্দেশ্যে ৩০টি উইকেট তৈরির কাজে লেগে পড়েছে বিসিবি’র গ্রাউন্ডস কমিটি, সেই সব উইকেট তার আপন গুণাগুণ পেতে অপেক্ষা করতে হবে অন্ততঃ ৬ থেকে ৮ মাস, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিসিবি’র এক কিউরেটর এই বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছেন! তাহলে এই সব উইকেটে কিভাবে বিশ্বকাপের অনুশীলন করবে মুশফিকুররা? অবশ্য উদ্দেশ্যটা আপাতত আগামী ফেব্রুয়ারি-মার্চে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রাক প্রস্তুতির মধ্যেই কিন্তু সীমাবদ্ধ নয়, ২০১৬ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠেয় অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের স্বাগতিক বাংলাদেশ, সে কথা মাথায় রেখেই নুতন অনুশীলন পীচগুলো তৈরি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাতেন।ওয়েবসাইট।
অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরা, ব্রিসবেন, মেলবোর্ন, নেলসন, এডিলেড এবং নিউজিল্যান্ডের হ্যামিল্টনের উইকেটের কথা মাথায় রেখে উইকেটের উপরে ঘাস রেখে বাউন্সি পিচ তৈরির কাজ চলছে পুরোদমে। সর্বাধিক ১৩টি উইকেট তৈরি হচ্ছে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠে। ২০১১ বিশ্বকাপ উপলক্ষে ২ কোটি ৭১ লাখ টাকা ব্যয়ে এই মাঠের উন্নয়ন এবং ১৩টি পিচ তৈরির পর আরো ১৩টি নতুন পিচ সেখানে তৈরি করা হচ্ছে। তবে ইতোপূর্বে পিচের মাটি নির্বাচন এবং পিচ তৈরির ফর্মুলাসহ পুরো প্রক্রিয়ার দায়িত্ব থাকতো বিসিবি’র সংশ্লিষ্ট বিভাগ এবং নির্দিষ্ট কিউরেটরের উপর। তবে এবার পিচ তৈরিতেও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে নিযুক্ত করেছে বিসিবি’র টেন্ডার এন্ড পারচেজ কমিটি! এই প্রথম পিচ তৈরির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ইম্পেরিয়াল লিমিটেডকে! কক্সবাজার, চট্টগ্রাম এবং মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে ঘাস রোপণে এই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান বিসিবি’র সংশ্লিষ্ট কমিটির প্রশংসা পাওয়ায় তাদেরকেই কার্যাদেশের জন্য চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিসিবি’র গ্রাউন্ডস কমিটির ন্যাশনাল ম্যানেজার- ‘স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় ঠিকাদার চূড়ান্ত করা হয়েছে। টেন্ডারে সর্বনিন্ম দরদাতাকে বেছে নিয়ে সেই প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে। ইতোপূর্বে কিউরেটদের অনুকূলে অগ্রিম অর্থ বরাদ্দ দেয়া হতো, সেই অর্থ দিয়ে পিচ তৈরি করতো। এই প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বলে প্রক্রিয়াটি আরো স্বচ্ছ রাখতে এবার টেন্ডারের মাধ্যমে পিচ তৈরির উদ্যোগ নেয়া হলো।’
সাভার থেকে বিশেষ মাটি দিয়ে তৈরি পিচ থেকে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডের উইকেটের মতো বাউন্স পাওয়া যাবে, এই আইডিয়া থেকেই ৩০টি পিচের সব ক’টির মাটি সাভার থেকে আনার নির্দেশনা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে দিয়েছে বিসিবি’র গ্রাউন্ডস কমিটি। পিচের নীচের স্তরে ইটের পরিবর্তে পাথরের নুড়ি ব্যবহারের ফর্মুলা দেয়া হয়েছে। পিচ তৈরির পুরো প্রক্রিয়া মনিটরিং করবেন সংশ্লিষ্ট মাঠের কিউরেটর। এ তথ্যও দিয়েছেন তিনি।
সাভার থেকে আনা বিশেষ কালো মাটিতে ক্লে’র পরিমাণ ৫০ শতাংশের বেশি হওয়ায় এই মাটি দিয়েই অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডের মতো বাউন্সি উইকেট তৈরি করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন বাতেন- ‘সাভারের কালো মাটির ক্লে ৫০ শতাংশের বেশি, সয়েল টেস্ট রিপোর্টে সেটাই জেনেছি। সে কারণেই সেই মাটি এই সব পিচে ব্যবহার করা হবে।’ কিন্তু যে উদ্দেশ্যে ৩০টি উইকেট তৈরির কাজে লেগে পড়েছে বিসিবি’র গ্রাউন্ডস কমিটি, সেই সব উইকেট তার আপন গুণাগুণ পেতে অপেক্ষা করতে হবে অন্ততঃ ৬ থেকে ৮ মাস, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিসিবি’র এক কিউরেটর এই বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছেন! তাহলে এই সব উইকেটে কিভাবে বিশ্বকাপের অনুশীলন করবে মুশফিকুররা? অবশ্য উদ্দেশ্যটা আপাতত আগামী ফেব্রুয়ারি-মার্চে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রাক প্রস্তুতির মধ্যেই কিন্তু সীমাবদ্ধ নয়, ২০১৬ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠেয় অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের স্বাগতিক বাংলাদেশ, সে কথা মাথায় রেখেই নুতন অনুশীলন পীচগুলো তৈরি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাতেন।ওয়েবসাইট।
12:12 PM
Share: